Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদেশে বাংলাদেশি নার্সের চাহিদা অনেক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিদেশে বাংলাদেশি নার্সের চাহিদা অনেক। আমরাও চাই আমাদের নার্সরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেবা দিয়ে বাংলাদেশের সম্মান বয়ে আনুক। এজন্য তাদেরকে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ দিয়ে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকালে রাজধানীর ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি ও বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের ২৭তম কমপ্রিহেনসিভ (লাইসেন্সিং) পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

স্বাস্থ্যসেবায় নার্সরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জানিয়ে তিনি বলেন, একজন রোগীকে ডাক্তার শুধু দেখে যায়, তবে নার্সরা তাদের সার্বক্ষণিক সেবা দেয়। আমরা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর স্পেশালাইজড নার্স তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি। এতে নার্সিং সেবা অনেকদূর এগিয়ে যাবে। তবে নার্সদের আরও আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীদের সেবা দিতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ৮৫ হাজার নার্স কাজ করছে। এর মধ্যে ৪৫ হাজার সরকারি, আর বাকিরা বেসরকারি। যে পরিমাণ নার্স রয়েছে তার চেয়ে আরও দ্বিগুণের বেশি প্রয়োজন। আমরা গত দশ বছরে ৩৫০টি ইনস্টিটিউটে ৩৪ হাজার নিয়োগ দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে আরও নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের অধীনে নার্সিং বিষয়ে পড়াশোনার কার্যক্রম চলছে। বাংলাদেশে নার্সিং শিক্ষার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানই আছে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার আসন রয়েছে এবং সাড়ে তিনশোর বেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করে এতে।

জাহিদ মালেক আরো বলেন, সেবার মান বাড়াতে হলে নার্সের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। করোনায় নার্সদের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন তিনি। জাহিদ মালেক বলেন, করোনার সময় অনেকে সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যুও হয়েছে। এরপরও তারা সেবা দিয়ে গেছেন।

চিকিৎসকদের ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, সাধারণত সরকারি হাসপাতালগুলোতে দুপুর ২টার পরে কোনো চিকিৎসক থাকেন না কিন্তু রোগী তখনও থাকে। সেকারণে হাসপাতালগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক চেম্বার কার্যক্রম শুরু করেছি। একজন চিকিৎসক বাইরে যে সময় দেন, সেটাই এখানে দেবেন। এতে করে হাসপাতালে যেসব রোগী ভর্তি থাকে, তারাও সেবা নিতে পারবে।

এ সময় বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর (এনডিসি), পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু (এনডিসি), স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক টিটো মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধিভুক্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কোর্স সম্পন্নকারিদের ২৭তম কম্প্রিহেন্সিভ (লাইসেন্সিং) পরীক্ষা ৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এতে অংশগ্রহণ করেছে ৩টি কোর্সের মোট ১১ হাজার ৯০৪ জন পরীক্ষার্থী।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

বিদেশে বাংলাদেশি নার্সের চাহিদা অনেক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:০৭:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিদেশে বাংলাদেশি নার্সের চাহিদা অনেক। আমরাও চাই আমাদের নার্সরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেবা দিয়ে বাংলাদেশের সম্মান বয়ে আনুক। এজন্য তাদেরকে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ দিয়ে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকালে রাজধানীর ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি ও বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের ২৭তম কমপ্রিহেনসিভ (লাইসেন্সিং) পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

স্বাস্থ্যসেবায় নার্সরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জানিয়ে তিনি বলেন, একজন রোগীকে ডাক্তার শুধু দেখে যায়, তবে নার্সরা তাদের সার্বক্ষণিক সেবা দেয়। আমরা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর স্পেশালাইজড নার্স তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি। এতে নার্সিং সেবা অনেকদূর এগিয়ে যাবে। তবে নার্সদের আরও আন্তরিকতার সঙ্গে রোগীদের সেবা দিতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ৮৫ হাজার নার্স কাজ করছে। এর মধ্যে ৪৫ হাজার সরকারি, আর বাকিরা বেসরকারি। যে পরিমাণ নার্স রয়েছে তার চেয়ে আরও দ্বিগুণের বেশি প্রয়োজন। আমরা গত দশ বছরে ৩৫০টি ইনস্টিটিউটে ৩৪ হাজার নিয়োগ দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে আরও নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের অধীনে নার্সিং বিষয়ে পড়াশোনার কার্যক্রম চলছে। বাংলাদেশে নার্সিং শিক্ষার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানই আছে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার আসন রয়েছে এবং সাড়ে তিনশোর বেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করে এতে।

জাহিদ মালেক আরো বলেন, সেবার মান বাড়াতে হলে নার্সের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। করোনায় নার্সদের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন তিনি। জাহিদ মালেক বলেন, করোনার সময় অনেকে সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যুও হয়েছে। এরপরও তারা সেবা দিয়ে গেছেন।

চিকিৎসকদের ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, সাধারণত সরকারি হাসপাতালগুলোতে দুপুর ২টার পরে কোনো চিকিৎসক থাকেন না কিন্তু রোগী তখনও থাকে। সেকারণে হাসপাতালগুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক চেম্বার কার্যক্রম শুরু করেছি। একজন চিকিৎসক বাইরে যে সময় দেন, সেটাই এখানে দেবেন। এতে করে হাসপাতালে যেসব রোগী ভর্তি থাকে, তারাও সেবা নিতে পারবে।

এ সময় বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর (এনডিসি), পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু (এনডিসি), স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক টিটো মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধিভুক্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কোর্স সম্পন্নকারিদের ২৭তম কম্প্রিহেন্সিভ (লাইসেন্সিং) পরীক্ষা ৪টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এতে অংশগ্রহণ করেছে ৩টি কোর্সের মোট ১১ হাজার ৯০৪ জন পরীক্ষার্থী।