নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল-ফারাবি এই দিন ধার্য করেন।
মামলাটির আজ অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।
আদালতের আদেশে বলা হয়, চলতি বছর ১ জানুয়ারি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত এ মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশ দেন। ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার নিচে নন, এমন একজন মামলাটির অধিকতর তদন্ত করবেন।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মো. শহিদুল ইসলাম মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আবদুল্লাহ আবু আবেদনে বলেন, অভিযোগকারী ও অন্য পাঁচজন এর আগে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন এবং তাদের মধ্যে তিনজন আসামি হিসেবে অভিযোগকারী বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক ইশতিয়াক মাহমুদের নাম উল্লেখ করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তা অবশ্য অভিযোগপত্রে ইশতিয়াকের নাম অন্তর্ভুক্ত করেননি এবং তাই হামলার পেছনে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে আরও তদন্ত প্রয়োজন।’
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- নাইমুল হাসান, ফিরোজ মাহমুদ, মীর আমজাদ হোসেন, মো. সাজু ইসলাম, রাজিবুল ইসলাম রাজু, শহিদুল আলম খান কাজল, তান্না ওরফে তানহা ওরফে মুজাহিদ আজমি তান্না, সিয়াম ও অলি আহমেদ ওরফে জনি।
এরপর আনুমানিক রাত ১১টায় ছাত্রলীগের নাইমুল হাসান ওরফে রাসেলের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের একটি দল ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা মার্সা বার্নিকাটের গাড়ি ধাওয়া করলে রাষ্ট্রদূত দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এসময় সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বাড়িতেও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। তারা বাড়ির জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে বদিউল আলম, তার স্ত্রী ও ছেলেকে ছেলে মাহবুব মজুমদারকে জীবননাশের হুমকি দেন। মাহবুবকে ধাক্কা দিয়ে আঘাত করেন। বাড়ির প্রধান গেট ধাক্কাধাক্কি করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা চলে যান।
২০১৮ সালের ১০ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
২০১৮ সালের ৪ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত ৯ জনসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বদিউল আলমের ইকবাল রোডের বাসার কাছে জড়ো হয় এবং বার্নিকাটের গাড়ির পেছনে ধাওয়া করে। এরপর অভিযুক্তরা তাদের দিকে ইট ছুড়ে মারে। পরে আসামিরা অভিযোগকারীর বাড়ি ভাঙচুর করে এবং তার স্ত্রী ও ছেলেকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।