Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গে ৭ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতের বাংলাদেশসংলগ্ন রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে। ঝড় ও বৃষ্টির তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে ঘণ্টায় ৯১ কিলোমিটার এবং বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৬০ মিলিমিটার। এ ছাড়া, এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উৎপাটিত হয়েছে চার শতাধিক গাছ।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতাসহ আশপাশের শহরগুলোতে চার শতাধিক গাছ উৎপাটিত হয়েছে। ব্যাহত হয়েছে যোগাযোগব্যবস্থা।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় সব মিলিয়ে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে এক বাবাও আছেন। যিনি তাঁর ছেলের খোঁজে বেরিয়ে মাথায় কার্নিশের টুকরো পড়ে নিহত হয়েছেন। তাঁর ছেলে আইপিএলের ফাইনাল দেখার জন্য বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে আটকে গিয়েছিল। তাকে খুঁজতেই বের হয়েছিলেন সেই বাবা।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, রেমালের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত শহরটিতে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৪৬ মিলিমিটার। কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ৭০ কিলোমিটচার থেকে ৯১ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে বয়ে গেছে ঝড়ো হাওয়া।

পূর্ব বর্ধমান জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ছিঁড়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারের কারণে বিদ্যুতায়িত হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মৌসুনি এলাকায় ৮০ বছরের এক বৃদ্ধা নিজ ঘরে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার পানিহাতি ও মহেশতলায় বিদ্যুতায়িত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। অপর একজনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের হলদিয়া এলাকায়।

ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুসারে, গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাংলাদেশের সুন্দরবন অংশে তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত হানতে শুরু করে রিমাল। ঝড়টির মূল অংশ ভারতীয় অংশের সুন্দরবনের প্রান্ত থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার এবং কলকাতা থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে ছিল। রিমালের মূল অংশ আঘাত হানে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার মান্দারবাড়িয়ায়।

এরপর, গত রোববার রাত সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে ঝড়ের মূল অংশটি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে এবং এ সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়ার কারণে বাতাসের গতিবেগ উঠে গিয়েছিল ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গে ৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ১২:০৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারতের বাংলাদেশসংলগ্ন রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে। ঝড় ও বৃষ্টির তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে ঘণ্টায় ৯১ কিলোমিটার এবং বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৬০ মিলিমিটার। এ ছাড়া, এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উৎপাটিত হয়েছে চার শতাধিক গাছ।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতাসহ আশপাশের শহরগুলোতে চার শতাধিক গাছ উৎপাটিত হয়েছে। ব্যাহত হয়েছে যোগাযোগব্যবস্থা।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় সব মিলিয়ে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে এক বাবাও আছেন। যিনি তাঁর ছেলের খোঁজে বেরিয়ে মাথায় কার্নিশের টুকরো পড়ে নিহত হয়েছেন। তাঁর ছেলে আইপিএলের ফাইনাল দেখার জন্য বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে আটকে গিয়েছিল। তাকে খুঁজতেই বের হয়েছিলেন সেই বাবা।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, রেমালের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত শহরটিতে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৪৬ মিলিমিটার। কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ৭০ কিলোমিটচার থেকে ৯১ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে বয়ে গেছে ঝড়ো হাওয়া।

পূর্ব বর্ধমান জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ছিঁড়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারের কারণে বিদ্যুতায়িত হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মৌসুনি এলাকায় ৮০ বছরের এক বৃদ্ধা নিজ ঘরে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার পানিহাতি ও মহেশতলায় বিদ্যুতায়িত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। অপর একজনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের হলদিয়া এলাকায়।

ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুসারে, গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাংলাদেশের সুন্দরবন অংশে তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত হানতে শুরু করে রিমাল। ঝড়টির মূল অংশ ভারতীয় অংশের সুন্দরবনের প্রান্ত থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার এবং কলকাতা থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে ছিল। রিমালের মূল অংশ আঘাত হানে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার মান্দারবাড়িয়ায়।

এরপর, গত রোববার রাত সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে ঝড়ের মূল অংশটি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে এবং এ সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়ার কারণে বাতাসের গতিবেগ উঠে গিয়েছিল ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।