নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী এবং জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়কারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, পথে পথে সন্ত্রাস-ডাকাতি-ছিনতাই ও চাঁদাবাজিতে পরিবহন সেক্টর অতিষ্ট। এ সেক্টরে ৭৫ লাখ শ্রমিক এবং বড় বাণিজ্যিক বিনিয়োগ কিন্তু সবচেয়ে বড় বেশি বদনাম বহন করে চলতে হচ্ছে। সকল ধরনের বিশৃঙ্খলা পরিহার করে পরিবহন সেক্টরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিউট মিলনায়তনে ঢাকা জেলা সড়ক পরিবহন যানবাহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সভা-২০২৫ এর সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শ্রমিক শ্রেণি মানব সভ্যতার বিকাশের নৈপথ্যের কারিগর। তারা পরিশ্রম, ঘাম ও রক্তের বিনিময়ে সভ্যতা বিনির্মাণের পাশাপাশি শিল্পকর্ম সেবা উন্নয়ন এমন দৈনন্দিন জনজীবন স্বাভাবিক রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তারা সবচেয়ে অবহেলিত। তাদের জীবনে কোন শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। ন্যায্য মজুরি পাচ্ছে না।
শিমুল বিশ্বাস বলেন, রাষ্ট্র-সরকার ও সমাজে পরিবহন সেক্টরের শ্রমিকদের দুর্নাম ঘোচানোর জন্য গুরুত্ব সহকারে কাজ করতে হবে। নিজেদের ভুল-ভ্রান্তি পরিহার করে পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে প্রচারিত অভিযোগ এবং আত্মসমালোচনা গ্রহণ করে বাংলাদেশের শোষিত-বঞ্চিত সাত কোটি ৩৫ লাখ শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য পরিবহন শ্রমিকদের কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, সড়ক পথে সকল ধরনের বিশৃঙ্খলা-অরাজকতার বিরুদ্ধে পরিবহন সেক্টরের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য পরিবহন সেক্টরের নেতৃত্বকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যাত্রী পথচারী ও জনগণের যেকোনো অভিযোগ নিরসনের জন্য পরিবহন শ্রমিক নেতৃত্বকে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল করতে মালিক-শ্রমিকদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। যাত্রী ওঠানামা নির্দিষ্ট স্থান থেকে করতে হবে এবং গাড়ির মানোন্নয়নে জোর দিতে হবে।
তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, শ্রমিকরা যাতে ন্যায্য বেতন পান, সে বিষয়টি মালিকপক্ষ নিশ্চিত করবে। সড়কে দুর্ঘটনা ও যানজট কমাতে শ্রমিক ও মালিকদের সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য রাজধানী থেকে শুরু করে সারা দেশে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
ত্রিবার্ষিক সাধারণ সভায় ঢাকার বিভিন্ন রুট কমিটির শ্রমিক ও নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।