Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি ক্ষমতায় এলে নারীদের নিরাপত্তায় নতুন যুগের সূচনা করবে : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের পথে জঙ্গিবাদ যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। নারীদের পোশাক নিয়ে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আধুনিক যুগে নারীদের বন্দি রাখলে সমাজ এগিয়ে যাবে না। বিএনপি ক্ষমতায় এলে নারীদের নিরাপত্তায় নতুন যুগের সূচনা করবে।

শনিবার (৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশজুড়ে নারীর প্রতি হেনস্তার পেছনে উগ্র গোষ্ঠীর মদদ থাকতে পারে। বাংলাদেশকে অতি রক্ষণশীল বানানোই তাদের লক্ষ্য। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে অতি রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত করতে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেশব্যাপী নারী হেনস্তার ঘটনা ঘটতে পারে।

রিজভী বলেন, বর্তমানে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন। সব সেক্টরে নারীদের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ ঘটাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে বিএনপি।

তিনি বলেন, দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে নারীরা যেমন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, ঠিক তেমনি অনলাইনেও তারা বিরূপ আচরণের শিকার হচ্ছেন। রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রী, নারী শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার নারীদের ইভটিজিং, শ্লীলতাহানী এবং হেনস্থা করা হচ্ছে। ধর্ষণ ও নির্যাতন করে নারীদেরকে হত্যা করা হচ্ছে।

রিজভী বলেন, একের পর এক নারীকে হেনস্থা ও আক্রমণ এবং সামগ্রিক বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি গড়ে উঠছে, তা রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা ও সম্প্রীতির জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, সামাজিক অবক্ষয়ের মাধ্যমে কেন আজ নারীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং এর পেছনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, সেটি যাচাই করা প্রয়োজন। এই অসভ্যতা ও সহিংসতার পেছনে কোনো উগ্র গোষ্ঠীর উস্কানি বা মদদ থাকতে পারে, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে এবং যাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে একটি অতি রক্ষণশীল রাষ্ট্র বানানো, যেন নারীরা নিজ দেশে অধিকারহীন হয়ে পড়েন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকের আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমরা যখন নারীর ক্ষমতায়ন নিরাপত্তা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার কথা বলছি, তখন আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাস্তবতা অত্যন্ত হতাশাজনক। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নারীদের প্রতি সহিংসতা, বৈষম্য ও অত্যাচারের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। সমাজে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য এবং নারীদের প্রতি সহিংসতা দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে, যা আমাদের জাতির জন্য উদ্বেগের কারণ। এই কঠিন বাস্তবতায় বিএনপি দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে নারীদের নিরাপত্তা মর্যাদা এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে এবং শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশেই নারীদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলেও বাংলাদেশে এখনও নারীরা নানা ধরণের বৈষম্য, সহিংসতা এবং শোষণের শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে দেশে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং তাদের অধিকারের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আশানুরূপ নয়। এই অবস্থার পরিবর্তন করতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত বিএনপি সরকার দূঢ়ভাবে অঙ্গিকারবদ্ধ যে, নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, তাদের উন্নয়ন এবং তাদের শোষণ ও নির্যাতন থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে একটি নারীবান্ধব, নিরাপদ ও স্বাধীন সমাজ গড়ে তোলা প্রয়োজন, যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই সমান অধিকার সুরক্ষা ও মর্যাদা ভোগ করবেন। নারীর ক্ষমতায়ন, সুরক্ষা এবং তাদের জীবনের মান উন্নয়নের জন্য বিএনপি সরকার শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে নারীদের আত্মনির্ভরশীলতা, ক্ষমতা ও উন্নয়নের নতুন দিগন্ত খুলে দিবে।

রিজভী বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে নারীরা সম্মানিত, সুরক্ষিত এবং সমর্থিত হয়ে এগিয়ে যাবেন এবং তাদের অধিকার মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করব। ইনশাল্লাহ আমরা এক নতুন যুগের সূচনা করব, যেখানে নারীরা নিজেদের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ ঘটিয়ে সমাজের অগ্রগতি ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিসহ সকল ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। শিক্ষা ক্ষেত্রেও নারীরা যে, অগ্রগামিতা দেখাচ্ছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বাংলাদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নারীরা ছিলেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন অগ্রণী ভূমিকার অধিকারী। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ১৬ বছরের দুর্বার আন্দোলনে বিএনপি এবং সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের নারী নেতাকর্মী-সমর্থকদের ছিল অনন্য-অদম্য ভূমিকা।

রিজভী আরও বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি নারীর ক্ষমতায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও দেশের নারীরা সকল সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। তাদের শক্তি, সাহস এবং অবদান দেশের উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আর নারীদের সেই ক্ষমতায়নের রাজনৈতিক পাথেয় হিসেবে সবসময় পাশে থাকবে বিএনপি।

রিজভী আরো বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন কীভাবে মিছিল করে তা সরকারকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। সরকারকে লক্ষ্য রাখতে হবে, দেশে যেন অশুভ শক্তির উদয় না হয়। ক্যাম্পাসে মেয়েদের পোশাক নিয়ে উগ্রবাদী গোষ্ঠী কাজ করছে।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

বিএনপি ক্ষমতায় এলে নারীদের নিরাপত্তায় নতুন যুগের সূচনা করবে : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০২:১১:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের পথে জঙ্গিবাদ যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। নারীদের পোশাক নিয়ে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আধুনিক যুগে নারীদের বন্দি রাখলে সমাজ এগিয়ে যাবে না। বিএনপি ক্ষমতায় এলে নারীদের নিরাপত্তায় নতুন যুগের সূচনা করবে।

শনিবার (৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশজুড়ে নারীর প্রতি হেনস্তার পেছনে উগ্র গোষ্ঠীর মদদ থাকতে পারে। বাংলাদেশকে অতি রক্ষণশীল বানানোই তাদের লক্ষ্য। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে অতি রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত করতে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেশব্যাপী নারী হেনস্তার ঘটনা ঘটতে পারে।

রিজভী বলেন, বর্তমানে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন। সব সেক্টরে নারীদের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ ঘটাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে বিএনপি।

তিনি বলেন, দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে নারীরা যেমন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, ঠিক তেমনি অনলাইনেও তারা বিরূপ আচরণের শিকার হচ্ছেন। রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রী, নারী শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার নারীদের ইভটিজিং, শ্লীলতাহানী এবং হেনস্থা করা হচ্ছে। ধর্ষণ ও নির্যাতন করে নারীদেরকে হত্যা করা হচ্ছে।

রিজভী বলেন, একের পর এক নারীকে হেনস্থা ও আক্রমণ এবং সামগ্রিক বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি গড়ে উঠছে, তা রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা ও সম্প্রীতির জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, সামাজিক অবক্ষয়ের মাধ্যমে কেন আজ নারীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং এর পেছনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, সেটি যাচাই করা প্রয়োজন। এই অসভ্যতা ও সহিংসতার পেছনে কোনো উগ্র গোষ্ঠীর উস্কানি বা মদদ থাকতে পারে, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে এবং যাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে একটি অতি রক্ষণশীল রাষ্ট্র বানানো, যেন নারীরা নিজ দেশে অধিকারহীন হয়ে পড়েন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকের আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমরা যখন নারীর ক্ষমতায়ন নিরাপত্তা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার কথা বলছি, তখন আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাস্তবতা অত্যন্ত হতাশাজনক। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নারীদের প্রতি সহিংসতা, বৈষম্য ও অত্যাচারের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। সমাজে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য এবং নারীদের প্রতি সহিংসতা দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে, যা আমাদের জাতির জন্য উদ্বেগের কারণ। এই কঠিন বাস্তবতায় বিএনপি দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে নারীদের নিরাপত্তা মর্যাদা এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে এবং শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশেই নারীদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলেও বাংলাদেশে এখনও নারীরা নানা ধরণের বৈষম্য, সহিংসতা এবং শোষণের শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে দেশে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং তাদের অধিকারের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আশানুরূপ নয়। এই অবস্থার পরিবর্তন করতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত বিএনপি সরকার দূঢ়ভাবে অঙ্গিকারবদ্ধ যে, নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, তাদের উন্নয়ন এবং তাদের শোষণ ও নির্যাতন থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে একটি নারীবান্ধব, নিরাপদ ও স্বাধীন সমাজ গড়ে তোলা প্রয়োজন, যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই সমান অধিকার সুরক্ষা ও মর্যাদা ভোগ করবেন। নারীর ক্ষমতায়ন, সুরক্ষা এবং তাদের জীবনের মান উন্নয়নের জন্য বিএনপি সরকার শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে নারীদের আত্মনির্ভরশীলতা, ক্ষমতা ও উন্নয়নের নতুন দিগন্ত খুলে দিবে।

রিজভী বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে নারীরা সম্মানিত, সুরক্ষিত এবং সমর্থিত হয়ে এগিয়ে যাবেন এবং তাদের অধিকার মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করব। ইনশাল্লাহ আমরা এক নতুন যুগের সূচনা করব, যেখানে নারীরা নিজেদের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ ঘটিয়ে সমাজের অগ্রগতি ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিসহ সকল ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। শিক্ষা ক্ষেত্রেও নারীরা যে, অগ্রগামিতা দেখাচ্ছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বাংলাদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নারীরা ছিলেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন অগ্রণী ভূমিকার অধিকারী। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ১৬ বছরের দুর্বার আন্দোলনে বিএনপি এবং সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের নারী নেতাকর্মী-সমর্থকদের ছিল অনন্য-অদম্য ভূমিকা।

রিজভী আরও বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি নারীর ক্ষমতায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও দেশের নারীরা সকল সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। তাদের শক্তি, সাহস এবং অবদান দেশের উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আর নারীদের সেই ক্ষমতায়নের রাজনৈতিক পাথেয় হিসেবে সবসময় পাশে থাকবে বিএনপি।

রিজভী আরো বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন কীভাবে মিছিল করে তা সরকারকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। সরকারকে লক্ষ্য রাখতে হবে, দেশে যেন অশুভ শক্তির উদয় না হয়। ক্যাম্পাসে মেয়েদের পোশাক নিয়ে উগ্রবাদী গোষ্ঠী কাজ করছে।