Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ৪ যুবকের যাবজ্জীবন

বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি : 

বান্দরবানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে চার যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৯ মার্চ) সকালে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেবুন্নাহার আয়শা এ আদেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. রাশেদ, মো. কায়ছার, ওমর ফারুক ও মো. হানিফ। এদের প্রত্যেকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জঙ্গল পদুয়া এলাকার বাসিন্দা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মো. রাশেদের সঙ্গে অপরিচিত নাম্বারে পরিচয় হয় এক কিশোরীর। পরে পরিচয় পর্ব চুকিয়ে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাতে মো. রাশেদ ফোনে কিশোরীটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পদুয়া এলাকায় আসতে বলেন। তার কথা বিশ্বাস করে পরদিন ওই কিশোরী আমিরাবাদ এলাকায় পৌঁছালে রাশেদ ফোনে বলেন, তার দেরি হবে এবং তার বন্ধু ওমর ফারুকের সঙ্গে যেন পদুয়ায় আসে। পরে পদুয়া পৌঁছালে সেখান থেকে কাজীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে পাহাড়ের জঙ্গল পথে তাকে বান্দরবানের ভাগ্যকুল এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর তারা কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে আর্তচিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীটিকে উদ্ধার করে। এ সময় ধর্ষক রাশেদ, কায়ছার ও ওমর ফারুককে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে ভুক্তভোগী কিশোরী বাদী হয়ে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে বান্দরবান থানায় মামলা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আজ এই রায় দেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক আজ অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে পুলিশি হেফাজতে থাকা মো. কায়ছারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। মো. রাশেদ, ওমর ফারুক,মো. হানিফ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বক্তব্য দিতে গিয়ে মঞ্চে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির

বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ৪ যুবকের যাবজ্জীবন

প্রকাশের সময় : ০৯:৫০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি : 

বান্দরবানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে চার যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৯ মার্চ) সকালে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেবুন্নাহার আয়শা এ আদেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. রাশেদ, মো. কায়ছার, ওমর ফারুক ও মো. হানিফ। এদের প্রত্যেকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জঙ্গল পদুয়া এলাকার বাসিন্দা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মো. রাশেদের সঙ্গে অপরিচিত নাম্বারে পরিচয় হয় এক কিশোরীর। পরে পরিচয় পর্ব চুকিয়ে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাতে মো. রাশেদ ফোনে কিশোরীটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পদুয়া এলাকায় আসতে বলেন। তার কথা বিশ্বাস করে পরদিন ওই কিশোরী আমিরাবাদ এলাকায় পৌঁছালে রাশেদ ফোনে বলেন, তার দেরি হবে এবং তার বন্ধু ওমর ফারুকের সঙ্গে যেন পদুয়ায় আসে। পরে পদুয়া পৌঁছালে সেখান থেকে কাজীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে পাহাড়ের জঙ্গল পথে তাকে বান্দরবানের ভাগ্যকুল এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর তারা কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে আর্তচিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীটিকে উদ্ধার করে। এ সময় ধর্ষক রাশেদ, কায়ছার ও ওমর ফারুককে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে ভুক্তভোগী কিশোরী বাদী হয়ে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে বান্দরবান থানায় মামলা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আজ এই রায় দেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক আজ অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে পুলিশি হেফাজতে থাকা মো. কায়ছারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। মো. রাশেদ, ওমর ফারুক,মো. হানিফ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।