আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
সম্পূর্ণ ভারতে তৈরি লাইট কমব্যাট ফাইটার ‘তেজাস’ এ উঠে আকাশ ভ্রমণ করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুরোপুরি ফাইটার পাইলটের সাজে মোদি বসেছিলেন অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ মডেলের পেছনের সিটে। প্রকৃতভাবে তেজাস আসলে এক সিটের যুদ্ধবিমান।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) যুদ্ধবিমানে প্রায় ৪৫ মিনিট আকাশে ওড়েন।
বেঙ্গালুরুতে কীভাবে চলছে তেজসের নির্মাণ তা খতিয়ে দেখতেই সেখানে যান মোদি। পরিদর্শনের আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, প্রধানমন্ত্রী হ্যালের নির্মাণ বিভাগের কাজ খতিয়ে দেখবেন। এর মধ্যে মূল ফোকাস তেজস নির্মাণের বিষয়টি খতিয়ে দেখা।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র উপরে জোর দিয়েছেন মোদি। সেই পথে অন্যতম মাইলফলক তেজস। তেজস যুদ্ধবিমানটি বানিয়েছে ভারতের সামরিক বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা হ্যাল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে যুদ্ধবিমানে চড়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন নরেন্দ্রো মোদি। তিনি লিখেছেন, ‘ছোট্ট একটা ফ্লাইট সম্পন্ন করলাম তেজসে। অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হলাম। আমাদের দেশীয় নির্মাণ দক্ষতার প্রতি আমার আস্থা বাড়ল। আমাদের জাতীয় সম্ভাবনা সম্পর্কে নতুন করে গর্ব ও আশা অনুভব করলাম।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বেঙ্গালুরুতে হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের দপ্তরে যান মোদি। বেঙ্গালুরুতে কীভাবে চলছে তেজসের নির্মাণ তা খতিয়ে দেখতেই সেখানে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই শনিবার ওই যুদ্ধবিমানের উড়ানে শামিল হতে দেখা গেলো তাকে।
‘লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট’টি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মীত। বিমানবাহিনীর মিগ-২১ বিমানগুলোর জায়গা নিচ্ছে তেজস। ভারত কেবলমাত্র এই বিমানের ব্যবহার শুরু করেছে তা নয়। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশ এই বিমান কেনায় আগ্রহও দেখিয়েছে।
হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডকে আরও ৮৩টি এলসিএ এমকে ১এ এয়ারক্রাফ্ট তৈরি করার জন্য ৩৬ হাজার ৪৬৮ কোটি রুপির বাজেট দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এই যুদ্ধবিমানগুলো তৈরি করে ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাতে দুলে দেবে সংস্থাটি।
তেজস যুদ্ধবিমানে একটি ইঞ্জিনই রয়েছে। তবে কঠিন পরিস্থিতিতে প্রতিপক্ষর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম এই যুদ্ধবিমান। এছাড়াও নজরদারির ক্ষেত্রে এই যুদ্ধবিমান বেশ কার্যকর।