Dhaka রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকবে চীন : চীনা রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা প্রশমনের জন্য সন্ত্রাসবাদের অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, এমন সংকটময় সময়ে চীন সবসময়ই সত্েযর পক্ষে থাকবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকবে তার দেশ।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিস) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ৫ দশক: নতুন উচ্চতার দিকে যাত্রা’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে বিস।

অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ থেকে বাংলাদেশকে অবশ্যই মুক্ত থাকতে হবে। নিজেদের বিষয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে দুইদেশ একত্রে কাজ করে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও গভীর হবে। দুইদেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় নিতে বাংলাদেশ ও চায়না প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, পাক-ভারত চলমান পরিস্থিতি নিয়ে চীন উদ্বিগ্ন। বিদ্যমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে দুপক্ষকেই শান্ত থাকতে হবে। অন্যথায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে। চীন সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধীতা করে। এ সময় পেহেলগামের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানান তিনি।

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা পরিহার করে উভয়পক্ষকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এই সঙ্কটের সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়ে ইয়াও ওয়েন বলেন, ভারত ও পাকিস্তান দুটোই চীনের প্রতিবেশী দেশ। তবে ৭ মে দুই দেশের মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে, চীন তা নিয়ে ইতোমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা পরিহার করে উভয়পক্ষকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এই সঙ্কটের সমাধানের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, চীন সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। কাশ্মীর হামলার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে।

সেমিনারে মূল বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, চীন-বাংলাদেশের সম্পর্ক শুধু ৫০ বছরের নয়, এই দুই দেশের সম্পর্ক হাজার বছরের। চীন বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। অবকাঠামো উন্নয়ন ও বাণিজ্য সহযোগিতায় চীন বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

তিনি বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র উল্লেখযোগ্য। সেটা হলো, চীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে কখনো কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। আরেকটি হলো, চীন বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে গভীর সম্পর্ক রাখে।

ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, তিস্তা ইস্যু, চিকিৎসা, যুব উন্নয়ন, উচ্চগতি সম্পন্ন রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি খাতে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এএফএম গাউসুল আজম সরকার। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিস মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সারাদেশের সব পোশাক কারখানা ৫ আগস্ট বন্ধ

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকবে চীন : চীনা রাষ্ট্রদূত

প্রকাশের সময় : ০২:০৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা প্রশমনের জন্য সন্ত্রাসবাদের অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, এমন সংকটময় সময়ে চীন সবসময়ই সত্েযর পক্ষে থাকবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকবে তার দেশ।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিস) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ‘বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ৫ দশক: নতুন উচ্চতার দিকে যাত্রা’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে বিস।

অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ থেকে বাংলাদেশকে অবশ্যই মুক্ত থাকতে হবে। নিজেদের বিষয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে দুইদেশ একত্রে কাজ করে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও গভীর হবে। দুইদেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় নিতে বাংলাদেশ ও চায়না প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, পাক-ভারত চলমান পরিস্থিতি নিয়ে চীন উদ্বিগ্ন। বিদ্যমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে দুপক্ষকেই শান্ত থাকতে হবে। অন্যথায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে। চীন সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধীতা করে। এ সময় পেহেলগামের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানান তিনি।

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা পরিহার করে উভয়পক্ষকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এই সঙ্কটের সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়ে ইয়াও ওয়েন বলেন, ভারত ও পাকিস্তান দুটোই চীনের প্রতিবেশী দেশ। তবে ৭ মে দুই দেশের মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে, চীন তা নিয়ে ইতোমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা পরিহার করে উভয়পক্ষকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এই সঙ্কটের সমাধানের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, চীন সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। কাশ্মীর হামলার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে।

সেমিনারে মূল বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, চীন-বাংলাদেশের সম্পর্ক শুধু ৫০ বছরের নয়, এই দুই দেশের সম্পর্ক হাজার বছরের। চীন বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। অবকাঠামো উন্নয়ন ও বাণিজ্য সহযোগিতায় চীন বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

তিনি বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র উল্লেখযোগ্য। সেটা হলো, চীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে কখনো কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। আরেকটি হলো, চীন বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে গভীর সম্পর্ক রাখে।

ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, তিস্তা ইস্যু, চিকিৎসা, যুব উন্নয়ন, উচ্চগতি সম্পন্ন রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি খাতে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এএফএম গাউসুল আজম সরকার। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিস মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস।