Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন ‘জমে না ওঠায়’ সরকার দিশেহারা : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ‘আসন ভাগ-বাটোয়ারা’ এবং ‘আমি-ডামি’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রহসনের ভোট জমছে না দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সরকার। এখন তারা ভোটারদের হুমকি-ধামকি দিতে শুরু করেছে। এমনকি বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ওএমএস, কৃষকের মাঝে সার এবং বীজ বিতরণ বন্ধের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এভাবে গোটা দেশকে অভাবনীয় নরকপুরি ও জেলখানা বানানো হয়েছে।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অভিযোগ করে রিজভী বলেন, জেলের ভেতরে যাদের নিক্ষেপ করা হয়েছে তাদের তিলে তিলে নির্যাতন করে হত্যা করা হচ্ছে। একদিকে নৌকার প্রার্থী ও তাদের প্রচারকরা হুমকি দিচ্ছেন ভোটকেন্দ্রে না গেলে বাড়িছাড়া করা হবে। অপরদিকে নির্বাচন কমিশনাররা জেল-জরিমানার হুমকি দিচ্ছেন। কেউ ভোট প্রতিহত করার চেষ্টা করলে সাত বছরের জেল হবে। অর্থদণ্ড হবে। ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য লিফলেট বিতরণ করলে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, দেড় দশক ধরে জগদ্দল পাথরের মতো বাংলাদেশের ঘাড়ে চেপে বসা দৈত্যের পতন এবং একতরফা পাতানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ১৮ কোটি জনগণকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গলির গুন্ডাদের মতো শাসাচ্ছেন। বিএনপিকে শায়েস্তা করার হুমকি দিচ্ছেন আনিছুর রহমানরা। পুলিশকে লেলিয়ে দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার মতো বাংলাদেশের নাগরিকদেরকে গোলাম ভাবা শুরু করেছে!

নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের গোলামির পরীক্ষায় শ্রেষ্ঠত্ব পাওয়ার কোটায় নির্বাচন কমিশনার হওয়া এই ব্যক্তির জেনে রাখা উচিত বাংলাদেশের সংবিধানে ভোট দেওয়াও যেমন মানুষের অধিকার, তেমনি ভোট না দেওয়াও মানুষের মৌলিক অধিকার। ভোট দেওয়ার জন্য কাউকে বাধ্য করা যাবে না। কিন্তু প্রতিটি জনপদে নৌকা এবং ডামিরা ভোট দিতে না গেলে জনগণকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে নীরব এই আনিছুররা।

রিজভী বলেন, ইসি আনিছুরের জেনে রাখা উচিত- ‘বাংলাদেশের সংবিধানে ভোট দেওয়াও যেমন মানুষের অধিকার, তেমনি ভোট না দেওয়াও মানুষের মৌলিক অধিকার। ভোট দেওয়ার জন্য কাউকে বাধ্য করা যাবে না।’ কিন্তু প্রতিটি জনপদে নৌকা এবং ডামিরা ভোট দিতে না গেলে জনগণকে হুমকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে নীরব এই আনিছুররা। ৭ জানুয়ারি যারা ভোটকেন্দ্রে যাবে না তাদেরকে গায়েবি নাশকতার মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে। অথচ অবৈধ নির্বাচনকে না বলার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার।

রিজভী আরো বলেন, ৭ তারিখে যারা ভোটকেন্দ্রে যাবে না তাদের গায়েবি নাশকতার মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে। আনিছুরদের মতো আওয়ামী দলদাসদের বলে রাখি—অবৈধ নির্বাচনকে না বলার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। আপনি বাধা দেওয়ার কে? ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের জোর করে নিয়ে যাওয়া যে অপরাধ, তা আপনি জানেন না? গত ১৫ বছর জনগণ ভোট দিতে পারেনি, তার প্রতিকারে কোন আইন করেছেন? যারা ১৫ বছর ভোট দিতে দেয়নি তাদের কত বছর জেল দেবেন সেই ঘোষণা জনগণ শুনতে চায়। যারা মৃত মানুষের ভোট দিয়েছে, ৫৭ সেকেন্ডে ৪৩ ভোট দিয়েছে তাদের কত বছরের জেল দিয়েছেন? আপনাদের নির্দেশের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে জনগণের মৌলিক অধিকারের দাবিতে লিফলেট বিতরণকালে শত শত নেতাকর্মীকে আটক করে নির্যাতন করছে পুলিশ।

তিনি বলেন, অনেক জায়গায় লিফলেট নিয়ে পড়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মানিকগঞ্জে বিএনপির লিফলেট নিয়ে পড়ার কারণে শহীদ রফিক সড়কের ডলি প্লাজা মার্কেটের এক পোশাক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে প্রায় এক ঘণ্টা দোকানপাট বন্ধ রাখেন তৈরি পোশাক-ব্যবসায়ীরা। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী, দলদাস আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে এখন নির্বাচন কমিশন নব্য নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তবে শোনেন আনিছুর সাহেবরা, আপনাদের মতো দুই দিনের দলদাসদের রক্তচক্ষু দেখার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। এই একদলীয় ভোট জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। যত ভয়ভীতি-কেরামতি যাই করেন ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোটার পাবেন না। এই ফলাফল ঘোষণার নির্বাচনের বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশ আজ ঐক্যবদ্ধ।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বের চোখে ধুলো দিতে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি দেখানোর জন্য অসহায় ভোটারদের বাধ্য করতে এক অভিনব অমানবিক নির্যাতনের পন্থা প্রয়োগ করছে ভোট ডাকাত সরকার। পত্র পত্রিকায় প্রতিদিন খবর বেরুচ্ছে, গণভবনের নির্দেশেই সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় কার্ডের মাধ্যমে সুবিধাভোগী প্রায় দুই কোটি মানুষকে টার্গেট করেছে আওয়ামী লীগ এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় অনুগত প্রশাসনের কর্মকর্তারা। উপকারভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সংশ্লিষ্ট কার্ড জমা নেওয়া হচ্ছে, যা ভোট প্রদান সাপেক্ষে ফেরত দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রে না গেলে কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। যশোর, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ অনেক জেলায় ইতিমধ্যে বয়স্ক ভাতা, বিধবা বা স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য ভাতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা, শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও সম্মানী ভাতা, ভিডব্লিউবি, ভিজিএফ, ভিজিডি, জিআর, টিআর, ওএমএস, টিসিবির সামাজিক সুরক্ষার উপকারভোগীদের কার্ড জমা নিয়েছেন সরকারি দলের নেতাকর্মীরা। প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় নৌকার প্রার্থীরা হুমকি দিচ্ছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি যারা ভোটকেন্দ্রে যাবে না তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে।

রিজভী দাবি করেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি এবং এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ১৯৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আট মামলায় ৭৮৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসময়ে ২০ জন নেতাকর্মী আহত এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করেন রিজভী।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক চার লেন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন 

নির্বাচন ‘জমে না ওঠায়’ সরকার দিশেহারা : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০৯:০৬:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ‘আসন ভাগ-বাটোয়ারা’ এবং ‘আমি-ডামি’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রহসনের ভোট জমছে না দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সরকার। এখন তারা ভোটারদের হুমকি-ধামকি দিতে শুরু করেছে। এমনকি বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ওএমএস, কৃষকের মাঝে সার এবং বীজ বিতরণ বন্ধের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এভাবে গোটা দেশকে অভাবনীয় নরকপুরি ও জেলখানা বানানো হয়েছে।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অভিযোগ করে রিজভী বলেন, জেলের ভেতরে যাদের নিক্ষেপ করা হয়েছে তাদের তিলে তিলে নির্যাতন করে হত্যা করা হচ্ছে। একদিকে নৌকার প্রার্থী ও তাদের প্রচারকরা হুমকি দিচ্ছেন ভোটকেন্দ্রে না গেলে বাড়িছাড়া করা হবে। অপরদিকে নির্বাচন কমিশনাররা জেল-জরিমানার হুমকি দিচ্ছেন। কেউ ভোট প্রতিহত করার চেষ্টা করলে সাত বছরের জেল হবে। অর্থদণ্ড হবে। ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য লিফলেট বিতরণ করলে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, দেড় দশক ধরে জগদ্দল পাথরের মতো বাংলাদেশের ঘাড়ে চেপে বসা দৈত্যের পতন এবং একতরফা পাতানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ১৮ কোটি জনগণকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গলির গুন্ডাদের মতো শাসাচ্ছেন। বিএনপিকে শায়েস্তা করার হুমকি দিচ্ছেন আনিছুর রহমানরা। পুলিশকে লেলিয়ে দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার মতো বাংলাদেশের নাগরিকদেরকে গোলাম ভাবা শুরু করেছে!

নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের গোলামির পরীক্ষায় শ্রেষ্ঠত্ব পাওয়ার কোটায় নির্বাচন কমিশনার হওয়া এই ব্যক্তির জেনে রাখা উচিত বাংলাদেশের সংবিধানে ভোট দেওয়াও যেমন মানুষের অধিকার, তেমনি ভোট না দেওয়াও মানুষের মৌলিক অধিকার। ভোট দেওয়ার জন্য কাউকে বাধ্য করা যাবে না। কিন্তু প্রতিটি জনপদে নৌকা এবং ডামিরা ভোট দিতে না গেলে জনগণকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে নীরব এই আনিছুররা।

রিজভী বলেন, ইসি আনিছুরের জেনে রাখা উচিত- ‘বাংলাদেশের সংবিধানে ভোট দেওয়াও যেমন মানুষের অধিকার, তেমনি ভোট না দেওয়াও মানুষের মৌলিক অধিকার। ভোট দেওয়ার জন্য কাউকে বাধ্য করা যাবে না।’ কিন্তু প্রতিটি জনপদে নৌকা এবং ডামিরা ভোট দিতে না গেলে জনগণকে হুমকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে নীরব এই আনিছুররা। ৭ জানুয়ারি যারা ভোটকেন্দ্রে যাবে না তাদেরকে গায়েবি নাশকতার মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে। অথচ অবৈধ নির্বাচনকে না বলার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার।

রিজভী আরো বলেন, ৭ তারিখে যারা ভোটকেন্দ্রে যাবে না তাদের গায়েবি নাশকতার মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে। আনিছুরদের মতো আওয়ামী দলদাসদের বলে রাখি—অবৈধ নির্বাচনকে না বলার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। আপনি বাধা দেওয়ার কে? ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের জোর করে নিয়ে যাওয়া যে অপরাধ, তা আপনি জানেন না? গত ১৫ বছর জনগণ ভোট দিতে পারেনি, তার প্রতিকারে কোন আইন করেছেন? যারা ১৫ বছর ভোট দিতে দেয়নি তাদের কত বছর জেল দেবেন সেই ঘোষণা জনগণ শুনতে চায়। যারা মৃত মানুষের ভোট দিয়েছে, ৫৭ সেকেন্ডে ৪৩ ভোট দিয়েছে তাদের কত বছরের জেল দিয়েছেন? আপনাদের নির্দেশের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে জনগণের মৌলিক অধিকারের দাবিতে লিফলেট বিতরণকালে শত শত নেতাকর্মীকে আটক করে নির্যাতন করছে পুলিশ।

তিনি বলেন, অনেক জায়গায় লিফলেট নিয়ে পড়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মানিকগঞ্জে বিএনপির লিফলেট নিয়ে পড়ার কারণে শহীদ রফিক সড়কের ডলি প্লাজা মার্কেটের এক পোশাক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে প্রায় এক ঘণ্টা দোকানপাট বন্ধ রাখেন তৈরি পোশাক-ব্যবসায়ীরা। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী, দলদাস আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে এখন নির্বাচন কমিশন নব্য নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তবে শোনেন আনিছুর সাহেবরা, আপনাদের মতো দুই দিনের দলদাসদের রক্তচক্ষু দেখার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। এই একদলীয় ভোট জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। যত ভয়ভীতি-কেরামতি যাই করেন ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোটার পাবেন না। এই ফলাফল ঘোষণার নির্বাচনের বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশ আজ ঐক্যবদ্ধ।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বের চোখে ধুলো দিতে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি দেখানোর জন্য অসহায় ভোটারদের বাধ্য করতে এক অভিনব অমানবিক নির্যাতনের পন্থা প্রয়োগ করছে ভোট ডাকাত সরকার। পত্র পত্রিকায় প্রতিদিন খবর বেরুচ্ছে, গণভবনের নির্দেশেই সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় কার্ডের মাধ্যমে সুবিধাভোগী প্রায় দুই কোটি মানুষকে টার্গেট করেছে আওয়ামী লীগ এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় অনুগত প্রশাসনের কর্মকর্তারা। উপকারভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সংশ্লিষ্ট কার্ড জমা নেওয়া হচ্ছে, যা ভোট প্রদান সাপেক্ষে ফেরত দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রে না গেলে কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। যশোর, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ অনেক জেলায় ইতিমধ্যে বয়স্ক ভাতা, বিধবা বা স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য ভাতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা, শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও সম্মানী ভাতা, ভিডব্লিউবি, ভিজিএফ, ভিজিডি, জিআর, টিআর, ওএমএস, টিসিবির সামাজিক সুরক্ষার উপকারভোগীদের কার্ড জমা নিয়েছেন সরকারি দলের নেতাকর্মীরা। প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় নৌকার প্রার্থীরা হুমকি দিচ্ছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি যারা ভোটকেন্দ্রে যাবে না তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে।

রিজভী দাবি করেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি এবং এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ১৯৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আট মামলায় ৭৮৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসময়ে ২০ জন নেতাকর্মী আহত এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করেন রিজভী।