Dhaka শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির দাবির প্রতি সমর্থন আছে, কর্মসূচির প্রতি নয় : সৈয়দ ফয়জুল করীম

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:২৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৯৫ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, বিএনপির দাবির প্রতি সমর্থন থাকলেও তাদের কর্মসূচির প্রতি সমর্থন নেই। সেটা সময়, পরিস্থিতি বলে দেবে আমরা সমর্থন করব কিনা’- বলেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

আগামী ৩ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠেয় মহাসমাবেশের সর্বশেষ প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করার জন্য এ সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করা হয়।

মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, নিরপেক্ষ, নির্দলীয়, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা সবাই ঐক্যমত। এই ব্যাপারে প্রত্যেকবার একই বক্তব্য আসছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত যুগপৎ আন্দোলনে আমরা অংশগ্রহণ করিনি। কিন্তু আমরা আগেই বলেছি- তাদের দাবির প্রতি ঐক্যতম আছে। কিন্তু কর্মসূচির প্রতি ঐক্যমত এখনও পোষণ করিনি। ভবিষ্যতে কী হবে, সেটা এখনই বলা যাবে না। ভবিষ্যতে একসঙ্গে কর্মসূচি হবে কী হবে না, সেটা সময় বলে দেবে।

বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ বসতে যাচ্ছে। সেখানে আপনারা অংশ নেবেন কিনা?

জবাবে ফয়জুল করীম বলেন, আমরা তো বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল চাই, তার সঙ্গে কীসের সংলাপ। এই নির্বাচন কমিশন তো মানুষের মৃত্যু কামনা করে। যারা মানুষের মৃত্যু কামনা করে, তাদের সঙ্গে কীসের সংলাপ। আমরা বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করার জন্যই শুক্রবার মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছি। ইসলামী আন্দোলন এই কমিশনের সঙ্গে কোনো সংলাপে যাবে না।

তিনি বলেন, কীসের সংলাপ? তারা কার সঙ্গে সংলাপ করবে? রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করেছে, দলটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা মির্জা আব্বাস ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে আটক করেছে। এখন তারা কার সাথে সংলাপ করবে?
গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি চান মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেন, আন্দোলনের সময় যাদেরকে রাজপথ থেকে আটক করা হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য এই সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

বিএনপি তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে আর আপনারা বলছেন জাতীয় সরকারের কথা, এই জাতীয় সরকারের রূপরেখা কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে জাতীয় সরকার হবে। তারাই নির্ধারণ করবে সরকারপ্রধান কে হবেন।

পুলিশের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, যারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছেন, তাদের কাজ হলো জনগণের নিরাপত্তা প্রদান করা। তাই আমি রাষ্ট্রপক্ষের সবাইকে বলব— জনগণের বন্ধু কোনো দলের নয়, জনগণকে ভালোবাসেন কোনো দলকে নয়।

২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে একজন পুলিশ সদস্য, একজন সাংবাদিক, একজন রাজনৈতিক কর্মীসহ যারা নিহত হয়েছেন, তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এই হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত চান ইসলামী আন্দোলনের এই শীর্ষ নেতা।

চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে চলতি সংসদ ভেঙে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সর্বকালের সর্ববৃহৎ মহাসমাবেশ করার কথা জানিয়েছে তিনি।
রেজাউল করীম বলেন, শুক্রবার (৩ নভেম্বর) যে মহাসমাবেশ হবে সেখান থেকে ইসলামী আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

কী ধরনের কর্মসূচি আসতে পারে জানতে চাইলে ফয়জুল করিম বলেন, পরিস্থিতির আলোকে সেটা আগামীকাল মহাসমাবেশে জানিয়ে দেওয়া হবে।

মহাসমাবেশ কত লোক হতে পারে জানতে চাইলে ফয়জুল করিম বলেন, সংখ্যা বলা যাবে না, তবে আশা করি সর্বকালের সর্ববৃহৎ মহাসমাবেশ হবে। এ মহাসমাবেশ কোনো দলের নয়, এটি সব জনগণের।

মহাসমাবেশ ঘিরে কোনো শঙ্কা দেখছেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফয়জুল করিম বলেন, কিছু কিছু জায়গায় আমাদের নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছিল। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। যতক্ষণ সমাবেশ না হচ্ছে ততক্ষণ আমরা শঙ্কামুক্ত নই। কারণ সরকার কখন কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটা তো জানা যায় না।

সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাকী ও মিডিয়া সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম কবির প্রমূখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

বিএনপির দাবির প্রতি সমর্থন আছে, কর্মসূচির প্রতি নয় : সৈয়দ ফয়জুল করীম

প্রকাশের সময় : ০৪:২৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, বিএনপির দাবির প্রতি সমর্থন থাকলেও তাদের কর্মসূচির প্রতি সমর্থন নেই। সেটা সময়, পরিস্থিতি বলে দেবে আমরা সমর্থন করব কিনা’- বলেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

আগামী ৩ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠেয় মহাসমাবেশের সর্বশেষ প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করার জন্য এ সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করা হয়।

মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, নিরপেক্ষ, নির্দলীয়, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা সবাই ঐক্যমত। এই ব্যাপারে প্রত্যেকবার একই বক্তব্য আসছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত যুগপৎ আন্দোলনে আমরা অংশগ্রহণ করিনি। কিন্তু আমরা আগেই বলেছি- তাদের দাবির প্রতি ঐক্যতম আছে। কিন্তু কর্মসূচির প্রতি ঐক্যমত এখনও পোষণ করিনি। ভবিষ্যতে কী হবে, সেটা এখনই বলা যাবে না। ভবিষ্যতে একসঙ্গে কর্মসূচি হবে কী হবে না, সেটা সময় বলে দেবে।

বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ বসতে যাচ্ছে। সেখানে আপনারা অংশ নেবেন কিনা?

জবাবে ফয়জুল করীম বলেন, আমরা তো বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল চাই, তার সঙ্গে কীসের সংলাপ। এই নির্বাচন কমিশন তো মানুষের মৃত্যু কামনা করে। যারা মানুষের মৃত্যু কামনা করে, তাদের সঙ্গে কীসের সংলাপ। আমরা বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করার জন্যই শুক্রবার মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছি। ইসলামী আন্দোলন এই কমিশনের সঙ্গে কোনো সংলাপে যাবে না।

তিনি বলেন, কীসের সংলাপ? তারা কার সঙ্গে সংলাপ করবে? রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করেছে, দলটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা মির্জা আব্বাস ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে আটক করেছে। এখন তারা কার সাথে সংলাপ করবে?
গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি চান মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেন, আন্দোলনের সময় যাদেরকে রাজপথ থেকে আটক করা হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য এই সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

বিএনপি তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে আর আপনারা বলছেন জাতীয় সরকারের কথা, এই জাতীয় সরকারের রূপরেখা কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে জাতীয় সরকার হবে। তারাই নির্ধারণ করবে সরকারপ্রধান কে হবেন।

পুলিশের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, যারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছেন, তাদের কাজ হলো জনগণের নিরাপত্তা প্রদান করা। তাই আমি রাষ্ট্রপক্ষের সবাইকে বলব— জনগণের বন্ধু কোনো দলের নয়, জনগণকে ভালোবাসেন কোনো দলকে নয়।

২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে একজন পুলিশ সদস্য, একজন সাংবাদিক, একজন রাজনৈতিক কর্মীসহ যারা নিহত হয়েছেন, তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এই হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত চান ইসলামী আন্দোলনের এই শীর্ষ নেতা।

চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে চলতি সংসদ ভেঙে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সর্বকালের সর্ববৃহৎ মহাসমাবেশ করার কথা জানিয়েছে তিনি।
রেজাউল করীম বলেন, শুক্রবার (৩ নভেম্বর) যে মহাসমাবেশ হবে সেখান থেকে ইসলামী আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

কী ধরনের কর্মসূচি আসতে পারে জানতে চাইলে ফয়জুল করিম বলেন, পরিস্থিতির আলোকে সেটা আগামীকাল মহাসমাবেশে জানিয়ে দেওয়া হবে।

মহাসমাবেশ কত লোক হতে পারে জানতে চাইলে ফয়জুল করিম বলেন, সংখ্যা বলা যাবে না, তবে আশা করি সর্বকালের সর্ববৃহৎ মহাসমাবেশ হবে। এ মহাসমাবেশ কোনো দলের নয়, এটি সব জনগণের।

মহাসমাবেশ ঘিরে কোনো শঙ্কা দেখছেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফয়জুল করিম বলেন, কিছু কিছু জায়গায় আমাদের নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছিল। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। যতক্ষণ সমাবেশ না হচ্ছে ততক্ষণ আমরা শঙ্কামুক্ত নই। কারণ সরকার কখন কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটা তো জানা যায় না।

সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাকী ও মিডিয়া সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম কবির প্রমূখ।