Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন দিতে তালবাহানা করলে জনগণ আবারো রাজপথে নেমে আসবে : ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কারা জাতীয় সংসদ গঠন করবে তা দেশের জনগণ ঠিক করবে বলে মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, নির্বাচন দিতে তালবাহানা করলে জনগণ আবারো রাজপথে নেমে আসবে।

শুক্রবার (৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে প্রতিবাদী যুব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বিএনপি দেশের মানুষের ভোটাধীকার ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করছে। এরজন্য জেল জুলুমের শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু এখনো একটি পক্ষ নির্বাচনের কথা বললেই সমালোচনা শুরু করে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এভাবে চলতে থাকলে ড. ইউনূসও গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হলে আমাদের কিছু বলার প্রয়োজন নেই, দেশের জনগণই রাস্তায় নামবে।

ফারুক বলেন, অনেক দিন হয়ে গেল, অনেক কিছুই দেখলাম। তারপরও কেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের অধিকার ও আশা অনুযায়ী নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করছে না। আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছিল, গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল। সেই ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি ১৬-১৭ বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে। বিএনপির প্রায় পাঁচ হাজার নেতা-কর্মী গুম ও খুনের শিকার হয়েছে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ছাত্র-জনতা, বিএনপি এবং অন্যান্য দলের হাজারো নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছে। তাই আমরা দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি, যাতে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় এবং জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পায়। আমরা অন্যায় কিছু দাবি করছি না।

তিনি বলেন, আমরা হাসিনার মতো জোর করে ক্ষমতায় যেতে চাই না। গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে এবং ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে।

বিরোধী দলের সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল, তারা এখন আবার ড. ইউনুসের পাশে বসে বলছে নির্বাচন দেওয়া যাবে না। আমরা নির্বাচন চাই, তবে জোর করে নির্বাচন আদায় করতে চাই না। জনগণ যদি মনে করে নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে, তাহলে জনগণই রাস্তায় নামবে। আমাদের কিছু বলার প্রয়োজন হবে না।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ, মাওলানা নেসারুল হক, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মির আমির হোসেন আমু, মৎস্যজীবী দলের সাবেক সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী এবং মফিজুর রহমান লিটন প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

নির্বাচন দিতে তালবাহানা করলে জনগণ আবারো রাজপথে নেমে আসবে : ফারুক

প্রকাশের সময় : ০৪:০১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কারা জাতীয় সংসদ গঠন করবে তা দেশের জনগণ ঠিক করবে বলে মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, নির্বাচন দিতে তালবাহানা করলে জনগণ আবারো রাজপথে নেমে আসবে।

শুক্রবার (৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে প্রতিবাদী যুব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বিএনপি দেশের মানুষের ভোটাধীকার ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করছে। এরজন্য জেল জুলুমের শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু এখনো একটি পক্ষ নির্বাচনের কথা বললেই সমালোচনা শুরু করে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এভাবে চলতে থাকলে ড. ইউনূসও গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হলে আমাদের কিছু বলার প্রয়োজন নেই, দেশের জনগণই রাস্তায় নামবে।

ফারুক বলেন, অনেক দিন হয়ে গেল, অনেক কিছুই দেখলাম। তারপরও কেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের অধিকার ও আশা অনুযায়ী নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করছে না। আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছিল, গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল। সেই ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি ১৬-১৭ বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে। বিএনপির প্রায় পাঁচ হাজার নেতা-কর্মী গুম ও খুনের শিকার হয়েছে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ছাত্র-জনতা, বিএনপি এবং অন্যান্য দলের হাজারো নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছে। তাই আমরা দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি, যাতে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় এবং জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পায়। আমরা অন্যায় কিছু দাবি করছি না।

তিনি বলেন, আমরা হাসিনার মতো জোর করে ক্ষমতায় যেতে চাই না। গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে এবং ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে।

বিরোধী দলের সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল, তারা এখন আবার ড. ইউনুসের পাশে বসে বলছে নির্বাচন দেওয়া যাবে না। আমরা নির্বাচন চাই, তবে জোর করে নির্বাচন আদায় করতে চাই না। জনগণ যদি মনে করে নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে, তাহলে জনগণই রাস্তায় নামবে। আমাদের কিছু বলার প্রয়োজন হবে না।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ, মাওলানা নেসারুল হক, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মির আমির হোসেন আমু, মৎস্যজীবী দলের সাবেক সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী এবং মফিজুর রহমান লিটন প্রমুখ।