Dhaka রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিল্লিতে জি-টোয়েন্টি সম্মেলন শুরু, যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শুরু হয়েছে জি-২০ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা। বিশ্বনেতাদের বরণ করে নিতে সম্মেলনস্থল ‘ভারত মান্দাপাতামে’ পৌঁছেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এক এক করে সব বিশ্বনেতাকে বরণ করে নিচ্ছেন। এই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও বরণ করে নিতে দেখা যায় তাকে।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সম্মেলনটি শুরু হয়ে কাল রোববার পর্যন্ত চলবে। বিশ্বের ২০ শীর্ষ অর্থনৈতিক দেশের জোট জি-২০ এর সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

পরে ওয়ান আর্থ শীর্ষক সেশন-ওয়ানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুরে সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালমানের সাথে করবেন দ্বিপাক্ষীক বৈঠক। এরপর আর্জেন্টিনা ও সাউথ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বসবেন তিনি।

নেতাদের বরণ করে নিতে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় ভারত মান্দাপাতামে সম্মেলন কেন্দ্রে গিয়ে উপস্থিত হন মোদি। এরপরই বিশ্বনেতারা আসা শুরু করেন।

১৮তম জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে কঠোর করা হয়েছে শহরের ট্রাফিক আইন। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল, ব্যাংক ও সরকারি অফিস। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সম্মেলন উপলক্ষ্যে নতুন রূপে সেজেছে দিল্লি। রঙিন ব্যানার-ফেস্টুন ও আলোকসজ্জায় মুখর ভারতের রাজধানী।

এবারের সম্মেলনে মূলত ৬টি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হবে। যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বব্যাপী ঋণ কাঠামো সংস্কার, ঋণ ব্যবস্থাপনায় স্থায়িত্ব এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত প্রসঙ্গ। এছাড়াও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, সব ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন ইস্যুতে আলোচনা হবে এবারের সম্মেলনে।

জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ভারতে অবস্থান করছেন ৪০টি দেশের সরকার-রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধি। এবারের সম্মেলনকে আয়োজক দেশ ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ভারতকে প্রধান বৈশ্বিক শক্তি প্রমাণ করতে চান নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া, নিজেকে বিশ্বনেতার আসনেও বসাতে চান মোদি।

আয়োজক ভারত এবং নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের জন্য এবারের সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বলছেন বিশ্লেষকরা। ২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে বিশ্ব রাজনীতির প্রধান শক্তির ভূমিকা নিতে চায় ভারত। এছাড়া, নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বনেতা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করতে চান নরেন্দ্র মোদি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাগরিকা ঘোষ বলেন, কয়েক মাসের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, মোদি নিজেকে বিশ্বনেতাদের কাতারে দাঁড় করাতে চাইছেন। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় নিজের অবস্থান শক্ত করতে চান তিনি। জি-টোয়েন্টি সম্মেলনকে কাজে লাগিয়ে ভাবমূর্তি শক্তিশালী করে ২০২৪ সালের নির্বাচনে এগিয়ে যেতে চান মোদি।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর, প্রথমবার মতো ভারত সফর করছেন, ভারতীয় বংশোদ্ভুত, ঋষি সুনাক। এছাড়া থাকছেন ইইউ, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপানসহ গুরুত্বপূর্ণ দেশের নেতারাও। জি-টোয়েন্টির সভাপতিত্ব করা ভারতের জন্য বড় সাফল্য বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

শীর্ষ সম্মেলনে জি-২০ নেতারা অন্যান্যের মধ্যে ডিজিটাল রূপান্তর, জলবায়ু অর্থায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস), খাদ্য নিরাপত্তা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব এবং বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও সমাধান খুঁজে বের করবেন।

নয়াদিল্লিতে এই অনুষ্ঠানে যোগদানকারী বিশ্ব নেতারা হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল,তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়িপ এরদোয়ান, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা প্রমুখ।

এই সম্মেলনে অংশ নিতে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় মোদির সরকারি বাসভবনে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি।

শনিবার সম্মেলনস্থলে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মোদিকে হাত মেলাতে দেখা যায়।

এদিকে এবারই প্রথমবারের মতো জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করছে ভারত। এই সম্মেলন উপলক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দেশটি।

এবারের সম্মেলনের মূলমন্ত্র হলো— ‘ভাসুধাইভা কুতুমবাকাম।’ প্রাচীন সংস্কৃত পাঠ মহা উপনিষদ থেকে এ বাক্যটি নেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হলো, ‘এক পৃথিবী-এক পরিবার-এক ভবিষ্যত।’ এরমাধ্যমে মানুষ, পশু, পৃথিবী ও অণুজীবের জীবনের মূল্যের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

প্রথমদিন ‘এক পৃথিবী’ এই মন্ত্রের ওপর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মধ্যাহ্নভোজের বিরতি শেষে ভারতীয় সময় বিকাল ৩টায় শুরু হবে ‘এক পরিবার’ সম্মেলন। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় প্রেসিডেন্ট দ্রুপধি মুর্মুর আয়োজিত ডিনারে যোগ দেবেন বিশ্বনেতারা।

তবে এবারের সম্মেলনে যোগ দেননি জোটের অন্যতম দুই শীর্ষ দেশ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাদের এ অনুপস্থিতি সম্মেলনের সৌন্দর্যে কিছুটা ভাটা ফেললেও পুরো আয়োজনে এর বড় কোনো প্রভাব পড়বে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দিল্লিতে জি-টোয়েন্টি সম্মেলন শুরু, যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১২:১০:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শুরু হয়েছে জি-২০ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা। বিশ্বনেতাদের বরণ করে নিতে সম্মেলনস্থল ‘ভারত মান্দাপাতামে’ পৌঁছেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এক এক করে সব বিশ্বনেতাকে বরণ করে নিচ্ছেন। এই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও বরণ করে নিতে দেখা যায় তাকে।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সম্মেলনটি শুরু হয়ে কাল রোববার পর্যন্ত চলবে। বিশ্বের ২০ শীর্ষ অর্থনৈতিক দেশের জোট জি-২০ এর সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

পরে ওয়ান আর্থ শীর্ষক সেশন-ওয়ানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুরে সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালমানের সাথে করবেন দ্বিপাক্ষীক বৈঠক। এরপর আর্জেন্টিনা ও সাউথ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বসবেন তিনি।

নেতাদের বরণ করে নিতে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় ভারত মান্দাপাতামে সম্মেলন কেন্দ্রে গিয়ে উপস্থিত হন মোদি। এরপরই বিশ্বনেতারা আসা শুরু করেন।

১৮তম জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে কঠোর করা হয়েছে শহরের ট্রাফিক আইন। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল, ব্যাংক ও সরকারি অফিস। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সম্মেলন উপলক্ষ্যে নতুন রূপে সেজেছে দিল্লি। রঙিন ব্যানার-ফেস্টুন ও আলোকসজ্জায় মুখর ভারতের রাজধানী।

এবারের সম্মেলনে মূলত ৬টি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হবে। যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বব্যাপী ঋণ কাঠামো সংস্কার, ঋণ ব্যবস্থাপনায় স্থায়িত্ব এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত প্রসঙ্গ। এছাড়াও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, সব ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন ইস্যুতে আলোচনা হবে এবারের সম্মেলনে।

জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ভারতে অবস্থান করছেন ৪০টি দেশের সরকার-রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধি। এবারের সম্মেলনকে আয়োজক দেশ ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ভারতকে প্রধান বৈশ্বিক শক্তি প্রমাণ করতে চান নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া, নিজেকে বিশ্বনেতার আসনেও বসাতে চান মোদি।

আয়োজক ভারত এবং নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের জন্য এবারের সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বলছেন বিশ্লেষকরা। ২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে বিশ্ব রাজনীতির প্রধান শক্তির ভূমিকা নিতে চায় ভারত। এছাড়া, নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বনেতা হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করতে চান নরেন্দ্র মোদি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাগরিকা ঘোষ বলেন, কয়েক মাসের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, মোদি নিজেকে বিশ্বনেতাদের কাতারে দাঁড় করাতে চাইছেন। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় নিজের অবস্থান শক্ত করতে চান তিনি। জি-টোয়েন্টি সম্মেলনকে কাজে লাগিয়ে ভাবমূর্তি শক্তিশালী করে ২০২৪ সালের নির্বাচনে এগিয়ে যেতে চান মোদি।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর, প্রথমবার মতো ভারত সফর করছেন, ভারতীয় বংশোদ্ভুত, ঋষি সুনাক। এছাড়া থাকছেন ইইউ, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপানসহ গুরুত্বপূর্ণ দেশের নেতারাও। জি-টোয়েন্টির সভাপতিত্ব করা ভারতের জন্য বড় সাফল্য বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

শীর্ষ সম্মেলনে জি-২০ নেতারা অন্যান্যের মধ্যে ডিজিটাল রূপান্তর, জলবায়ু অর্থায়ন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজিএস), খাদ্য নিরাপত্তা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব এবং বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও সমাধান খুঁজে বের করবেন।

নয়াদিল্লিতে এই অনুষ্ঠানে যোগদানকারী বিশ্ব নেতারা হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল,তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়িপ এরদোয়ান, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা প্রমুখ।

এই সম্মেলনে অংশ নিতে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় মোদির সরকারি বাসভবনে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি।

শনিবার সম্মেলনস্থলে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মোদিকে হাত মেলাতে দেখা যায়।

এদিকে এবারই প্রথমবারের মতো জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করছে ভারত। এই সম্মেলন উপলক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দেশটি।

এবারের সম্মেলনের মূলমন্ত্র হলো— ‘ভাসুধাইভা কুতুমবাকাম।’ প্রাচীন সংস্কৃত পাঠ মহা উপনিষদ থেকে এ বাক্যটি নেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হলো, ‘এক পৃথিবী-এক পরিবার-এক ভবিষ্যত।’ এরমাধ্যমে মানুষ, পশু, পৃথিবী ও অণুজীবের জীবনের মূল্যের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

প্রথমদিন ‘এক পৃথিবী’ এই মন্ত্রের ওপর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মধ্যাহ্নভোজের বিরতি শেষে ভারতীয় সময় বিকাল ৩টায় শুরু হবে ‘এক পরিবার’ সম্মেলন। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় প্রেসিডেন্ট দ্রুপধি মুর্মুর আয়োজিত ডিনারে যোগ দেবেন বিশ্বনেতারা।

তবে এবারের সম্মেলনে যোগ দেননি জোটের অন্যতম দুই শীর্ষ দেশ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাদের এ অনুপস্থিতি সম্মেলনের সৌন্দর্যে কিছুটা ভাটা ফেললেও পুরো আয়োজনে এর বড় কোনো প্রভাব পড়বে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।