Dhaka শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুনে মূল্যস্ফীতি কমেছে ০.১৭ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মে মাসের তুলনায় জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে ০.১৭ শতাংশ। এ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯.৭২ শতাংশে। যা মে মাসে ছিল ৯.৮৯ শতাংশ।

রোববার (৭ জুন) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিবিএসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবিএস জানায়, জুন মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ।

বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ।

শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৫৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

মজুরি হার বেড়ে ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা মে মাসে ছিল ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। কৃষিতে মজুরি হার হয়েছে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। যা মে মাসে ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। শিল্প খাতে মজুরি বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সেবা খাতে মজুরি হার বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

দুই বছর ধরে বাংলাদেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এই পুরো সময় ধরে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের বেশি রয়েছে। মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও তাতে লাভ হয়নি। বরং মূল্যস্ফীতি উচ্চ স্তরেই রয়েছে, মাঝেমধ্যে কেবল সামান্য একটু ওঠানামা করছে। অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন দেশের অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি একধরনের কর; ধনী-গরিবনির্বিশেষে সবার ওপর চাপ সৃষ্টি করে মূল্যস্ফীতি। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার বেশি হলে গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষ সংসার চালাতে ভোগান্তিতে পড়েন। দুই বছর ধরে চলা এই উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। প্রভাব পড়ছে মানুষের যাপিত জীবনে। তবে অনেকে মনে করেন, প্রকৃত মূল্যস্ফীতি বিবিএসের তথ্যের চেয়ে বেশি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বার্ড স্ট্রাইক, বেঙ্গালুরুতে ফ্লাইট বাতিল করল এয়ার ইন্ডিয়া

জুনে মূল্যস্ফীতি কমেছে ০.১৭ শতাংশ

প্রকাশের সময় : ০২:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মে মাসের তুলনায় জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে ০.১৭ শতাংশ। এ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯.৭২ শতাংশে। যা মে মাসে ছিল ৯.৮৯ শতাংশ।

রোববার (৭ জুন) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিবিএসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবিএস জানায়, জুন মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ।

বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ।

শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৫৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

মজুরি হার বেড়ে ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা মে মাসে ছিল ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। কৃষিতে মজুরি হার হয়েছে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। যা মে মাসে ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। শিল্প খাতে মজুরি বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সেবা খাতে মজুরি হার বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

দুই বছর ধরে বাংলাদেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এই পুরো সময় ধরে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের বেশি রয়েছে। মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও তাতে লাভ হয়নি। বরং মূল্যস্ফীতি উচ্চ স্তরেই রয়েছে, মাঝেমধ্যে কেবল সামান্য একটু ওঠানামা করছে। অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন দেশের অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি একধরনের কর; ধনী-গরিবনির্বিশেষে সবার ওপর চাপ সৃষ্টি করে মূল্যস্ফীতি। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার বেশি হলে গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষ সংসার চালাতে ভোগান্তিতে পড়েন। দুই বছর ধরে চলা এই উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। প্রভাব পড়ছে মানুষের যাপিত জীবনে। তবে অনেকে মনে করেন, প্রকৃত মূল্যস্ফীতি বিবিএসের তথ্যের চেয়ে বেশি।