Dhaka শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে এক দফার আন্দোলন করছে বিএনপি। এর মধ্যেই দলটির দুইজন নেতা সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা হলেন দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট খন্দকার আহসান হাবিব ও ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাদের বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট খন্দকার আহসান হাবিব এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার ফকরুল ইসলামকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেলে রাজধানীর মালিবাগ স্কাই সিটি হোটেল লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা বিএপির কেন্দ্রীয় কমিটির এই দুই নেতা।

সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আহসান হাবিব লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিএনপির বর্তমান ও সাবেক ১২৫ নেতা ‘স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে নতুন দল গঠন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচন বর্জন একটি দলের অধিকার হতে পারে না। নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য আন্দোলনের ডাক দেওয়া অনৈতিক ও সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করার শামিল। বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে তারা একমত পোষণ করেন না। এই কর্মসূচির বিরোধিতা করছেন তারা। খন্দকার আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও কোনো নিবন্ধিত দল বা জোটের সঙ্গে তারা অংশীদার হবেন না।

নির্বাচনে অংশ নিলেও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আহসান হাবিব বলেন, খালেদা জিয়ার প্রতি নির্মম আচরণের কারণে আমাদের অন্তরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। জাতিসংঘ বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা দিতে বর্তমান সরকারকে অনুরোধ করেছে এবং সেই সাথে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছি। আমরা মনে করি, বর্তমান সরকার তা বিবেচনা করবে। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নতর চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। চিকিৎসা করার অধিকার প্রতিটি মানুষের আছে। এই পরিস্থিতিতে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে দুর্বল বা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে দেওয়া যাবে না। সেজন্য জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী মনোনীত করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সমুচিত। তাতে করে সুষ্ঠু নির্বাচনে অনেক যোগ্য প্রার্থী ক্ষমতাসীনদের পরাজিত করে সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে এবং একটি প্রাণবন্ত সংসদ জাতি ফিরে পাবে। তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরও মুক্তি দাবি করেছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৯:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে এক দফার আন্দোলন করছে বিএনপি। এর মধ্যেই দলটির দুইজন নেতা সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা হলেন দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট খন্দকার আহসান হাবিব ও ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম। এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাদের বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট খন্দকার আহসান হাবিব এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার ফকরুল ইসলামকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেলে রাজধানীর মালিবাগ স্কাই সিটি হোটেল লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা বিএপির কেন্দ্রীয় কমিটির এই দুই নেতা।

সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আহসান হাবিব লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিএনপির বর্তমান ও সাবেক ১২৫ নেতা ‘স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে নতুন দল গঠন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচন বর্জন একটি দলের অধিকার হতে পারে না। নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য আন্দোলনের ডাক দেওয়া অনৈতিক ও সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করার শামিল। বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে তারা একমত পোষণ করেন না। এই কর্মসূচির বিরোধিতা করছেন তারা। খন্দকার আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও কোনো নিবন্ধিত দল বা জোটের সঙ্গে তারা অংশীদার হবেন না।

নির্বাচনে অংশ নিলেও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আহসান হাবিব বলেন, খালেদা জিয়ার প্রতি নির্মম আচরণের কারণে আমাদের অন্তরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। জাতিসংঘ বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা দিতে বর্তমান সরকারকে অনুরোধ করেছে এবং সেই সাথে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছি। আমরা মনে করি, বর্তমান সরকার তা বিবেচনা করবে। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নতর চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। চিকিৎসা করার অধিকার প্রতিটি মানুষের আছে। এই পরিস্থিতিতে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে দুর্বল বা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে দেওয়া যাবে না। সেজন্য জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী মনোনীত করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সমুচিত। তাতে করে সুষ্ঠু নির্বাচনে অনেক যোগ্য প্রার্থী ক্ষমতাসীনদের পরাজিত করে সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে এবং একটি প্রাণবন্ত সংসদ জাতি ফিরে পাবে। তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরও মুক্তি দাবি করেছেন।