আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীনকে ছাড়ালো প্রতিবেশী দেশ ভারত। বুধবার (১৯ এপ্রিল) জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, চীনের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ। বিপরীতে ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ ভারতের।
১৯৫০ সালে জনসংখ্যার তথ্য সংগ্রহ শুরুর পর প্রথমবার সবেচেয়ে জনবহুল দেশের তালিকায় শীর্ষে পৌঁছেছে ভারত। কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, চীনের জন্মহার হ্রাস পাওয়ায় ধীরে ধীরে দেশটির জনসংখ্যা কমতে শুরু করেছে। জন্মহার বাড়াতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছিল শি জিনপিং সরকার। কিন্তু এখনও আগের অবস্থানে ফিরে আসা সম্ভব হয়নি।
ইউএনএফপিএ-এর স্টেট অব ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিপোর্ট ২০২৩ অনুযায়ী, এই তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে আনুমানিক জনসংখ্যা হবে ৩৪০ মিলিয়ন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির অর্ধেকই দেখা যাবে আটটি দেশে। এগুলো হলো- ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআরসি), মিশর, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং তানজানিয়া।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা পূর্বের তথ্য বিশ্লেষণ করে ধারণা করেছিলেন যে, চলতি মাসেই জনসংখ্যায় চীনকে পেছনে ফেলবে ভারত। তবে কবে নাগাদ এই পরিবর্তন আসতে পারে তার নির্দিষ্ট সময় জানানো হয়নি।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক কর্মকর্তারা বলেন, এটা আসলে একেবারে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। কারণ ভারত এবং চীন থেকে আসা তথ্যের মধ্যে অনিশ্চয়তা রয়েছে। বিশেষ করে যেহেতু ভারতের শেষ আদমশুমারি হয়েছে ২০১১ সালে এবং বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ২০২১ সালের আদমশুমারি বিলম্বিত হয়েছে।
আনুমানিক ৮ দশমিক ০৪৫ জনসংখ্যা নিয়ে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি জনসংখ্যার দেশ হবে ভারত ও চীন। সাম্প্রতিক সময়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ভারতের তুলনায় চীনে অনেক দ্রুত গতিতে কমতে দেখা গেছে। গত বছর চীনের জনসংখ্যা ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো সবচেয়ে কমতে দেখা গেছে।
২০২১ সালে আদমশুমারির কথা থাকলেও প্রাণঘাতী করোনা মহামারীর কারণে তা আর হয়নি। এক্ষেত্রে দেশটিতে প্রকৃত অর্থে জনসংখ্যা কত সে সম্পর্কে সরকারি তথ্য নেই।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ভারতের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশের বয়স ১৪ বছরের কম। দেশটির জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশ ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী। যেখানে ৭ শতাংশের বয়স ৬৫ বছরের বেশি।
বিভিন্ন সংস্থাগুলো ধারণা করছে, আগামী তিন দশক ভারতের জনসংখ্যা বাড়তে থাকবে। দেশটির জনসংখ্যা ১৬৫ কোটি পৌঁছাতে পারে। চলিত বছরের মাঝামাঝিতে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮০৪ কোটি ৫০ লাখে দাঁড়াতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি।