স্পোর্টস ডেস্ক :
তিন স্পিনার নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে ১৪৯ রানে আটকে রাখতে পেরেছিল ভারত। জবাবে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক দল মাত্র এক স্পিনার নিয়ে খেলতে নেমেছিল। তার পরেও ভারতের ব্যাটিং লাইন আপকে রুখে দিয়ে মাত্র ৪ রানের জয় তুলে নিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। ৫ ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে।
ওয়ানডে সিরিজে ভারতীয়দের বিপক্ষে দুর্লভ একটি জয়ের পর টি-টোয়েন্টিতেও একই স্বাদ পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১৮ সালের পর ১৮টি-টোয়েন্টিতে এটি ভারতের বিপক্ষে তাদের মাত্র তৃতীয় জয়।
১৫০ রানের লক্ষ্যে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া (১৯) আউটের পরও ম্যাচটা ভারসাম্য অবস্থায় বিরাজ করছিল। অধিনায়কের আগে ২২ বলে সর্বোচ্চ ৩৯ রানে আউট হন অভিষিক্ত তিলক বর্মা। পান্ডিয়া যখন আউট হন তখন ২৯ বলে ভারতের ৩৭ রান প্রয়োজন ছিল। শেষ ওভারেও সুযোগ ছিল তাদের। তখন দরকার ছিল ১০। কিন্তু রোমারিও শেফার্ড দারুণ বোলিংয়ে এই ওভারে সফরকারীদের রুখে দিতে পেরেছেন। দুটি উইকেটের বিনিময়ে দিয়েছেন মাত্র ৫ রান! শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৪৫ রান করতে পারে ভারত। অবশ্য পাওয়ার প্লেতে জয়ের মঞ্চ গড়ে দিতে অবদান ছিল আকিল হোসেনের। সদ্য মেজর লিগ ক্রিকেট খেলে ফেরা আকিল তুলে নেন ইশান কিশানকে (৬)। বামহাতি এই ফিঙ্গার স্পিনার ৪ ওভারে ১৭ রানে এক উইকেট নিলেও বল হাতে ১৪ডট দিয়ে অবদান রেখেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১৯ রানে দুটি উইকেট নেন জেসন হোল্ডার। সূর্যকুমার ও পান্ডিয়ার উইকেট নেওয়ায় ম্যাচসেরাও তিনি। ২৮ রানে ও ৩৩ রানে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন যথাক্রমে ওবেড ম্যাককয়, রোমারিও শেফার্ড।
শুরুতে টস জিতে ব্যাট করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে তিনজনের ব্যাটিং ছিল মূল প্রভাবক। শুরুতে ব্র্যান্ডন কিং ১৯ বলে ২৮ রান করেছেন। মিডল অর্ডারে নিকোলাস পুরান ৪১ ও অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল ৪৮ রানের ইনিংস খেলে অবদান রাখেন। পুরানের ৩৪ বলের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ২টি ছয়। পাওয়েলের ৩২ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৩টি ছয়ের মার।
ভারতের হয়ে ২৪ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ৩১ রানে সমসংখ্যক উইকেট নিয়েছেন আরশদীপ সিং।