Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণের বিচার যদি জনসম্মুখে করা হয়, তাহলে অন্যরা এ থেকে শিক্ষা নেবে : আফরোজা আব্বাস

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

ধর্ষণের বিচার যদি জনসম্মুখে করা হয় তাহলে অন্যরা এ থেকে শিক্ষা নেবে জানিয়ে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, প্রয়োজনে ইসলামী আইনে বিচার করুক। ইসলামে আছে ধর্ষণকারীকে জনসম্মুখে পাথর নিক্ষেপ করে দণ্ড কার্যকর করা। যে আইনেই করুক, এর বিচার কার্যকর করতে হবে জনসম্মুখে।

রোববার (১৬ মার্চ) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের আটি গ্রামে গত শুক্রবার ধর্ষণচেষ্টার শিকার শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখার করার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে আজকে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার জন্য পুরোপুরি দায়ী শেখ হাসিনা। আগে ধর্ষণ হতো। কিন্তু শেখ হাসিনার সময় গণধর্ষণের ঘটনা ঘটতো এবং এই সব ঘটনা ঘটার পরে শেখ হাসিনার সময় কোনো বিচারই হতো না। বরং যারা গণধর্ষণ করতো তাদেরকে পুরস্কৃত করা হতো। সেজন্য এগুলো দিনে দিনে বেড়ে গেছে।

আফরোজা আব্বাস বলেন, শেখ হাসিনার ১৭ বছরে এসব ধর্ষণ, গণধর্ষণের কোনো বিচার হয়নি। সেকারণেই এগুলো বেড়ে গেছে। আপনাদের মনে আছে নারায়ণগঞ্জের রিমার স্বামীকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার আমলে কীভাবে ফাঁসি দিয়েছিল। সেভাবে যদি হাসিনা কয়েকটা বিচার করতো তাহলে এগুলো হতো না। এ যে নরপশুগুলো এদের দুয়েকটার বিচার না হলে এরা ঠিক হবে না। মাগুরার শিশুটি মারা গেল, তার বিচারটা তাৎক্ষণিক হয়ে গেলে এ ঘটনাগুলো ঘটতো না। অথচ আমরা দেখেছি শেরপুরে, ময়মনসিংহে এরকম ঘটনা ঘটেছে। কুমিল্লায়তো একজনকে মেরেই ফেলেছে।

তিনি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান এগুলো দেখার জন্য আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এসব পরিবারের কাছে তার বার্তা পৌঁছে দিতে যে, তারেক রহমান এসব পরিবারের পাশে আছেন।

আফরোজা আব্বাস বলেন, আছিয়ার ধর্ষণের ঘটনার বিচার যদি দ্রুত হয় তাহলে দেশে এত ধর্ষণের ঘটনা ঘটবে না। এসব নরপশুদের বিচার না হলে ওরা মানুষ হবে না। দেশের বিভিন্ন জেলায় শিশু এবং নারী ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হচ্ছে। বিষয়গুলো আমাদের নেতা তারেক রহমান বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখে আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন এখানে আসতে এবং উনি বলেছেন যে, এ পরিবারের পাশে আছেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া শিখিয়েছেন, যেখানে নারী নির্যাতন সেখানেই জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। আমি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের পক্ষ থেকে তথা তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের এ ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। আপনারা জানেন নারায়ণগঞ্জে অনেক আগের একটি ঘটনায় রিমার স্বামী মনিরকে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি দিয়েছিল খালেদা জিয়ার সরকার। সে রকম বিচার যদি শেখ হাসিনা দুয়েকটা করতে পারত তবে দেশে আজকে এ অবস্থা হতো না। এখন নতুন যে সরকার আসছে আমরা আশা করব তারা দ্রুত ধর্ষণের বিচার করবে।

মহিলা দলের সভাপতি বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের এ শিশুর ঘটনার কোনো প্রমাণের দরকার নেই। হাতেনাতে এটা প্রমাণিত হয়েছে। আছিয়ার ঘটনাও প্রমাণিত। তাই জনগণের সামনে ফাঁসিতে ঝুলানো উচিত তাকে। জেলখানায় ফাঁসি দেবে আমরা এটাও চাই না। আমরা চাই আছিয়ার মা-বাবা স্বচক্ষে অপরাধীর ফাঁসি দেখুক।

আফরোজা আব্বাস বলেন, ধর্ষণের বিচার যদি জনসম্মুখে করা হয় তাহলে অন্যরা এ থেকে শিক্ষা নেবে। প্রয়োজনে ইসলামী আইনে বিচার করুক। ইসলামে আছে ধর্ষণকারীকে জনসম্মুখে পাথর নিক্ষেপ করে দণ্ড কার্যকর করা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বক্তব্য দিতে গিয়ে মঞ্চে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির

ধর্ষণের বিচার যদি জনসম্মুখে করা হয়, তাহলে অন্যরা এ থেকে শিক্ষা নেবে : আফরোজা আব্বাস

প্রকাশের সময় : ০৪:২১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

ধর্ষণের বিচার যদি জনসম্মুখে করা হয় তাহলে অন্যরা এ থেকে শিক্ষা নেবে জানিয়ে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, প্রয়োজনে ইসলামী আইনে বিচার করুক। ইসলামে আছে ধর্ষণকারীকে জনসম্মুখে পাথর নিক্ষেপ করে দণ্ড কার্যকর করা। যে আইনেই করুক, এর বিচার কার্যকর করতে হবে জনসম্মুখে।

রোববার (১৬ মার্চ) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের আটি গ্রামে গত শুক্রবার ধর্ষণচেষ্টার শিকার শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখার করার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে আজকে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার জন্য পুরোপুরি দায়ী শেখ হাসিনা। আগে ধর্ষণ হতো। কিন্তু শেখ হাসিনার সময় গণধর্ষণের ঘটনা ঘটতো এবং এই সব ঘটনা ঘটার পরে শেখ হাসিনার সময় কোনো বিচারই হতো না। বরং যারা গণধর্ষণ করতো তাদেরকে পুরস্কৃত করা হতো। সেজন্য এগুলো দিনে দিনে বেড়ে গেছে।

আফরোজা আব্বাস বলেন, শেখ হাসিনার ১৭ বছরে এসব ধর্ষণ, গণধর্ষণের কোনো বিচার হয়নি। সেকারণেই এগুলো বেড়ে গেছে। আপনাদের মনে আছে নারায়ণগঞ্জের রিমার স্বামীকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার আমলে কীভাবে ফাঁসি দিয়েছিল। সেভাবে যদি হাসিনা কয়েকটা বিচার করতো তাহলে এগুলো হতো না। এ যে নরপশুগুলো এদের দুয়েকটার বিচার না হলে এরা ঠিক হবে না। মাগুরার শিশুটি মারা গেল, তার বিচারটা তাৎক্ষণিক হয়ে গেলে এ ঘটনাগুলো ঘটতো না। অথচ আমরা দেখেছি শেরপুরে, ময়মনসিংহে এরকম ঘটনা ঘটেছে। কুমিল্লায়তো একজনকে মেরেই ফেলেছে।

তিনি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান এগুলো দেখার জন্য আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এসব পরিবারের কাছে তার বার্তা পৌঁছে দিতে যে, তারেক রহমান এসব পরিবারের পাশে আছেন।

আফরোজা আব্বাস বলেন, আছিয়ার ধর্ষণের ঘটনার বিচার যদি দ্রুত হয় তাহলে দেশে এত ধর্ষণের ঘটনা ঘটবে না। এসব নরপশুদের বিচার না হলে ওরা মানুষ হবে না। দেশের বিভিন্ন জেলায় শিশু এবং নারী ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হচ্ছে। বিষয়গুলো আমাদের নেতা তারেক রহমান বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখে আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন এখানে আসতে এবং উনি বলেছেন যে, এ পরিবারের পাশে আছেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া শিখিয়েছেন, যেখানে নারী নির্যাতন সেখানেই জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। আমি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের পক্ষ থেকে তথা তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের এ ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। আপনারা জানেন নারায়ণগঞ্জে অনেক আগের একটি ঘটনায় রিমার স্বামী মনিরকে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি দিয়েছিল খালেদা জিয়ার সরকার। সে রকম বিচার যদি শেখ হাসিনা দুয়েকটা করতে পারত তবে দেশে আজকে এ অবস্থা হতো না। এখন নতুন যে সরকার আসছে আমরা আশা করব তারা দ্রুত ধর্ষণের বিচার করবে।

মহিলা দলের সভাপতি বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের এ শিশুর ঘটনার কোনো প্রমাণের দরকার নেই। হাতেনাতে এটা প্রমাণিত হয়েছে। আছিয়ার ঘটনাও প্রমাণিত। তাই জনগণের সামনে ফাঁসিতে ঝুলানো উচিত তাকে। জেলখানায় ফাঁসি দেবে আমরা এটাও চাই না। আমরা চাই আছিয়ার মা-বাবা স্বচক্ষে অপরাধীর ফাঁসি দেখুক।

আফরোজা আব্বাস বলেন, ধর্ষণের বিচার যদি জনসম্মুখে করা হয় তাহলে অন্যরা এ থেকে শিক্ষা নেবে। প্রয়োজনে ইসলামী আইনে বিচার করুক। ইসলামে আছে ধর্ষণকারীকে জনসম্মুখে পাথর নিক্ষেপ করে দণ্ড কার্যকর করা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল প্রমুখ।