আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুয়াংজৌতে টর্নেডোর তাণ্ডবে পাঁচজন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রোববার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিজিটিএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, টর্নেডোটি শহরের বাইয়ুন জেলার ঝোংলুওটান শহরে আনুমানিক বেলা ৩টায় আঘাত হানে। এসময় টর্নেডোর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২.৮ কিলোমিটার দূরে লিয়াংতিয়ান গ্রামের আবহাওয়া কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ২০.৬ মিটার নিবন্ধিত হয়েছিল।
প্রাদেশিক আবহাওয়া ব্যুরোর প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে, টর্নেডোটি তৃতীয় স্তরের ছিল। টর্নেডোর সর্বোচ্চ তীব্রতার মাত্রা পাঁচ থেকে দুই স্তর নিচে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জরুরি বিভাগের উদ্ধারকর্মীদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীরাও রয়েছেন। রাত ১০টা নাগাদ তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে।
টর্নোডোর তাণ্ডবে ১৪১টি কারখানা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে ইতোমধ্যেই দুর্যোগের বেশ কিছু ফুটেজ পাওয়া গেছে। এসব ছবিতে দেখা গেছে দিনের মধ্যভাগেই আকাশ কালো আকার ধারণ করেছে। এছাড়া বেশ কিছু যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং গাছপালা উপড়ে গেছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে গুয়াংঝৌ প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভয়াবহ বন্যায় চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ১৯৫০ সালের পর থেকে এটাই ছিল ওই প্রদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা।
চীনে টর্নেডো খুব একটা দেখা যায় না। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংসু প্রদেশের সুকিয়ানে একটি টর্নেডোর আঘাতে ১০ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া ২০২১ সালে একদিনে দুটি টর্নেডোর আঘাত হানলে উহান শহরে আটজনসহ মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়।