Dhaka রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন পৃথিবীর কোনো শক্তিই ঠেকাতে পারবে না : প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৃথিবীর কোনো শক্তিই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সাম্প্রতিক বিষয়াবলী নিয়ে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলরে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকের উপদেষ্টামণ্ডলীর বৈঠক থেকে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে স্থানীয় প্রশাসনকে আরো সক্রিয়ভাবে কাজ করার কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয় সে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

এ সময় প্রেসসচিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন। শফিকুল আলম বলেন, ডাকসু নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে হয় সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

এসময় ঝটিকা মিছিল ও বেআইনি সমাবেশের বিষয়ে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে ১০ জন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। এ বৈঠকে সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের মিছিলের বিষয়টি নিয়ে আলাপ হয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, পরাজিত শক্তি বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে সকল শক্তি নিয়ে মাঠে নামছে, যা সার্বিক নিরাপত্তার প্রশ্ন। নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সহযোগিতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বৈঠক থেকে।

আসন্ন দুর্গাপূজা নিয়ে তিনি বলেন, দুর্গাপূজা যেন নির্বিঘ্ন হয়, নিরাপত্তা যেন আগে থেকে নেয়া হয় সে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেন সব ধর্মীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হয়।

শফিকুল আলম বলেন, পরাজিত শক্তি বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে সকল শক্তি নিয়ে মাঠে নামছে যা সার্বিক নিরাপত্তার প্রশ্ন। নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সহযোগিতা বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে বৈঠক থেকে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মী অসন্তোষ দূর করতে ও তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে কাজ করতে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সমস্যা সমাধানে দুটি কমিটি করা হয়েছে। বদলিকৃতদের পূর্বের জায়গায় ফেরানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সাময়িক বরখাস্তদের পূর্বের পদে ফেরানোরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ সময় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে আন্দোলনে দেশবিরোধী শক্তি ইন্ধন দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন প্রেস সচিব।

তিনি বলেন, কর্মীদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া বাস্তবায়নে কাজ শুরু হয়েছে। কর্মবিরতির কোনো প্রয়োজন দেখছে না অন্তর্বর্তী সরকার। আন্দোলনের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও গ্রাহকসেবা ব্যাহত হলে সরকার কঠিন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।

শফিকুল আলম বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে উন্নতি হয় সেজন্য সরকার সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে। আপনাদের বুঝতে হবে বিক্ষোভ কর্মসূচিসহ ৫ আগস্টের পর ১ হাজার ৬১৫টার মতো ঘটনা ঘটেছে। গড়ে প্রতিদিন ৪টি করে ঘটনা ঘটেছে বা বিক্ষোভ হয়েছে। তার মধ্যে ৬০০টি ঘটনা ছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত। একটা বিপ্লবের পড়ে যে চাওয়া তৈরি হয়েছে সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে সবাই বিক্ষোভ করছেন। সবাই তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে রাস্তায় আসছেন। যেহেতু আগের সরকার গত ১৫ বছর নিপীড়ন করেছে, এই ধরনের বিক্ষোভকে দমন করেছে, তাই এখন সবাই তাদের দাবি দাওয়াগুলো এই সরকারের সময় আনছেন। এই সরকার এবং আইনশৃঙ্খলাবাহিনী যথেষ্ট ধৈর্যের সঙ্গে এই বিষয়গুলো মোকাবিলা করছে।

প্রেস সচিব বলেন, এখন যদি এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে জানতে চান, তাহলে বলি— রাজবাড়ীর ঘটনায় সেখানকার ডিসি দুইবার মিটিং করেছেন, টিএনও বেশ কয়েকবার সেখানকার ইমান আকিদা কমিটির সঙ্গে কথা বলেছেন। এখন স্থানীয় পর্যায়ে তাদের সঙ্গে বারবার মিটিং করা হচ্ছে, প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা তাদের প্রতিশ্রুতির কথাও বলেছেন যে, তারা তাদের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ রাখবেন। তারপর যে ঘটনা ঘটলো, এটা খুবই ন্যাক্কারজনক একটি ঘটনা। এটা তো সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে সেটার নিন্দা জানানো। সরকারের যে বলিষ্ঠ কণ্ঠ সেটা তো বলতে হবে।

তিনি বলেন, আর প্রত্যেকটা ঘটনায় আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এমন না যে বসে থাকা হচ্ছে। নুরুল হক নুরের ঘটনায় আমরা ঘোষণা দিয়েছি একটা তদন্ত কমিটি হয়েছে। তারা তদন্ত করে দেখবে কীভাবে হলো, কার এখানে দোষ ছিল, কেন এই ঘটনা ঘটলো।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন পৃথিবীর কোনো শক্তিই ঠেকাতে পারবে না : প্রেস সচিব

প্রকাশের সময় : ০৭:০৮:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৃথিবীর কোনো শক্তিই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সাম্প্রতিক বিষয়াবলী নিয়ে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলরে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকের উপদেষ্টামণ্ডলীর বৈঠক থেকে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে স্থানীয় প্রশাসনকে আরো সক্রিয়ভাবে কাজ করার কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয় সে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

এ সময় প্রেসসচিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন। শফিকুল আলম বলেন, ডাকসু নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে হয় সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

এসময় ঝটিকা মিছিল ও বেআইনি সমাবেশের বিষয়ে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে ১০ জন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। এ বৈঠকে সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের মিছিলের বিষয়টি নিয়ে আলাপ হয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, পরাজিত শক্তি বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে সকল শক্তি নিয়ে মাঠে নামছে, যা সার্বিক নিরাপত্তার প্রশ্ন। নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সহযোগিতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বৈঠক থেকে।

আসন্ন দুর্গাপূজা নিয়ে তিনি বলেন, দুর্গাপূজা যেন নির্বিঘ্ন হয়, নিরাপত্তা যেন আগে থেকে নেয়া হয় সে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেন সব ধর্মীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হয়।

শফিকুল আলম বলেন, পরাজিত শক্তি বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে সকল শক্তি নিয়ে মাঠে নামছে যা সার্বিক নিরাপত্তার প্রশ্ন। নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সহযোগিতা বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে বৈঠক থেকে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মী অসন্তোষ দূর করতে ও তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে কাজ করতে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সমস্যা সমাধানে দুটি কমিটি করা হয়েছে। বদলিকৃতদের পূর্বের জায়গায় ফেরানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সাময়িক বরখাস্তদের পূর্বের পদে ফেরানোরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ সময় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে আন্দোলনে দেশবিরোধী শক্তি ইন্ধন দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন প্রেস সচিব।

তিনি বলেন, কর্মীদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া বাস্তবায়নে কাজ শুরু হয়েছে। কর্মবিরতির কোনো প্রয়োজন দেখছে না অন্তর্বর্তী সরকার। আন্দোলনের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও গ্রাহকসেবা ব্যাহত হলে সরকার কঠিন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।

শফিকুল আলম বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে উন্নতি হয় সেজন্য সরকার সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে। আপনাদের বুঝতে হবে বিক্ষোভ কর্মসূচিসহ ৫ আগস্টের পর ১ হাজার ৬১৫টার মতো ঘটনা ঘটেছে। গড়ে প্রতিদিন ৪টি করে ঘটনা ঘটেছে বা বিক্ষোভ হয়েছে। তার মধ্যে ৬০০টি ঘটনা ছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত। একটা বিপ্লবের পড়ে যে চাওয়া তৈরি হয়েছে সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে সবাই বিক্ষোভ করছেন। সবাই তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে রাস্তায় আসছেন। যেহেতু আগের সরকার গত ১৫ বছর নিপীড়ন করেছে, এই ধরনের বিক্ষোভকে দমন করেছে, তাই এখন সবাই তাদের দাবি দাওয়াগুলো এই সরকারের সময় আনছেন। এই সরকার এবং আইনশৃঙ্খলাবাহিনী যথেষ্ট ধৈর্যের সঙ্গে এই বিষয়গুলো মোকাবিলা করছে।

প্রেস সচিব বলেন, এখন যদি এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে জানতে চান, তাহলে বলি— রাজবাড়ীর ঘটনায় সেখানকার ডিসি দুইবার মিটিং করেছেন, টিএনও বেশ কয়েকবার সেখানকার ইমান আকিদা কমিটির সঙ্গে কথা বলেছেন। এখন স্থানীয় পর্যায়ে তাদের সঙ্গে বারবার মিটিং করা হচ্ছে, প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা তাদের প্রতিশ্রুতির কথাও বলেছেন যে, তারা তাদের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ রাখবেন। তারপর যে ঘটনা ঘটলো, এটা খুবই ন্যাক্কারজনক একটি ঘটনা। এটা তো সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে সেটার নিন্দা জানানো। সরকারের যে বলিষ্ঠ কণ্ঠ সেটা তো বলতে হবে।

তিনি বলেন, আর প্রত্যেকটা ঘটনায় আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এমন না যে বসে থাকা হচ্ছে। নুরুল হক নুরের ঘটনায় আমরা ঘোষণা দিয়েছি একটা তদন্ত কমিটি হয়েছে। তারা তদন্ত করে দেখবে কীভাবে হলো, কার এখানে দোষ ছিল, কেন এই ঘটনা ঘটলো।