Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশি ভ্যাকসিনকে স্বীকৃতি দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

গ্লোবের ভ্যাকসিন

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের করোনা ভ্যাকসিন ‘ব্যানকোভিড’কে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৫ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেকের আবিষ্কৃত তিনটি ভ্যাকসিনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছে।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গ্লোব বায়োটেক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, শুধু মাত্র গ্লোব বায়োটেকই বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের তিনটি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকায় স্থান পেয়েছে।

এর আগে দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম বলে জানিয়েছিল মার্কিন মেডিকেল জার্নাল বায়োআর্কাইভ। ৩০ সেপ্টেম্বর বায়োআর্কাইভ মেডিকেল জার্নালে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়।

গ্লোবের টিকা আবিষ্কার গবেষক দলের সদস্য মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, আমাদের গ্লোব বায়োটেক আবিষ্কৃত তিনটা করোনা ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে। তাদের যে ল্যান্ডস্কেপ একটা তালিকা আছে সেখানে। তারা আমাদের তিনটা ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। গত ১৫ অক্টোবর তারা এ অন্তর্ভুক্তি করেছে। গতকাল রাতে বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি।

আরও পড়ুন : জন্ম নিয়েই চিকিৎসকের মাস্ক ধরে টান নবজাতকের

অন্যদিকে গ্লোব বায়োটেকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ অক্টোবর আমাদের আবিষ্কৃত তিনটি ভ্যাকসিনকে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তিনটি হলো D614G variant mRNA vaccine, DNA Plasmid vaccine এবং Adenovirus Type-5 Vector Vaccine। বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকই বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যাদের সর্বোচ্চ তিনটি ভ্যাকসিনের নাম এ তালিকায় রয়েছে।

এর আগে ৫ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড জানায়, খরগোশ ও ইদুরের শরীরে প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ভালো সাফল্য পেয়ে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পথে রয়েছে তারা।

প্রতিষ্ঠানটি তখন বলেছিল, হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমতি দ্রুত পাওয়া গেলে আগামী জানুয়ারির মধ্যে ‘বিএনকোভিড’ নামের ভ্যাকসিনটি বাজারে আনার ব্যাপারে তারা আশাবাদী।

সেদিন বাংলাদেশি ওই ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানটি আরও বলে, তারা ভ্যাকসিনটি আবিষ্কারের প্রক্রিয়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তবে প্রয়োজনীয় বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এর আগে, ২ জুলাই গ্লোব বায়োটেক আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়, তারা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পথে রয়েছে এবং তাদের প্রাথমিক পরীক্ষা সফল হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না : জ্বালানি উপদেষ্টা

বাংলাদেশি ভ্যাকসিনকে স্বীকৃতি দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রকাশের সময় : ০৫:১৩:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের করোনা ভ্যাকসিন ‘ব্যানকোভিড’কে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৫ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেকের আবিষ্কৃত তিনটি ভ্যাকসিনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছে।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গ্লোব বায়োটেক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, শুধু মাত্র গ্লোব বায়োটেকই বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের তিনটি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকায় স্থান পেয়েছে।

এর আগে দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম বলে জানিয়েছিল মার্কিন মেডিকেল জার্নাল বায়োআর্কাইভ। ৩০ সেপ্টেম্বর বায়োআর্কাইভ মেডিকেল জার্নালে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়।

গ্লোবের টিকা আবিষ্কার গবেষক দলের সদস্য মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, আমাদের গ্লোব বায়োটেক আবিষ্কৃত তিনটা করোনা ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে। তাদের যে ল্যান্ডস্কেপ একটা তালিকা আছে সেখানে। তারা আমাদের তিনটা ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। গত ১৫ অক্টোবর তারা এ অন্তর্ভুক্তি করেছে। গতকাল রাতে বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি।

আরও পড়ুন : জন্ম নিয়েই চিকিৎসকের মাস্ক ধরে টান নবজাতকের

অন্যদিকে গ্লোব বায়োটেকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ অক্টোবর আমাদের আবিষ্কৃত তিনটি ভ্যাকসিনকে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তিনটি হলো D614G variant mRNA vaccine, DNA Plasmid vaccine এবং Adenovirus Type-5 Vector Vaccine। বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকই বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যাদের সর্বোচ্চ তিনটি ভ্যাকসিনের নাম এ তালিকায় রয়েছে।

এর আগে ৫ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড জানায়, খরগোশ ও ইদুরের শরীরে প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ভালো সাফল্য পেয়ে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পথে রয়েছে তারা।

প্রতিষ্ঠানটি তখন বলেছিল, হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমতি দ্রুত পাওয়া গেলে আগামী জানুয়ারির মধ্যে ‘বিএনকোভিড’ নামের ভ্যাকসিনটি বাজারে আনার ব্যাপারে তারা আশাবাদী।

সেদিন বাংলাদেশি ওই ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানটি আরও বলে, তারা ভ্যাকসিনটি আবিষ্কারের প্রক্রিয়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তবে প্রয়োজনীয় বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এর আগে, ২ জুলাই গ্লোব বায়োটেক আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়, তারা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পথে রয়েছে এবং তাদের প্রাথমিক পরীক্ষা সফল হয়েছে।