Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রথম আলো আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্রের শত্রু : সংসদে প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, প্রথম আলো গণতন্ত্রের শত্রু, প্রথম আলো দেশের মানুষের শত্রু, এরা এই দেশে কখনোই স্থিতিশীলতা থাকতে দিতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে আনা প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে এখানে এমন একটি সরকার আনতে চাচ্ছে। যাদের গণতান্ত্রিক কোনো অস্তিত্বই থাকবে না, অগণতান্ত্রিক ধারা। একটি ৭ বছরের শিশুর হাতে দশ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তার মুখ থেকে ‘ভাত মাছ, মাংসের স্বাধীনতা চাই’ বলিয়ে সেটি রেকর্ড করে প্রচার করা। স্বনামধন্য একটি পত্রিকা, খুবই জনপ্রিয়। নাম তার প্রথম আলো। কিন্তু বাস করে অন্ধকারে। প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু ও দেশের মানুষের শত্রু। এরা এই দেশে কখনও স্থিতিশীলতা থাকতে দিতে চায় না।

তিনি বলেন, ২০০৭ সালে যখন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। তখন তারা উৎফুল্ল। দুটি পত্রিকা আদাজল খেয়ে নেমে গেল, বাহাবা কুড়ালো। আর তার সঙ্গে রয়েছে একজন সুদখোর। যিনি আমেরিকার বড়ই প্রিয়। আমেরিকা একবারও জিজ্ঞাস করে না যে, গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি, যিনি সরকারি বেতন তুলতো। কোথা থেকে তিনি মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পেলেন যে, আমেরিকার মতো জায়গায় সামাজিক ব্যবসা করেন, বিনিয়োগ করেন দেশে-বিদেশে। এই অর্থ কোথা থেকে আসে, এটা কি কখনও তারা জিজ্ঞাস করেছে? করেনি। অথচ তাদের কাছে দুর্নীতির কথা, মানবতার কথা শুনতে হয়। যারা গরিবের রক্তচোষা টাকা বিদেশে পাচার করে, নিজেরা বিনিয়োগ করে শতকোটি টাকার মালিক হয়ে আবার আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়ে যায়। এইসব লোক এদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে। মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এসে কিছুই নাকি করেনি। এসময় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এবং বিএনপির আমলে কী কী উন্নয়ন হয়েছে তার তুলনামূলক চিত্র বর্ণনা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছিল তারা দেশকে কিছু দিতে পারেনি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য তাদের থেকে আমাদের গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়।

টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশের মানুষের ভাগ্য ফেরাতে পেরেছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটানা ক্ষমতায় আছি বলেই দেশের মানুষের ভাগ্য ফেরাতে পেরেছি। নিম্নআয়ের-মধ্যম আয়ের সকলের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আছে। আজকে গ্রাম এবং শহরের পার্থক্য কমে গেছে। গ্রাম এবং শহরের মাঝে আরেকটি শহর গড়ে উঠছে।

সরকার ভাঙার খেলায় বিরোধীরা ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্র স্থায়ী বলেই দেশে এতো উন্নয়ন হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, প্রত্যেকটি গ্রামে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করেছি। আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের ভাগ্য গড়তে।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে বিরাট পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। এর পরেও কেউ যদি উন্নতি না দেখে, এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছুই নেই। তবে, যা কিছুই করি না কেন, তেলা মাথায় তেল দেওয়া না। জনগণের জন্য করি, সাধারণ মানুষের জন্য করি, গ্রামের মানুষের জন্য করি। গ্রামের মানুষ এখন ভালো আছে, এটাই সবচেয়ে বড় কথা।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত হবে এবং ভবিষ্যতে এগিয়ে যাবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে, যে বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলাদেশ।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

প্রথম আলো আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্রের শত্রু : সংসদে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:৩৫:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, প্রথম আলো গণতন্ত্রের শত্রু, প্রথম আলো দেশের মানুষের শত্রু, এরা এই দেশে কখনোই স্থিতিশীলতা থাকতে দিতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে আনা প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে এখানে এমন একটি সরকার আনতে চাচ্ছে। যাদের গণতান্ত্রিক কোনো অস্তিত্বই থাকবে না, অগণতান্ত্রিক ধারা। একটি ৭ বছরের শিশুর হাতে দশ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তার মুখ থেকে ‘ভাত মাছ, মাংসের স্বাধীনতা চাই’ বলিয়ে সেটি রেকর্ড করে প্রচার করা। স্বনামধন্য একটি পত্রিকা, খুবই জনপ্রিয়। নাম তার প্রথম আলো। কিন্তু বাস করে অন্ধকারে। প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু ও দেশের মানুষের শত্রু। এরা এই দেশে কখনও স্থিতিশীলতা থাকতে দিতে চায় না।

তিনি বলেন, ২০০৭ সালে যখন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। তখন তারা উৎফুল্ল। দুটি পত্রিকা আদাজল খেয়ে নেমে গেল, বাহাবা কুড়ালো। আর তার সঙ্গে রয়েছে একজন সুদখোর। যিনি আমেরিকার বড়ই প্রিয়। আমেরিকা একবারও জিজ্ঞাস করে না যে, গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি, যিনি সরকারি বেতন তুলতো। কোথা থেকে তিনি মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পেলেন যে, আমেরিকার মতো জায়গায় সামাজিক ব্যবসা করেন, বিনিয়োগ করেন দেশে-বিদেশে। এই অর্থ কোথা থেকে আসে, এটা কি কখনও তারা জিজ্ঞাস করেছে? করেনি। অথচ তাদের কাছে দুর্নীতির কথা, মানবতার কথা শুনতে হয়। যারা গরিবের রক্তচোষা টাকা বিদেশে পাচার করে, নিজেরা বিনিয়োগ করে শতকোটি টাকার মালিক হয়ে আবার আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়ে যায়। এইসব লোক এদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে। মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এসে কিছুই নাকি করেনি। এসময় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এবং বিএনপির আমলে কী কী উন্নয়ন হয়েছে তার তুলনামূলক চিত্র বর্ণনা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছিল তারা দেশকে কিছু দিতে পারেনি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য তাদের থেকে আমাদের গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়।

টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশের মানুষের ভাগ্য ফেরাতে পেরেছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটানা ক্ষমতায় আছি বলেই দেশের মানুষের ভাগ্য ফেরাতে পেরেছি। নিম্নআয়ের-মধ্যম আয়ের সকলের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আছে। আজকে গ্রাম এবং শহরের পার্থক্য কমে গেছে। গ্রাম এবং শহরের মাঝে আরেকটি শহর গড়ে উঠছে।

সরকার ভাঙার খেলায় বিরোধীরা ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্র স্থায়ী বলেই দেশে এতো উন্নয়ন হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, প্রত্যেকটি গ্রামে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করেছি। আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের ভাগ্য গড়তে।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে বিরাট পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। এর পরেও কেউ যদি উন্নতি না দেখে, এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছুই নেই। তবে, যা কিছুই করি না কেন, তেলা মাথায় তেল দেওয়া না। জনগণের জন্য করি, সাধারণ মানুষের জন্য করি, গ্রামের মানুষের জন্য করি। গ্রামের মানুষ এখন ভালো আছে, এটাই সবচেয়ে বড় কথা।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত হবে এবং ভবিষ্যতে এগিয়ে যাবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে, যে বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলাদেশ।