Dhaka সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গু থেকে মুক্ত থাকতে সবাইকে সজাগ হতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে কিছুদিন ধরে আবারও ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রভাব বাড়ছে। ডেঙ্গু সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে হলে সবাইকে সজাগ হতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে মশার কামড় থেকে মুক্ত থাকতে হবে। আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাসা বাড়ির ছাদ, আঙিনায় যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

রোববার (৭ মে) দুপুর ১২টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্বজুড়ে টিকাদান সপ্তাহ পালিত হয়েছে। আমরা প্রতি বছর সাড়ে দুই কোটি শিশুকে টিকা দিয়ে থাকি, সব মিলিয়ে প্রায় ১০টিরও বেশি অসুখের টিকা দেওয়া হয়ে থাকে। এই প্রোগ্রামের জন্য ১ লাখ ২০ হাজার সেন্টার করে থাকি। এছাড়াও আমরা ১৫ থেকে ৪৯ বছরের নারীদের টিকা দিয়ে থাকি। তাদেরও ১০ রকমের রোগের টিকা দেওয়া হয়। বর্তমানে ৯৫ শতাংশ শিশু টিকার আওতায় এসেছে। যা ২০০১ সালে ৫২ শতাংশ। শিশুদের পাশাপাশি সরকার ১৫-৪৯ বছরের নারীদেরও বিভিন্ন রোগের টিকা দেয়। নারীদের ৮০ শতাংশ টিকার আওতায় আনা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ টিকার প্রতি আগ্রহী, তারা খুবই আনন্দের সঙ্গে টিকা নেয়। আমাদের মায়েরা শিশুদের টিকা দিতে আগ্রহী। তারাই আমাদের টিকাদানে সফলতার পেছনের বড় কারণ হিসেবে কাজ করে। এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছাও বড় কারণ। এই কার্যক্রমে বিরাট একটা লজিস্টিক সাপোর্ট লাগে যা সরকার দেয়। টিকাদানের সময়ে অন্যান্য কাজকর্মও আমরা করে যাচ্ছি। বর্তমান গড় আয়ু ৭৩ হওয়ায় টিকা কর্মসূচির সফলতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে টিকা কার্যক্রম ১৯৭৯ সালে শুরু হয়। আমাদের দেশের মানুষ টিকার প্রতি আগ্রহী। আনন্দের সাথে তারা টিকা নেয়। আমাদের মায়েরা তাদের শিশুদের টিকা দিতে আগ্রহী। এটা আমাদের সফলতার অন্যতম কারণ। আমাদের সরকারও গুরুত্ব সহকারে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। এক্ষেত্রে সব ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট ও পরিকল্পনা করে সে অনুযায়ী কাজ করে। এর ফল আমরা দেখতে পাচ্ছি। এক দশক আগেও গড় আয়ু ৬০ বছরের বেশি ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ বছরে। এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে আমাদের টিকা কর্মসূচিগুলো।

করোনাকালীন টিকা কর্মসূচির সফলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনাকালে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব স্থবির হয়ে গিয়েছিল। লকডাউনের কারণে সব বিভাগে স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল। করোনায় বিশ্বে ৭০ লাখ মানুষ মারা গেছে, ৭০ কোটি লোক আক্রান্ত হয়েছে। সে সময়ও আমরা ৩৬ কোটি টিকা দেওয়া দিয়েছি। এ কারণে আমাদের দেশে মৃত্যুহার অনেক কম। একইসঙ্গে অন্যান্য টিকা কার্যক্রমও চালিয়েছি। সে সময়ও টিকা না পাওয়া শিশুদের পরবর্তীতে টিকা পাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আমরা সবাইকে টিকা দিয়েছি। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে টিকা নিশ্চিত করেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মুহাম্মদ খুরশীদ আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডা. বরদান জুং রানাসহ আরও অনেকে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ডেঙ্গু থেকে মুক্ত থাকতে সবাইকে সজাগ হতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:৩৯:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে কিছুদিন ধরে আবারও ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রভাব বাড়ছে। ডেঙ্গু সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে হলে সবাইকে সজাগ হতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে মশার কামড় থেকে মুক্ত থাকতে হবে। আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাসা বাড়ির ছাদ, আঙিনায় যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

রোববার (৭ মে) দুপুর ১২টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্বজুড়ে টিকাদান সপ্তাহ পালিত হয়েছে। আমরা প্রতি বছর সাড়ে দুই কোটি শিশুকে টিকা দিয়ে থাকি, সব মিলিয়ে প্রায় ১০টিরও বেশি অসুখের টিকা দেওয়া হয়ে থাকে। এই প্রোগ্রামের জন্য ১ লাখ ২০ হাজার সেন্টার করে থাকি। এছাড়াও আমরা ১৫ থেকে ৪৯ বছরের নারীদের টিকা দিয়ে থাকি। তাদেরও ১০ রকমের রোগের টিকা দেওয়া হয়। বর্তমানে ৯৫ শতাংশ শিশু টিকার আওতায় এসেছে। যা ২০০১ সালে ৫২ শতাংশ। শিশুদের পাশাপাশি সরকার ১৫-৪৯ বছরের নারীদেরও বিভিন্ন রোগের টিকা দেয়। নারীদের ৮০ শতাংশ টিকার আওতায় আনা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ টিকার প্রতি আগ্রহী, তারা খুবই আনন্দের সঙ্গে টিকা নেয়। আমাদের মায়েরা শিশুদের টিকা দিতে আগ্রহী। তারাই আমাদের টিকাদানে সফলতার পেছনের বড় কারণ হিসেবে কাজ করে। এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছাও বড় কারণ। এই কার্যক্রমে বিরাট একটা লজিস্টিক সাপোর্ট লাগে যা সরকার দেয়। টিকাদানের সময়ে অন্যান্য কাজকর্মও আমরা করে যাচ্ছি। বর্তমান গড় আয়ু ৭৩ হওয়ায় টিকা কর্মসূচির সফলতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে টিকা কার্যক্রম ১৯৭৯ সালে শুরু হয়। আমাদের দেশের মানুষ টিকার প্রতি আগ্রহী। আনন্দের সাথে তারা টিকা নেয়। আমাদের মায়েরা তাদের শিশুদের টিকা দিতে আগ্রহী। এটা আমাদের সফলতার অন্যতম কারণ। আমাদের সরকারও গুরুত্ব সহকারে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। এক্ষেত্রে সব ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট ও পরিকল্পনা করে সে অনুযায়ী কাজ করে। এর ফল আমরা দেখতে পাচ্ছি। এক দশক আগেও গড় আয়ু ৬০ বছরের বেশি ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ বছরে। এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে আমাদের টিকা কর্মসূচিগুলো।

করোনাকালীন টিকা কর্মসূচির সফলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনাকালে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব স্থবির হয়ে গিয়েছিল। লকডাউনের কারণে সব বিভাগে স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল। করোনায় বিশ্বে ৭০ লাখ মানুষ মারা গেছে, ৭০ কোটি লোক আক্রান্ত হয়েছে। সে সময়ও আমরা ৩৬ কোটি টিকা দেওয়া দিয়েছি। এ কারণে আমাদের দেশে মৃত্যুহার অনেক কম। একইসঙ্গে অন্যান্য টিকা কার্যক্রমও চালিয়েছি। সে সময়ও টিকা না পাওয়া শিশুদের পরবর্তীতে টিকা পাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আমরা সবাইকে টিকা দিয়েছি। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে টিকা নিশ্চিত করেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মুহাম্মদ খুরশীদ আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডা. বরদান জুং রানাসহ আরও অনেকে।