আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
সাইফার মামলার পর এবার তোশাখানা মামলাতেও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত।
বুধবার (৩১ জানুয়ায়ি) ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) বিশেষ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ বশির রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে এই রায় ঘোষণা করেন। আদালত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রীকে ১০ বছরের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেছেন। অর্থাৎ এই রায় কার্যকর হওয়ার পর আগামী ১০ বছর কোনো রাষ্ট্রীয় পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না তারা। পাশাপাশি এই দম্পতিকে ১৫৭ কোটি ৩০ লাখ পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করা হয়েছে।
আদিয়ালা কারাগারে আগের শুনানির সময় আদালত ৩৪২ ধারায় বুশরা বিবির বক্তব্য রেকর্ড করেছিল। রায় ঘোষণার সময় বুশরা বিবি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
ইমরান আদালতকে বলেন, তার স্ত্রীর এই মামলার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তাকে জোর করে টেনে এনে অপমান করা হচ্ছে।
শুনানির শুরুতে বিচারক ইমরানকে বক্তব্য রেকর্ড করেছেন কি না জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তার আইনজীবীরা এলে তিনি বক্তব্য জমা দেবেন।
পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘শুনানির জন্য হাজিরা দিতে আমাকে ডাকা হয়েছিল। আগে থেকে কিছু না জানিয়েই রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আমার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাকালে ইমরান খান অনেক উপহার পেয়েছিলেন। সেগুলো তোষাখানায় জমা না দিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ছাড়াও তোষাখানা থেকে বিদেশি উপহার নিয়েছিলেন দেশটির বর্তমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্টসহ আরও অনেকেই। দেশের সরকার ও বিদেশি রাষ্ট্র থেকে সরকারি প্রতিনিধিরা যে উপহার পান, তাই জমা করা হয় তোষাখানায়।
প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় উপহার পাওয়া কিছু জিনিস পরে দাম দিয়ে কিনে নিয়েছিলেন ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি। অভিযোগ, জিনিসগুলোর যা দাম ছিল, তার থেকে অনেক কম টাকা দিয়ে সেগুলো কিনেছিলেন তিনি।
সেই বিষয় নিয়েই মামলা চলছিল। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার অ্যাকাউন্টিবিলিট কোর্ট ইমরান খান ও তার স্ত্রীর ১৪ বছরের কারাদণ্ডদেশ দেন। এ ছাড়া ১৫৭ কোটি পাকিস্তানি রুপি জরিমানাও করা হয় ইমরানকে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৬১ কোটি টাকারও বেশি।