Dhaka রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নীতিনির্ধারকরা চাইলে ৬৪৮ এমপির বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে: আইনমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১৯৬ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বর্তমানে সংসদে ৬৪৮ জন সদস্য আছেন বলে যে আলোচনা চলছে নীতি-নির্ধারকরা চাইলে সংবিধানের সেই বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেও মেয়াদ শেষ না হলে আগের সংসদ বাতিল হয় না বিধায় দেশের সংসদে এখন ৬৪৮ এমপি—এমন আলোচনা চলছে কদিন ধরে। এক্ষেত্রে আইনের অস্পষ্টতা আছে বলে মনে করেন কি না? সেটি স্পষ্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ব্যাপারটা হচ্ছে সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে এবং এটা আজকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটা চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটার বোধ হয় খুব একটা গুরুত্ব নেই। তারপরও আমি বলবো, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন এখানে কিছু আরও স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, সেটা দেখা যাবে।

আপনি আইনমন্ত্রী হিসেবে স্পষ্ট করা প্রয়োজন মনে করেন কি না, এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি তো বললাম, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, তাহলে দেখা যাবে।

কোন জায়গাটা স্পষ্ট করার প্রয়োজন, এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এখনো জানি না। নীতি-নির্ধারকরা প্রয়োজন বোধ করলে কোন জায়গায় সেটা নীতি-নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপর সেটা হবে। আমার মনে হয় এখন যা হয়েছে সবকিছুই সাংবিধানিক হয়েছে।

এই সময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের বিচার বিভাগের মধ্যে সহযোগিতা ও সম্পর্ক বাড়াতে একটি চুক্তি সই করা হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। সৌদি আরবের বিচার বিভাগের সহযোগিতা ও সম্পর্ক বাড়াতে একটি চুক্তি সই করার জন্য আমরা আলোচনা করেছি। আমাদের দিক থেকে সেই চুক্তি সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে। সৌদি আরবের বিচার মন্ত্রণালয়ে সেটি আছে। সেই চুক্তির অগ্রগতি নিয়ে আমাদের মধ্যে আজ আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। এ সম্পর্ককে আমরা আরও গভীর করতে চাই। তিনি (সৌদি রাষ্ট্রদূত) বলেছেন, সারা মুসলিম বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের বোন হিসেবে মনে করে। তারা এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে অত্যন্ত আগ্রহী।

চুক্তিতে কী থাকছে, জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, এটি বিচার বিভাগের মধ্যে সহযোগিতার চুক্তি। আপনারা জানেন, সৌদি আরবে বাংলাদেশের অনেক কর্মসংস্থান আছে। সেখানে আমাদের শ্রমিকরা যাচ্ছেন। সৌদি আরবের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে উন্মুখ। সেসব বিষয়ে তাদের সুবিধার জন্য চুক্তিটি করা হবে।

পারস্পরিকভাবে সৌদির বিনিয়োগ কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যায়, সেসব বিষয় নিয়েই এই চুক্তি হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নীতিনির্ধারকরা চাইলে ৬৪৮ এমপির বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে: আইনমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বর্তমানে সংসদে ৬৪৮ জন সদস্য আছেন বলে যে আলোচনা চলছে নীতি-নির্ধারকরা চাইলে সংবিধানের সেই বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেও মেয়াদ শেষ না হলে আগের সংসদ বাতিল হয় না বিধায় দেশের সংসদে এখন ৬৪৮ এমপি—এমন আলোচনা চলছে কদিন ধরে। এক্ষেত্রে আইনের অস্পষ্টতা আছে বলে মনে করেন কি না? সেটি স্পষ্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ব্যাপারটা হচ্ছে সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে এবং এটা আজকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটা চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটার বোধ হয় খুব একটা গুরুত্ব নেই। তারপরও আমি বলবো, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন এখানে কিছু আরও স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, সেটা দেখা যাবে।

আপনি আইনমন্ত্রী হিসেবে স্পষ্ট করা প্রয়োজন মনে করেন কি না, এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি তো বললাম, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, তাহলে দেখা যাবে।

কোন জায়গাটা স্পষ্ট করার প্রয়োজন, এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এখনো জানি না। নীতি-নির্ধারকরা প্রয়োজন বোধ করলে কোন জায়গায় সেটা নীতি-নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপর সেটা হবে। আমার মনে হয় এখন যা হয়েছে সবকিছুই সাংবিধানিক হয়েছে।

এই সময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের বিচার বিভাগের মধ্যে সহযোগিতা ও সম্পর্ক বাড়াতে একটি চুক্তি সই করা হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। সৌদি আরবের বিচার বিভাগের সহযোগিতা ও সম্পর্ক বাড়াতে একটি চুক্তি সই করার জন্য আমরা আলোচনা করেছি। আমাদের দিক থেকে সেই চুক্তি সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে। সৌদি আরবের বিচার মন্ত্রণালয়ে সেটি আছে। সেই চুক্তির অগ্রগতি নিয়ে আমাদের মধ্যে আজ আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। এ সম্পর্ককে আমরা আরও গভীর করতে চাই। তিনি (সৌদি রাষ্ট্রদূত) বলেছেন, সারা মুসলিম বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের বোন হিসেবে মনে করে। তারা এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে অত্যন্ত আগ্রহী।

চুক্তিতে কী থাকছে, জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, এটি বিচার বিভাগের মধ্যে সহযোগিতার চুক্তি। আপনারা জানেন, সৌদি আরবে বাংলাদেশের অনেক কর্মসংস্থান আছে। সেখানে আমাদের শ্রমিকরা যাচ্ছেন। সৌদি আরবের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে উন্মুখ। সেসব বিষয়ে তাদের সুবিধার জন্য চুক্তিটি করা হবে।

পারস্পরিকভাবে সৌদির বিনিয়োগ কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যায়, সেসব বিষয় নিয়েই এই চুক্তি হবে বলেও জানান মন্ত্রী।