Dhaka রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

গাজীপুরের কাশিমপুরের একটি বাড়ি থেকে স্ত্রী-সন্তান ও স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, স্ত্রী-সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী।

রোববার (২৩ মার্চ) সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন গোবিন্দবাড়ি দেওয়ানপাড়া এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন, মো. নাজমুল ইসলাম (২৯), তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার (২২) ও তাদের ৪ বছরের সন্তান নাদিয়া আক্তার।

নিহত নাজমুল টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার শুলপ্রতিমা গ্রামের মো. আবুর ছেলে। তার কোনো পেশা ছিল না এবং তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্বশুরের দেওয়া জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নাজমুল বসবাস করতেন। গতরাত ১১টার দিকে তারা ঘুমাতে যান। সকালে তারা ঘুম থেকে না উঠায় শ্বশুর ঘরের পেছন দিয়ে জানালা টেনে মেয়ের জামাই নাজমুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভেতর থেকে লাগানো দরজা খুলে বিছানায় স্ত্রী ও তাদের চার বছর বয়সী সন্তানের নিথর মরদেহ দেখতে পান। পরে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ভেতর থেকে দরজা বন্ধ অবস্থায় গৃহকর্তা নাজমুলকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে পাশের রুম থেকে লোক উঠিয়ে দরজা খোলা হলে বিছানায় স্ত্রী খাদিজা ও শিশু নাদিয়ার মরদেহ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, বালিশ দিয়ে বা শ্বাসরোধে স্ত্রী, সন্তানকে হত্যার পর নাজমুল রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। ঘটনাস্থলে হারপিকের বোতল পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জোর করে চাপিয়ে দেয়া শিক্ষা সম্ভাবনা নষ্ট করে দেয় : হাসনাত আব্দুল্লাহ

গাজীপুরে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

প্রকাশের সময় : ১২:৪২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

গাজীপুরের কাশিমপুরের একটি বাড়ি থেকে স্ত্রী-সন্তান ও স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, স্ত্রী-সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী।

রোববার (২৩ মার্চ) সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন গোবিন্দবাড়ি দেওয়ানপাড়া এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন, মো. নাজমুল ইসলাম (২৯), তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার (২২) ও তাদের ৪ বছরের সন্তান নাদিয়া আক্তার।

নিহত নাজমুল টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার শুলপ্রতিমা গ্রামের মো. আবুর ছেলে। তার কোনো পেশা ছিল না এবং তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্বশুরের দেওয়া জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নাজমুল বসবাস করতেন। গতরাত ১১টার দিকে তারা ঘুমাতে যান। সকালে তারা ঘুম থেকে না উঠায় শ্বশুর ঘরের পেছন দিয়ে জানালা টেনে মেয়ের জামাই নাজমুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভেতর থেকে লাগানো দরজা খুলে বিছানায় স্ত্রী ও তাদের চার বছর বয়সী সন্তানের নিথর মরদেহ দেখতে পান। পরে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ভেতর থেকে দরজা বন্ধ অবস্থায় গৃহকর্তা নাজমুলকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে পাশের রুম থেকে লোক উঠিয়ে দরজা খোলা হলে বিছানায় স্ত্রী খাদিজা ও শিশু নাদিয়ার মরদেহ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, বালিশ দিয়ে বা শ্বাসরোধে স্ত্রী, সন্তানকে হত্যার পর নাজমুল রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। ঘটনাস্থলে হারপিকের বোতল পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।