Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলতি অর্থবছরে জিডিপি ৬.৫ শতাংশ হতে পারে : এডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

২০২৩-২৪ অর্থবছরে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমে ৬ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। একই সঙ্গে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রত্যাশার তুলনায় সামান্য বেড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে এডিবি।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর ২০২৩ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে এই তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেনে বলা হয়েছে, দ্রুত প্রবৃদ্ধির এ পূর্বাভাস ইউরো এলাকায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং ভালো রপ্তানি বৃদ্ধির কারণে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মূল্যষ্ফীতি কার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশে বেশ কয়েকটি বড় সরকারি অবকাঠামো প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। এগুলো বিনিয়োগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। তবে দেশের মুদ্রানীতি কাঠামোর উন্নতির পর প্রাথমিক উচ্চ সুদের হারের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ কমতে পারে।

গত কয়েক মাস ধরে দেশে গড় মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি। গত দুই মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর আগস্টে তা বেড়েছে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে।

দেশে মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাসও দিয়েছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯ দশমিক শূন্য শতাংশ থেকে মূল্যস্ফীতি কমে চলতি অর্থবছর ৬ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে যেতে পারে। রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি হওয়ায় চলতি হিসাবের ঘাটতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ থেকে সামান্য কমে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে।

এডিওতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি কিছুটা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করা হয়েছে।

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেই সরকার তুলনামূলকভাবে ভালোভাবে (অর্থনৈতিক কার্যাবলী) পরিচালনা করছে। বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সমালোচনামূলক সংস্কারের অগ্রগতি হয়েছে।

তিনি বলেন, কাঠামোগত সংস্কারের মধ্যে জনসাধারণের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা, অভ্যন্তরীণ সম্পদের সংহতি বৃদ্ধি করা, সরবরাহের উন্নতি ঘটানো ও আর্থিক খাতকে আরও দৃঢ় করার বিষয় ছিল। বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও মাঝারি মেয়াদে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এসব গুরুত্বপূর্ণ।

এডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে এডিবির ৫০ বছরের অংশীদারত্ব চলছে। এডিবি বাংলাদেশের জনগণের জন্য অবকাঠামো, জনসেবা এবং সামাজিক উন্নয়নের উন্নতির জন্য সহ-অর্থায়নের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত ৫০ বিলিয়ন ঋণ ও অনুদান সংগ্রহ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে এডিবির সার্বভৌম পোর্টফোলিওতে প্রায় ১৩ বিলিয়ন মূল্যের ৫৩টি প্রকল্প রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

চলতি অর্থবছরে জিডিপি ৬.৫ শতাংশ হতে পারে : এডিবি

প্রকাশের সময় : ০৩:০৫:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

২০২৩-২৪ অর্থবছরে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমে ৬ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। একই সঙ্গে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রত্যাশার তুলনায় সামান্য বেড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে এডিবি।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর ২০২৩ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে এই তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেনে বলা হয়েছে, দ্রুত প্রবৃদ্ধির এ পূর্বাভাস ইউরো এলাকায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং ভালো রপ্তানি বৃদ্ধির কারণে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মূল্যষ্ফীতি কার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশে বেশ কয়েকটি বড় সরকারি অবকাঠামো প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। এগুলো বিনিয়োগ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। তবে দেশের মুদ্রানীতি কাঠামোর উন্নতির পর প্রাথমিক উচ্চ সুদের হারের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ কমতে পারে।

গত কয়েক মাস ধরে দেশে গড় মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি। গত দুই মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর আগস্টে তা বেড়েছে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে।

দেশে মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাসও দিয়েছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯ দশমিক শূন্য শতাংশ থেকে মূল্যস্ফীতি কমে চলতি অর্থবছর ৬ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে যেতে পারে। রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি হওয়ায় চলতি হিসাবের ঘাটতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ থেকে সামান্য কমে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে।

এডিওতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি কিছুটা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করা হয়েছে।

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেই সরকার তুলনামূলকভাবে ভালোভাবে (অর্থনৈতিক কার্যাবলী) পরিচালনা করছে। বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সমালোচনামূলক সংস্কারের অগ্রগতি হয়েছে।

তিনি বলেন, কাঠামোগত সংস্কারের মধ্যে জনসাধারণের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা, অভ্যন্তরীণ সম্পদের সংহতি বৃদ্ধি করা, সরবরাহের উন্নতি ঘটানো ও আর্থিক খাতকে আরও দৃঢ় করার বিষয় ছিল। বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও মাঝারি মেয়াদে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এসব গুরুত্বপূর্ণ।

এডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে এডিবির ৫০ বছরের অংশীদারত্ব চলছে। এডিবি বাংলাদেশের জনগণের জন্য অবকাঠামো, জনসেবা এবং সামাজিক উন্নয়নের উন্নতির জন্য সহ-অর্থায়নের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত ৫০ বিলিয়ন ঋণ ও অনুদান সংগ্রহ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে এডিবির সার্বভৌম পোর্টফোলিওতে প্রায় ১৩ বিলিয়ন মূল্যের ৫৩টি প্রকল্প রয়েছে।