নিজস্ব প্রতিবেদক :
বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এবারের উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি) অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয়। ইতোমধ্যে অনেক কোম্পানি বিডিংয়ে অংশ নেওয়ার আগ্রহ জানিয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। ‘বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড-২০২৪’ উপলক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, মার্কিন বড় বড় কোম্পানিসহ আন্তর্জাতিক অনেক কোম্পানি বাংলাদেশের এবারের বিডিংয়ে অংশ নেয়ার আগ্রহ জানিয়েছে। চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দরপত্র জমার সময় দেয়া হয়েছে। এরপর বাছ-বিচার করে দেখা হবে কোন কোম্পানিকে কাজ দেয়া যায়।
নসরুল হামিদ বলেন, ২০১৬ সালে অফশোরে মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভের কাজ শুরু হয়। টেন্ডার প্রসেস করতে গিয়ে ৩ বছর ও করোনার কারণে ২ বছর পিছিয়ে যায়। তবে এখন গভীর সমুদ্রের ১৩ হাজার কিলোমিটারের ডাটা আমাদের হাতে চলে এসেছে। আমেরিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশ এখানে কাজ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গভীর সমুদ্রে চিহ্নিত ২৪টি ব্লকের বিডিং রাউন্ড আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। আমরা চাচ্ছি বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানগুলো বিডিংয়ে অংশগ্রহণ করুক। ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমেই কাজটি করা হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, মার্কিন বড় বড় কোম্পানিসহ আন্তর্জাতিক অনেক কোম্পানি বাংলাদেশের এবারের বিডিংয়ে অংশ নেওয়ার আগ্রহ জানিয়েছে। চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দরপত্র জমার সময় দেওয়া হয়েছে। এরপর বাছ-বিচার করে দেখা হবে কোন কোম্পানিকে কাজ দেয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহি চৌধুরী বীরবিক্রম বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আগ্রহী কোম্পানিগুলোর ব্যাপক সাড়া পাবো। ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের সঙ্গে সমন্বয় করে গ্যাসের দাম নির্ধারণ করাটা আমাদের জন্য ইতিবাচক। বেশ কিছু বিষয় যুক্ত করে এটিকে আকর্ষণীয় করা হয়েছে। আগ্রহীদের জন্য ৪ বছরের সার্ভে করার সুযোগ থাকছে। এরপর তারা অনুসন্ধানে যেতে আবার সময় নেবে। যারা এতদিন আগ্রহ দেখিয়েছিল তারা এগিয়ে আসবে বলে আশা করছি। সমালোচনা যারা করেন তাদের মুখে ছাই দিয়ে আমরা আর্থিক ব্যবস্থাপনার ওপর একটি ইতিবাচক জায়গা দেখাতে পেরেছি। এই যাত্রা যেন সাফল্যমণ্ডিত হয়।’
সভাপতির বক্তব্যে জ্বালানি সচিব নুরুল আলম বলেন, ‘এবারের পিএসসি গত কয়েকবারের তুলনায় সবচেয়ে আকর্ষণীয়। একমাসের মধ্যে প্রমোশনাল সেমিনার করবো। আগ্রহীদের যদি আলাদা কোনও ডাটা প্রয়োজন হয়, সেটি তাদের আমরা সরবরাহ করবো। সবগুলো দূতাবসে যোগাযোগ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের সম্পদ আহরণে মনোযোগ দিতে হবে। শুধু অফশোর না, অনশোরেও তেল গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রেও আমরা বিদেশি কোম্পানিদের আকৃষ্ট করতে চাই।’
স্বাগত বক্তব্যে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ‘আমরা ৫৫ আইওসির কাছে আহ্বান জানিয়েছি। জমা দেওয়ার ১৮০ দিন পর ৯ সেপ্টেম্বর তা খোলা হবে। দুইটি ডাটা সেন্টার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভে করা হয়েছে। সেখানে থেকে ডাটা কেনা যাবে। প্রমোশনাল সেমিনার হবে ঈদের পর।’
তিনি আরও বলেন, ‘৯টি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছি। ইকোনমিকসে বিজ্ঞাপন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রয়্যালিটি দিতে হবে না। তেল পেলে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দাম নির্ধারণ করা হবে। ব্যাংক গ্যারান্টি একেবারে মিনিমাম রাখা হবে। সবচেয়ে আকর্ষণীয়, কষ্ট রিকোভারি ৭৫ ভাগ প্রতি বছর। যদি কোনও ঠিকাদার ড্যামেজ করে তাহলে দায় নিতে হবে।