Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পোশাক রপ্তানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা নেই: বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রপ্তানি বাণিজ্যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা দেখছে না তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। বরং দেশটিতে পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দাবি করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর দিয়াবাড়িতে বিজিএমইএ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের নতুন মজুরি কার্যকর হলেও এখনো অনেক ক্রেতা দাম বাড়ায়নি।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত অর্থবছরে দেশটিতে রপ্তানি হয় ১০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। বিশ্ব অর্থনীতির মোড়ল এই দেশটি নীতি নির্ধারণের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে রপ্তানি নির্ভর দেশগুলোতে। সম্প্রতি শ্রমিক অধিকার রক্ষায় এমন এক নীতি ঘোষণা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ধারাবাহিকভাবে তৈরি পোশাক খাতের কর্মপরিবেশ উন্নত হচ্ছে। সংহত হচ্ছে শ্রমিক অধিকারও। রপ্তানিতে তাই নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা নেই।

মার্কিন বাজারে পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে দীর্ঘদিন চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে দেশটির তুলা আমদানিতে দেয়া হচ্ছে শুল্কমুক্ত সুবিধা। গত ফেব্রুয়ারিতে কোয়ারেন্টিন বিধিনিষেধও তুলে নেয় বাংলাদেশ। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে শুল্ক তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো রকম শুল্ক মুক্ত সুবিধা পাচ্ছে না বাংলাদেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। আমেরিকাও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য আমরাও সদস্য। যেকোনো দেশকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কিছু নিয়ম কানুন আছে। সেই নিয়ম অনুযায়ী এখানে কোনো কারণ নেই। শ্রম আইন লঙ্ঘনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা শ্রম আইন লঙ্ঘন করিনি। তাই আমাদের চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। উদ্বিগ্ন হওয়ারও কোনো কারণ নেই।

চলতি মাস থেকেই কার্যকর হচ্ছে পোশাক শ্রমিকদের নতুন মজুরি। বিজিএমইএ সভাপতি জানান, প্রতিশ্রুতি দিলেও অনেক ক্রেতা এখনো পণ্যের দাম বাড়ায়নি।

ফারুক হাসান বলেন, উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্তই হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তাই আমরা শিল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্ট-২০২৩ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২৩-২৪ ডিসেম্বর বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে তৃতীয় তলায় এটি অনুষ্ঠিত হবে।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ক্যারিয়ার সামিটে বিভিন্ন গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। ইভেন্ট চলাকালে তারা বাংলাদেশের পোশাকশিল্প বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে কেউ কেউ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেবেন। এই ইভেন্টটি সামগ্রিক শিল্প নিয়ে মতবিনিময় এবং অংশীজনদের মধ্যে সহযোগিতমূলক মনোভাব গড়ে তুলবে। বিজিএমইএ ক্যারিয়ার সামিট শিক্ষার্থী এবং নিয়োগদানকারী কোম্পানিগুলোকে একই ছাদের নিচে আনবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সম্ভাব্য সুযোগ সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন।

এই ইভেন্টে আগতরা বর্তমানে পোশাক শিল্পে চাকরির চাহিদা কেমন সে বিষয়ে ধারণা নিতে পারবেন। এছাড়া এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষদের ডিন উপস্থিত থাকবেন। ফলে শিল্পর সঙ্গে একাডেমির সংযোগ তৈরিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

পোশাক রপ্তানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা নেই: বিজিএমইএ

প্রকাশের সময় : ০৬:৩২:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রপ্তানি বাণিজ্যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা দেখছে না তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। বরং দেশটিতে পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দাবি করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর দিয়াবাড়িতে বিজিএমইএ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের নতুন মজুরি কার্যকর হলেও এখনো অনেক ক্রেতা দাম বাড়ায়নি।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত অর্থবছরে দেশটিতে রপ্তানি হয় ১০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। বিশ্ব অর্থনীতির মোড়ল এই দেশটি নীতি নির্ধারণের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে রপ্তানি নির্ভর দেশগুলোতে। সম্প্রতি শ্রমিক অধিকার রক্ষায় এমন এক নীতি ঘোষণা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ধারাবাহিকভাবে তৈরি পোশাক খাতের কর্মপরিবেশ উন্নত হচ্ছে। সংহত হচ্ছে শ্রমিক অধিকারও। রপ্তানিতে তাই নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা নেই।

মার্কিন বাজারে পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে দীর্ঘদিন চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে দেশটির তুলা আমদানিতে দেয়া হচ্ছে শুল্কমুক্ত সুবিধা। গত ফেব্রুয়ারিতে কোয়ারেন্টিন বিধিনিষেধও তুলে নেয় বাংলাদেশ। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে শুল্ক তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো রকম শুল্ক মুক্ত সুবিধা পাচ্ছে না বাংলাদেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। আমেরিকাও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য আমরাও সদস্য। যেকোনো দেশকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কিছু নিয়ম কানুন আছে। সেই নিয়ম অনুযায়ী এখানে কোনো কারণ নেই। শ্রম আইন লঙ্ঘনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা শ্রম আইন লঙ্ঘন করিনি। তাই আমাদের চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। উদ্বিগ্ন হওয়ারও কোনো কারণ নেই।

চলতি মাস থেকেই কার্যকর হচ্ছে পোশাক শ্রমিকদের নতুন মজুরি। বিজিএমইএ সভাপতি জানান, প্রতিশ্রুতি দিলেও অনেক ক্রেতা এখনো পণ্যের দাম বাড়ায়নি।

ফারুক হাসান বলেন, উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্তই হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তাই আমরা শিল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী ক্যারিয়ার সামিট অ্যান্ড ফেস্ট-২০২৩ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২৩-২৪ ডিসেম্বর বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে তৃতীয় তলায় এটি অনুষ্ঠিত হবে।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ক্যারিয়ার সামিটে বিভিন্ন গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। ইভেন্ট চলাকালে তারা বাংলাদেশের পোশাকশিল্প বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে কেউ কেউ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেবেন। এই ইভেন্টটি সামগ্রিক শিল্প নিয়ে মতবিনিময় এবং অংশীজনদের মধ্যে সহযোগিতমূলক মনোভাব গড়ে তুলবে। বিজিএমইএ ক্যারিয়ার সামিট শিক্ষার্থী এবং নিয়োগদানকারী কোম্পানিগুলোকে একই ছাদের নিচে আনবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সম্ভাব্য সুযোগ সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন।

এই ইভেন্টে আগতরা বর্তমানে পোশাক শিল্পে চাকরির চাহিদা কেমন সে বিষয়ে ধারণা নিতে পারবেন। এছাড়া এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষদের ডিন উপস্থিত থাকবেন। ফলে শিল্পর সঙ্গে একাডেমির সংযোগ তৈরিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।