Dhaka শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ‘এক দফা’র আন্দোলন চলবে : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ‘একদফা’র আন্দোলন চলতেই থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই আন্দোলন বিজয় না হওয়া পর্যন্ত চলতেই থাকবে এবং রোববার ভোর থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হবে। সরকারের কোনো উসকানিতে আমাদের দলের নেতাকর্মী বা গণতান্ত্রিক যেসব রাজনৈতিক দল ও সমমনা দল অংশগ্রহণ করছেন প্রত্যেকেই কোনো উসকানির মুখে পা না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করে যাবেন।

রিজভী বলেন, আমাদের আন্দোলন হচ্ছে জনগণ যাতে তার পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে… এই অধিকারটা প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন। এই আন্দোলন আদর্শের আন্দোলন, জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন, বিবেকবান মানুষের বেড়ে ওঠার বিকশিত হওয়ার আন্দোলন। এই আন্দোলনে যারা সমর্থন দেবে, যারা গণতন্ত্রের পক্ষে, যারা মানুষের স্বাধীনতার পক্ষে, নাগরিক স্বাধীনতার পক্ষে এবং একটা স্বৈরাচারী দ্বৈত্যের বিরুদ্ধে যিনি আজীবন স্বপ্ন দেখেন ক্ষমতায় থাকার তার বিরুদ্ধে প্রত্যেকেই এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সারথী হিসেবে থাকবেন।

গণবিরোধী আইন বুড়িগঙ্গায় ফেলা হবে জানিয়ে রিজভী বলেন, গত বৃহস্পতিবার সমাপ্তি ঘটেছে নিশিরাতের ভোট ডাকাতির জাতীয় সংসদের অধিবেশন। ৫ বছর ধরে ভুয়া এমপিরা সংসদে দাঁড়িয়ে কেবল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং বিএনপিকে নিয়ে মিথ্যাচার, খিস্তিখেউর আওয়ামী কোটারি স্বার্থ চরিতার্থ করেছে। তারা সাধারণ জনগণের জন্য কল্যাণকর কিছুই করেনি।

তিনি বলেন, মোট ২৭২ দিনের কার্যদিবসের এই সংসদকে আওয়ামী দলীয় আড্ডাবাজির আখড়ায় পরিণত করা হয়েছে। ৫ বছর ধরে এই অবৈধ সংসদে ১৬৫টি বিল পাস করেছে তার প্রায় সবই গণবিরোধী। এই ভুয়া সংসদকে রাবার স্ট্যাম্প বানিয়ে যেসব অবৈধ আইন পাস করা হয়েছে তা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সুষ্ঠু ভোটের এমপিরা বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেবে। একাদশ সংসদে ‘বিপুল পরিমাণ টাকা’ অপচয় হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ ফের একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে জানিয়ে রিজভী বলেন, আওয়ামী দলদাস নির্বাচন কমিশন, দলদাস পুলিশ ও প্রশাসন সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে। আমরা সারা দেশ থেকে খবর পাচ্ছি, বিএনপিকে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখতে দলদাস আওয়ামী প্রশাসনকে নিয়ে এক অভিনব কর্দয মিশনে নেমেছে শেখ হাসিনা ও তা সরকার। তার (শেখ হাসিনা) নির্দেশে সামাজিক বেষ্টনীর আওতায় কার্ডের মাধ্যমে সুবিধাভোগী প্রায় ২ কোটি মানুষকে টার্গেট করেছে আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় এমপিরা ও অনুগত প্রশাসনের কর্মকর্তারা। গত কয়েক দিন ধরে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি উপজেলায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর হতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর প্রকল্পের আওতায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সুবিধা প্রাপ্ত উপকারীভোগীদের নিয়ে সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও নেতারা। প্রতিটি সমাবেশে ডিসি, এসপি, ইউএনওসহ থানা ওসিরাও উপস্থিত থাকছেন। এসব সমাবেশের উদ্দেশ্য আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, ভোটকেন্দ্রে না গেলে কার্ডবাতিলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

‘শেখ হাসিনা ভোটকেন্দ্রে সন্তোষজনক ভোটার উপস্থিতি বড় আকারে বিদেশিদের দেখানোর জন্যই এই ভয়াবহ কুটকৌশল নিয়েছে’ বলেও অভিযোগ করে রিজভী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ২৯২ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে এবং মিথ্যা বানোয়াট মামলায় মোট ১ হাজার ৪৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে মহাসমাবেশের ৩/৪ দিন পূর্ব থেকে এবং মহাসমাবেশের পরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ হরতাল ও অবরোধকে কেন্দ্র করে মোট গ্রেপ্তার ৪৮৪৭ জনের অধিক, মোট মামলা ১০৭টি, মোট আহত ৩৪৭৬ জনের অধিক এবং মৃত্যু ৯ জন (সাংবাদিক একজন)।

রিজভী বলেন, জনগণের রাজপথ কাঁপানো আন্দোলন, দেশের ৯৫ শতাংশ জনমত এবং জাতিসংঘসহ গোটা বিশ্বের আহ্বান উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা আবারও আরেকটি এক তরফা পাতানো নির্বাচন আয়োজনে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আওয়ামী নির্বাচন কমিশন, আওয়ামী দলদাস পুলিশ ও আওয়ামী দলদাস প্রশাসন সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে বিরোধীদল-মত উচ্ছেদ করে পুরোনো কায়দায় নতুন কোনো ফর্মুলায় ভোটরঙ্গ নাটক মঞ্চস্থ করার জন্য।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা সারাদেশ থেকে খবর পাচ্ছি, বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রেখে তথাকথিত নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটার বাড়াতে নতুন এক অভিনব কদর্য মিশনে নেমেছেন শেখ হাসিনা। তার নির্দেশেই সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় কার্ডের মাধ্যমে সুবিধাভোগী প্রায় দুই কোটি মানুষকে টার্গেট করেছে আওয়ামী লীগ এবং স্থানীয় প্রশাসন। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায়, প্রতিটি উপজেলায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর হতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় প্রত্যক্ষ ও পরেক্ষভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত এবং উপকার ভোগীদের নিয়ে সমাবেশ করছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং নেতারা। প্রতিটি গ্রাম থেকে কার্ডধারী সুবিধাভোগীদের সমাবেশে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। না গেলে কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

রিজভী অভিযোগ করেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচির আওতায় সব ধরনের সুবিধাভোগীদের কার্ড ভোটের আগে জমা দেওয়া এবং ভোটকেন্দ্রে ফেরত দেওয়া হবে বলে অধিকাংশ সমাবেশে জানানো হচ্ছে। শেখ হাসিনা ভোটকেন্দ্রে সন্তোষজনক মাত্রায় ভোটার উপস্থিতি এবং ভোট প্রদানের শতকরা হার বড় আকারে বিদেশিদের দেখানোর জন্য এ ভয়াবহ কূটকৌশল নিয়েছে।

রিজভী আরও বলেন, আমরা খবর পাচ্ছি ভিন্ন স্থানে প্রতিদিন গোপন বৈঠক হচ্ছে, কীভাবে জনগণের সাহসী লড়াই নির্মূল করা যায়। কিন্তু লাভ নেই। কারণ একটি দেশের জনগণ সর্বদায় ‘চির উন্নত মমশির’। জনগণ হাতের মুঠোয় জীবন নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়েছে। কোনো কিছুতে কিছু হবে না। সময় শেষ। পতন হবেই।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ‘এক দফা’র আন্দোলন চলবে : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০৭:৫২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ‘একদফা’র আন্দোলন চলতেই থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই আন্দোলন বিজয় না হওয়া পর্যন্ত চলতেই থাকবে এবং রোববার ভোর থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হবে। সরকারের কোনো উসকানিতে আমাদের দলের নেতাকর্মী বা গণতান্ত্রিক যেসব রাজনৈতিক দল ও সমমনা দল অংশগ্রহণ করছেন প্রত্যেকেই কোনো উসকানির মুখে পা না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করে যাবেন।

রিজভী বলেন, আমাদের আন্দোলন হচ্ছে জনগণ যাতে তার পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে… এই অধিকারটা প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন। এই আন্দোলন আদর্শের আন্দোলন, জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন, বিবেকবান মানুষের বেড়ে ওঠার বিকশিত হওয়ার আন্দোলন। এই আন্দোলনে যারা সমর্থন দেবে, যারা গণতন্ত্রের পক্ষে, যারা মানুষের স্বাধীনতার পক্ষে, নাগরিক স্বাধীনতার পক্ষে এবং একটা স্বৈরাচারী দ্বৈত্যের বিরুদ্ধে যিনি আজীবন স্বপ্ন দেখেন ক্ষমতায় থাকার তার বিরুদ্ধে প্রত্যেকেই এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সারথী হিসেবে থাকবেন।

গণবিরোধী আইন বুড়িগঙ্গায় ফেলা হবে জানিয়ে রিজভী বলেন, গত বৃহস্পতিবার সমাপ্তি ঘটেছে নিশিরাতের ভোট ডাকাতির জাতীয় সংসদের অধিবেশন। ৫ বছর ধরে ভুয়া এমপিরা সংসদে দাঁড়িয়ে কেবল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং বিএনপিকে নিয়ে মিথ্যাচার, খিস্তিখেউর আওয়ামী কোটারি স্বার্থ চরিতার্থ করেছে। তারা সাধারণ জনগণের জন্য কল্যাণকর কিছুই করেনি।

তিনি বলেন, মোট ২৭২ দিনের কার্যদিবসের এই সংসদকে আওয়ামী দলীয় আড্ডাবাজির আখড়ায় পরিণত করা হয়েছে। ৫ বছর ধরে এই অবৈধ সংসদে ১৬৫টি বিল পাস করেছে তার প্রায় সবই গণবিরোধী। এই ভুয়া সংসদকে রাবার স্ট্যাম্প বানিয়ে যেসব অবৈধ আইন পাস করা হয়েছে তা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সুষ্ঠু ভোটের এমপিরা বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেবে। একাদশ সংসদে ‘বিপুল পরিমাণ টাকা’ অপচয় হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ ফের একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে জানিয়ে রিজভী বলেন, আওয়ামী দলদাস নির্বাচন কমিশন, দলদাস পুলিশ ও প্রশাসন সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে। আমরা সারা দেশ থেকে খবর পাচ্ছি, বিএনপিকে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখতে দলদাস আওয়ামী প্রশাসনকে নিয়ে এক অভিনব কর্দয মিশনে নেমেছে শেখ হাসিনা ও তা সরকার। তার (শেখ হাসিনা) নির্দেশে সামাজিক বেষ্টনীর আওতায় কার্ডের মাধ্যমে সুবিধাভোগী প্রায় ২ কোটি মানুষকে টার্গেট করেছে আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় এমপিরা ও অনুগত প্রশাসনের কর্মকর্তারা। গত কয়েক দিন ধরে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি উপজেলায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর হতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর প্রকল্পের আওতায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সুবিধা প্রাপ্ত উপকারীভোগীদের নিয়ে সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও নেতারা। প্রতিটি সমাবেশে ডিসি, এসপি, ইউএনওসহ থানা ওসিরাও উপস্থিত থাকছেন। এসব সমাবেশের উদ্দেশ্য আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, ভোটকেন্দ্রে না গেলে কার্ডবাতিলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

‘শেখ হাসিনা ভোটকেন্দ্রে সন্তোষজনক ভোটার উপস্থিতি বড় আকারে বিদেশিদের দেখানোর জন্যই এই ভয়াবহ কুটকৌশল নিয়েছে’ বলেও অভিযোগ করে রিজভী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ২৯২ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে এবং মিথ্যা বানোয়াট মামলায় মোট ১ হাজার ৪৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে মহাসমাবেশের ৩/৪ দিন পূর্ব থেকে এবং মহাসমাবেশের পরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ হরতাল ও অবরোধকে কেন্দ্র করে মোট গ্রেপ্তার ৪৮৪৭ জনের অধিক, মোট মামলা ১০৭টি, মোট আহত ৩৪৭৬ জনের অধিক এবং মৃত্যু ৯ জন (সাংবাদিক একজন)।

রিজভী বলেন, জনগণের রাজপথ কাঁপানো আন্দোলন, দেশের ৯৫ শতাংশ জনমত এবং জাতিসংঘসহ গোটা বিশ্বের আহ্বান উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা আবারও আরেকটি এক তরফা পাতানো নির্বাচন আয়োজনে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আওয়ামী নির্বাচন কমিশন, আওয়ামী দলদাস পুলিশ ও আওয়ামী দলদাস প্রশাসন সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে বিরোধীদল-মত উচ্ছেদ করে পুরোনো কায়দায় নতুন কোনো ফর্মুলায় ভোটরঙ্গ নাটক মঞ্চস্থ করার জন্য।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা সারাদেশ থেকে খবর পাচ্ছি, বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রেখে তথাকথিত নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটার বাড়াতে নতুন এক অভিনব কদর্য মিশনে নেমেছেন শেখ হাসিনা। তার নির্দেশেই সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় কার্ডের মাধ্যমে সুবিধাভোগী প্রায় দুই কোটি মানুষকে টার্গেট করেছে আওয়ামী লীগ এবং স্থানীয় প্রশাসন। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায়, প্রতিটি উপজেলায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর হতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় প্রত্যক্ষ ও পরেক্ষভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত এবং উপকার ভোগীদের নিয়ে সমাবেশ করছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং নেতারা। প্রতিটি গ্রাম থেকে কার্ডধারী সুবিধাভোগীদের সমাবেশে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। না গেলে কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

রিজভী অভিযোগ করেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচির আওতায় সব ধরনের সুবিধাভোগীদের কার্ড ভোটের আগে জমা দেওয়া এবং ভোটকেন্দ্রে ফেরত দেওয়া হবে বলে অধিকাংশ সমাবেশে জানানো হচ্ছে। শেখ হাসিনা ভোটকেন্দ্রে সন্তোষজনক মাত্রায় ভোটার উপস্থিতি এবং ভোট প্রদানের শতকরা হার বড় আকারে বিদেশিদের দেখানোর জন্য এ ভয়াবহ কূটকৌশল নিয়েছে।

রিজভী আরও বলেন, আমরা খবর পাচ্ছি ভিন্ন স্থানে প্রতিদিন গোপন বৈঠক হচ্ছে, কীভাবে জনগণের সাহসী লড়াই নির্মূল করা যায়। কিন্তু লাভ নেই। কারণ একটি দেশের জনগণ সর্বদায় ‘চির উন্নত মমশির’। জনগণ হাতের মুঠোয় জীবন নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়েছে। কোনো কিছুতে কিছু হবে না। সময় শেষ। পতন হবেই।