Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তার জামিন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫০:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৮৮ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অর্থ আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল ও অবৈধভাবে শেয়ার হস্তান্তরের অভিযোগে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতার মেয়ে শাযরেহ হকের করা তিন মামলায় গ্রেপ্তার ওই গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তা জামিন পেয়েছেন।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার এই আদেশ দেন।

জামিন হয়েছে তাঁরা হলেন, ট্রান্সকম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স-আইন) মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ও ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সেক্রেটারি) আবু ইউসূফ মো. সিদ্দিক।

ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ঢাকা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি মিজানুর রহমান মামুন, আইনজীবী বাহারুল ইসলাম ও এ কে এম মুহিউদ্দিন ফারুক।

আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কমর্কতা এস আই শাহ আলম বলেন, রিমান্ড শুনানির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় এবং কারাগারে পাঠানোর মতো কোনো আইনি যুক্তি না থাকায় তাদের জামিন দেন বিচারক।

ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমানের মেয়ে শাযরেহ হক বৃহস্পতিবার গুলশান থানায় এই তিন মামলা দায়ের করেন। গ্রুপের ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল এবং অবৈধভাবে কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর করার অভিযোগ আনা হয় সেসব মামলায়।

শাযরেহ হক তার বোন সিমিন রহমান, মা শাহনাজ রহমান এবং সিমিন রহমানের ছেলে যারেফ আয়াত হোসেনকেও আসামি করেছেন।

লতিফুর রহমানের স্ত্রী শাহনাজ রহমান এখন ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান। তার বড় মেয়ে সিমিন রহমান গ্রুপের সিইও। আর নাতি যারেফ আয়াত ট্রান্সকমের হেড অব ট্রান্সফরমেশন। ছোট মেয়ে শাযরেহ হকও ট্রান্সকম গ্রুপের একজন পরিচালক।

মামলা হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ঢাকার গুলশান থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে আসামিদের জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।

শুনানিতে তারা বলেন, একই বিষয়ে দেওয়ানি আদালতে মামলা রয়েছে, যা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় । এটা একটি কাউন্টার মামলা। ওই মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগে সম্পত্তি দখল, অর্থ আত্মসাত কোনো কিছুই প্রমাণ করা বা অভিযোগ আনা ঠিক না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাবনায় সেপটিক ট্যাংকে আটকা পড়ে দুই নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু

ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তার জামিন

প্রকাশের সময় : ০৭:৫০:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অর্থ আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল ও অবৈধভাবে শেয়ার হস্তান্তরের অভিযোগে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতার মেয়ে শাযরেহ হকের করা তিন মামলায় গ্রেপ্তার ওই গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তা জামিন পেয়েছেন।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার এই আদেশ দেন।

জামিন হয়েছে তাঁরা হলেন, ট্রান্সকম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স-আইন) মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ও ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সেক্রেটারি) আবু ইউসূফ মো. সিদ্দিক।

ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ঢাকা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি মিজানুর রহমান মামুন, আইনজীবী বাহারুল ইসলাম ও এ কে এম মুহিউদ্দিন ফারুক।

আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কমর্কতা এস আই শাহ আলম বলেন, রিমান্ড শুনানির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় এবং কারাগারে পাঠানোর মতো কোনো আইনি যুক্তি না থাকায় তাদের জামিন দেন বিচারক।

ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমানের মেয়ে শাযরেহ হক বৃহস্পতিবার গুলশান থানায় এই তিন মামলা দায়ের করেন। গ্রুপের ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল এবং অবৈধভাবে কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর করার অভিযোগ আনা হয় সেসব মামলায়।

শাযরেহ হক তার বোন সিমিন রহমান, মা শাহনাজ রহমান এবং সিমিন রহমানের ছেলে যারেফ আয়াত হোসেনকেও আসামি করেছেন।

লতিফুর রহমানের স্ত্রী শাহনাজ রহমান এখন ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান। তার বড় মেয়ে সিমিন রহমান গ্রুপের সিইও। আর নাতি যারেফ আয়াত ট্রান্সকমের হেড অব ট্রান্সফরমেশন। ছোট মেয়ে শাযরেহ হকও ট্রান্সকম গ্রুপের একজন পরিচালক।

মামলা হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ঢাকার গুলশান থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে আসামিদের জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।

শুনানিতে তারা বলেন, একই বিষয়ে দেওয়ানি আদালতে মামলা রয়েছে, যা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় । এটা একটি কাউন্টার মামলা। ওই মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগে সম্পত্তি দখল, অর্থ আত্মসাত কোনো কিছুই প্রমাণ করা বা অভিযোগ আনা ঠিক না।