Dhaka শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আপ্রাণ চেষ্টা পরেও বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতরে ইট-পাটকেল ছুড়ছেন ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। শুরু থেকেই তাদের অভিযোগ, আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রথম থেকেই অবহেলা করেছে ফায়ার সার্ভিস।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতরে ঢুকে একে একে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন ব্যবসায়ীরা। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ইতোমধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেলও নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রিমা খানম বলেন, আমাদের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আহত হচ্ছেন। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। কিন্তু কিছু মানুষ আমাদের সদর দপ্তরে এসে অফিসে হামলা করেছে। গাড়িও ভাঙচুর করেছে। তাদের হামলায় আমাদের চারজন সদস্য আহতও হয়েছেন।

রড নিয়ে বেশ কয়েকজন মানুষকে ভবনে ঢুকতে দেখা গেছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে মূল ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তেজিত জনতা প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে সরে গেছে।

আসছে ঈদকে কেন্দ্র করে সব দোকানেই মজুত করে রাখা হয়েছিল বিপুল কাপড়। আগুন পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়লে সব পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার ভয় করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে পথে বসার আশঙ্কা করছেন তারা।
এদিকে বেশ কয়েক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, বঙ্গবাজারের উল্টোপাশে হাঁটা দূরত্বে ফায়ার সার্ভিসের অফিস হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে শুরুতে গড়িমসি করেছে তারা। সঠিকভাবে কাজ শুরু করলে এতো ভয়াবহ অবস্থা হতো না বলে দাবি তাদের।

দীর্ঘ চার ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বঙ্গবাজরের ভয়াবহ আগুন। বঙ্গবাজারের টিনশেড দোতলা মার্কেট পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনো দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা। নিঃস্ব হয়ে গেছেন কয়েক হাজার ব্যবসায়ী।

এদিকে বঙ্গবাজারের চারপাশে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে সেনা, নৌ, বিমান ও বিজিবির ফায়ার ইউনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। হতাহতের কোনো খবরও দিতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

সকাল ১০টায় সব শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বঙ্গবাজার লাগোয়া এনক্সকো ভবনেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। পাঁচতলা ওই ভবনে কয়েকটি তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা মালামাল সরানো জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেষ সম্বলটুকু রক্ষা করার চেষ্টা করছেন তারা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আগৈলঝাড়ায় ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ঝুঁকিপূর্ণ

ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে হামলা

প্রকাশের সময় : ১১:৫১:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আপ্রাণ চেষ্টা পরেও বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতরে ইট-পাটকেল ছুড়ছেন ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। শুরু থেকেই তাদের অভিযোগ, আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রথম থেকেই অবহেলা করেছে ফায়ার সার্ভিস।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতরে ঢুকে একে একে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন ব্যবসায়ীরা। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ইতোমধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেলও নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রিমা খানম বলেন, আমাদের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আহত হচ্ছেন। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। কিন্তু কিছু মানুষ আমাদের সদর দপ্তরে এসে অফিসে হামলা করেছে। গাড়িও ভাঙচুর করেছে। তাদের হামলায় আমাদের চারজন সদস্য আহতও হয়েছেন।

রড নিয়ে বেশ কয়েকজন মানুষকে ভবনে ঢুকতে দেখা গেছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে মূল ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তেজিত জনতা প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে সরে গেছে।

আসছে ঈদকে কেন্দ্র করে সব দোকানেই মজুত করে রাখা হয়েছিল বিপুল কাপড়। আগুন পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পড়লে সব পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার ভয় করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে পথে বসার আশঙ্কা করছেন তারা।
এদিকে বেশ কয়েক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, বঙ্গবাজারের উল্টোপাশে হাঁটা দূরত্বে ফায়ার সার্ভিসের অফিস হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে শুরুতে গড়িমসি করেছে তারা। সঠিকভাবে কাজ শুরু করলে এতো ভয়াবহ অবস্থা হতো না বলে দাবি তাদের।

দীর্ঘ চার ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বঙ্গবাজরের ভয়াবহ আগুন। বঙ্গবাজারের টিনশেড দোতলা মার্কেট পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনো দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা। নিঃস্ব হয়ে গেছেন কয়েক হাজার ব্যবসায়ী।

এদিকে বঙ্গবাজারের চারপাশে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে সেনা, নৌ, বিমান ও বিজিবির ফায়ার ইউনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। হতাহতের কোনো খবরও দিতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

সকাল ১০টায় সব শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বঙ্গবাজার লাগোয়া এনক্সকো ভবনেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। পাঁচতলা ওই ভবনে কয়েকটি তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা মালামাল সরানো জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেষ সম্বলটুকু রক্ষা করার চেষ্টা করছেন তারা।