Dhaka সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএসএমএমইউর অনিয়ম খতিয়ে দেখা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচিত বিভিন্ন অনিয়ম-অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ কার্যক্রমসহ নানা অভিযোগই আমাদের কানে এসেছে। বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে আমরা খতিয়ে দেখব।

বুধবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২৩ এর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। এই হাসপাতালের গুরুতর অনিয়ম আমরা হতে দিতে পারি না। তবে, আপনারা জানেন বিএসএমএমইউ একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। যে কারণে এ হাসপাতালের নিয়োগ, ক্রয়-বিক্রয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো তারা নিজেরাই নিয়ে থাকে। আমাদের সংশ্লিষ্টতা খুব বেশি থাকে না।

তিনি বলেন, কিন্তু হাসপাতালটিতে সরকার অর্থায়ন করে থাকে। সে হিসেবে আমরা অবশ্যই অনিয়মের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখব। আমরা চাই না এখানে আসা রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হোক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের আয় বেড়েছে, একই সঙ্গে ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। ফলে মানুষ পুষ্টির নিশ্চয়তাও পাচ্ছে। পুষ্টির নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে আমাদের নারীর ক্ষমতায়ন করতে হবে। কারণ নারীরাই বাচ্চাদের খাওয়া-দাওয়া করান এবং দেখাশোনা করেন। নারীর ক্ষমতায়ন করতে হলে তাদের শিক্ষা দিতে হবে। তাদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের চাকরি ও শিক্ষায় অগ্রাধিকার দিয়েছেন। নারীর ক্ষমতায়ন অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, আপনারা জানেন পুষ্টির অভাবে বাচ্চারা খর্বকায় হয়। আমাদের দেশে খর্বকায় ৪০ শতাংশ ছিল বর্তমানে সেটা নেমে ২০ শতাংশে এসেছে। অর্থাৎ তারা এখন খাদ্য এবং পুষ্টি পাচ্ছে। যেহেতু এখনো অনেক মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে, তাই সেখানে পুষ্টির অভাব রয়েছে। পুষ্টির অভাবে অনেক অসুখ-বিসুখ হয়ে থাকে। পুষ্টি কমলে সমস্যা এবং বাড়লেও সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের দেশে এখন ওবেসিটি অনেক বেড়েছে। ছেলে ও মেয়ে এবং নারীদের মধ্যে বর্তমানে ওবেসিটি বেশি দেখা দিচ্ছে। ব্যালেন্স করে না খেলে আমাদের বিভিন্ন অসংক্রামক দেখা দেয়। সেদিকেও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

জাহিদ মালেক আরো বলেন, পুষ্টির অভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপরে চাপ বাড়বে। শিক্ষার ওপরেও প্রভাব পড়বে। পুষ্টির অভাবের শিক্ষা গ্রহণ করার ক্ষমতা কমে যায়, উৎপাদনও কমে যায়। পুষ্টির একটি বিরাট প্রভাব রয়েছে। আমাদের দেশে এখন রাতকানা রোগ নেই। আমাদের ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা ২ হাজার ১০০ ওপরে, এটা অনেক ভালো। বাংলাদেশে ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রা পাকিস্তান এবং ভারতের থেকেও বেশি। আবার আমাদের দেশের শহর অঞ্চল থেকে গ্রামে ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রা আরও বেশি।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশিদ আলম, জনস্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিএসএমএমইউর অনিয়ম খতিয়ে দেখা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৬:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচিত বিভিন্ন অনিয়ম-অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ কার্যক্রমসহ নানা অভিযোগই আমাদের কানে এসেছে। বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে আমরা খতিয়ে দেখব।

বুধবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২৩ এর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। এই হাসপাতালের গুরুতর অনিয়ম আমরা হতে দিতে পারি না। তবে, আপনারা জানেন বিএসএমএমইউ একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। যে কারণে এ হাসপাতালের নিয়োগ, ক্রয়-বিক্রয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো তারা নিজেরাই নিয়ে থাকে। আমাদের সংশ্লিষ্টতা খুব বেশি থাকে না।

তিনি বলেন, কিন্তু হাসপাতালটিতে সরকার অর্থায়ন করে থাকে। সে হিসেবে আমরা অবশ্যই অনিয়মের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখব। আমরা চাই না এখানে আসা রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হোক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের আয় বেড়েছে, একই সঙ্গে ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। ফলে মানুষ পুষ্টির নিশ্চয়তাও পাচ্ছে। পুষ্টির নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে আমাদের নারীর ক্ষমতায়ন করতে হবে। কারণ নারীরাই বাচ্চাদের খাওয়া-দাওয়া করান এবং দেখাশোনা করেন। নারীর ক্ষমতায়ন করতে হলে তাদের শিক্ষা দিতে হবে। তাদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের চাকরি ও শিক্ষায় অগ্রাধিকার দিয়েছেন। নারীর ক্ষমতায়ন অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, আপনারা জানেন পুষ্টির অভাবে বাচ্চারা খর্বকায় হয়। আমাদের দেশে খর্বকায় ৪০ শতাংশ ছিল বর্তমানে সেটা নেমে ২০ শতাংশে এসেছে। অর্থাৎ তারা এখন খাদ্য এবং পুষ্টি পাচ্ছে। যেহেতু এখনো অনেক মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে, তাই সেখানে পুষ্টির অভাব রয়েছে। পুষ্টির অভাবে অনেক অসুখ-বিসুখ হয়ে থাকে। পুষ্টি কমলে সমস্যা এবং বাড়লেও সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের দেশে এখন ওবেসিটি অনেক বেড়েছে। ছেলে ও মেয়ে এবং নারীদের মধ্যে বর্তমানে ওবেসিটি বেশি দেখা দিচ্ছে। ব্যালেন্স করে না খেলে আমাদের বিভিন্ন অসংক্রামক দেখা দেয়। সেদিকেও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

জাহিদ মালেক আরো বলেন, পুষ্টির অভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপরে চাপ বাড়বে। শিক্ষার ওপরেও প্রভাব পড়বে। পুষ্টির অভাবের শিক্ষা গ্রহণ করার ক্ষমতা কমে যায়, উৎপাদনও কমে যায়। পুষ্টির একটি বিরাট প্রভাব রয়েছে। আমাদের দেশে এখন রাতকানা রোগ নেই। আমাদের ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা ২ হাজার ১০০ ওপরে, এটা অনেক ভালো। বাংলাদেশে ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রা পাকিস্তান এবং ভারতের থেকেও বেশি। আবার আমাদের দেশের শহর অঞ্চল থেকে গ্রামে ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রা আরও বেশি।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশিদ আলম, জনস্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খান।