Dhaka রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের বিচার হবে, কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের মতো ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের বিচার হবে, শাস্তি হবে। আমরা কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবো।

তিনি বলেন, ব্যাংকে ডাকাতি ছোট ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না। কুকি-চিনকে কঠোরভাবে দমনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা আলোচনার মধ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেন হঠাৎ করে তারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমাদের জানা ছিল না। তবে যে উদ্দেশ্যেই তারা এসব করুক না কেন; আমরা তাদের কাউকে ছাড় দেব না। আর এমন কিছু ঘটেনি, যাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হবে। আমরা দেখছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আগে সবকিছু জেনে নিচ্ছি, তারপর সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এমন তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, এর পেছনে কারা আছেন, কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না? কোনো ধরনের নাশকতা কিংবা অন্য কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না, সেগুলো দেখে সেই অনুসারে ব্যবস্থা নেব। কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেভাবে তথ্য দিচ্ছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেভাবেই কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী আরো বলেন, পয়লা বৈশাখ কিংবা অন্য কিছু নিয়ে নাশকতার কোনো তথ্য আমাদের কাছে এখনো আসেনি। আবার না এলেও আমাদের যে সতর্কতা, সেটা নেওয়া হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা হামলার কারণ বের করবো। আর যারাই দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এটার পেছনে ভূ-রাজনৈতিক কোনো বিষয় আছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনো এ ধরনের কোনো তথ্য নেই। অনেক কিছু হতে পারে। তথ্য না জেনে আমরা কিছু বলতে পারবো না।’

নির্বাচনের আগে দেখেছি, বাসে আগুন, ট্রেনে আগুন, এটা সেটার ধারাবাহিকতা কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ সবকিছু আমরা দেখছি। একের পর এক আগুন লাগাটাও আমার কাছে আশ্চর্য লেগেছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এটা কোনো কিছুর ইঙ্গিত কি না কিংবা এটার পেছনে কিছু আছে কি না, সেটার জন্য আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই- অল্প সময়ের মধ্যে এত শিল্প-কারখানায় আগুন লাগার পেছনে কোনো রহস্য আছে কি না, আমরা দেখছি। দেখে আমরা ব্যবস্থা নেবো।’

প্রধানমন্ত্রী কী নির্দেশনা দিয়েছেন- প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তিনি পরিষ্কর করে নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি প্রত্যেক মিটিংয়েই পরিষ্কার করে বলে দেন। নতুন কোনো নির্দেশনা নেই। নির্দেশনা এইটুকুই- এদের খুঁজে বের করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, কুকি চিনের আস্তানা র‌্যাব ও সেনাবাহিনী নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। আমাদের সীমানা পার হয়ে ভিন্ন কোনো দেশে তারা আশ্রয় নিয়েছিল। সেভাবে তারা আশ্রয় নিয়েছিল। এখন তারা কোথা থেকে আসছে, কীভাবে আসছে- মাঝে মাঝে তাদের প্রতিনিধি এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলে। তারা বলতেছিল- তারা শান্তি চায়, এই এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য, অনেক কিছুই বলছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আক্রমণ, হঠাৎ করে ব্যাংক ডাকাতি- আমাদের কাছেও এটা নতুন কোনো বিষয় মনে হচ্ছে।

তিনি বলেন, সেজন্য আমরা বলছি- যারা ঘটিয়েছে, তাদের বিচার হবে, শাস্তি হবে। আইনানুগভাবে আমরা কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবো।
আবার খুবই অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকটি বড় বড় শিল্পকারখানায় আগুন ধরার পেছনে কোনো রহস্য আছে কি না তাও খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন আসাদুজ্জামান খান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে বিদেশে-অনলাইনে পরে থাকতে হবে : তারেককে ইঙ্গিত করে পাটওয়ারী

বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশের সময় : ০৩:১৫:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের বিচার হবে, কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের মতো ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের বিচার হবে, শাস্তি হবে। আমরা কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবো।

তিনি বলেন, ব্যাংকে ডাকাতি ছোট ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না। কুকি-চিনকে কঠোরভাবে দমনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা আলোচনার মধ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেন হঠাৎ করে তারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমাদের জানা ছিল না। তবে যে উদ্দেশ্যেই তারা এসব করুক না কেন; আমরা তাদের কাউকে ছাড় দেব না। আর এমন কিছু ঘটেনি, যাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হবে। আমরা দেখছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আগে সবকিছু জেনে নিচ্ছি, তারপর সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এমন তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, এর পেছনে কারা আছেন, কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না? কোনো ধরনের নাশকতা কিংবা অন্য কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না, সেগুলো দেখে সেই অনুসারে ব্যবস্থা নেব। কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেভাবে তথ্য দিচ্ছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেভাবেই কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী আরো বলেন, পয়লা বৈশাখ কিংবা অন্য কিছু নিয়ে নাশকতার কোনো তথ্য আমাদের কাছে এখনো আসেনি। আবার না এলেও আমাদের যে সতর্কতা, সেটা নেওয়া হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা হামলার কারণ বের করবো। আর যারাই দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এটার পেছনে ভূ-রাজনৈতিক কোনো বিষয় আছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনো এ ধরনের কোনো তথ্য নেই। অনেক কিছু হতে পারে। তথ্য না জেনে আমরা কিছু বলতে পারবো না।’

নির্বাচনের আগে দেখেছি, বাসে আগুন, ট্রেনে আগুন, এটা সেটার ধারাবাহিকতা কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ সবকিছু আমরা দেখছি। একের পর এক আগুন লাগাটাও আমার কাছে আশ্চর্য লেগেছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এটা কোনো কিছুর ইঙ্গিত কি না কিংবা এটার পেছনে কিছু আছে কি না, সেটার জন্য আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই- অল্প সময়ের মধ্যে এত শিল্প-কারখানায় আগুন লাগার পেছনে কোনো রহস্য আছে কি না, আমরা দেখছি। দেখে আমরা ব্যবস্থা নেবো।’

প্রধানমন্ত্রী কী নির্দেশনা দিয়েছেন- প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তিনি পরিষ্কর করে নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি প্রত্যেক মিটিংয়েই পরিষ্কার করে বলে দেন। নতুন কোনো নির্দেশনা নেই। নির্দেশনা এইটুকুই- এদের খুঁজে বের করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, কুকি চিনের আস্তানা র‌্যাব ও সেনাবাহিনী নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। আমাদের সীমানা পার হয়ে ভিন্ন কোনো দেশে তারা আশ্রয় নিয়েছিল। সেভাবে তারা আশ্রয় নিয়েছিল। এখন তারা কোথা থেকে আসছে, কীভাবে আসছে- মাঝে মাঝে তাদের প্রতিনিধি এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলে। তারা বলতেছিল- তারা শান্তি চায়, এই এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য, অনেক কিছুই বলছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আক্রমণ, হঠাৎ করে ব্যাংক ডাকাতি- আমাদের কাছেও এটা নতুন কোনো বিষয় মনে হচ্ছে।

তিনি বলেন, সেজন্য আমরা বলছি- যারা ঘটিয়েছে, তাদের বিচার হবে, শাস্তি হবে। আইনানুগভাবে আমরা কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবো।
আবার খুবই অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকটি বড় বড় শিল্পকারখানায় আগুন ধরার পেছনে কোনো রহস্য আছে কি না তাও খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন আসাদুজ্জামান খান।