Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুয়াকাটা উত্তাল সাগরের ঢেউ দেখতে সৈকতে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : 

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ১০নং মহাবিপদ সংকেতের মাঝেও উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ দেখতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভিড় করেছেন অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। তাদের সৈকত থেকে সরিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড-বিজিবি ও পুলিশ। মোখার প্রভাবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত কিছুটা উত্তাল রয়েছে। আর এই উত্তাল সৈকত দেখতে কুয়াকাটায় হাজারো পর্যটক ভিড় করেছেন।

শনিবার (১৩ মে) বিকেল ৫টার পর থেকে টহল জোরদার করেছেন বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রশাসনের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কোনো নির্দেশনাই মানছে উৎসকু জনতা। পাত্তা দিচ্ছে না বিচকর্মী, লাইফগার্ড কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশকে। উল্টো তর্কে জড়িয়ে পড়ছে উৎসুক জনতার অনেকেই। শেষমেশ তাদরে সরাতে সৈকতে টহল মোতায়েন করেছে বিজিবি।

বরগুনার আমতলী থেকে আসা মো. নিয়াজ মোরশেদ বলেন, কয়েক দিন ধরে মোখা আসবে আসবে বলে শুনছি। তবে বৃষ্টি না থাকার কারণে কুয়াকাটা সৈকতে এসেছি তা দেখার জন্য। এখানে এসে দেখি অনেক মানুষ এসেছে মোখা দেখার জন্য। সমুদ্র সৈকত কিছুটা উত্তাল রয়েছে।

পটুয়াখালী শহর থেকে আসা মো. রুবেল বলেন, আমি ও আমার বন্ধু রাশেদ মোটরসাইকেল চালিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি মোখা দেখার জন্য। আসলে সমুদ্র সৈকতের এ রকম রূপ অন্য কোনো সময় দেখা যায় না। এজন্যই এসেছি, আবার এখনই চলে যাব।

কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আইন অনুষদের ছাত্র তারেকুল ইসলাম বলেন, প্রশাসন তুলে দেওয়ার একটু পর আবার সমুদ্রে নেমে যাচ্ছেন মানুষ। ১০ নম্বর সতর্কতা কেউ পাত্তাই দিচ্ছে না। আবহাওয়া খারাপের দিকে যাচ্ছে, যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এসময় বাইরে অবস্থান না করে ঘরে থাকাটাই নিরাপদ।

কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পর্যটকদের সচেতন করতে আমরা বারবার মাইকিং করে যাচ্ছি। আমি নিজে উপস্থিত থেকে পর্যটকদের আহ্বান জানিয়েছি তারা যেন হোটেলে অবস্থান করেন। আর ঝুঁকিপূর্ণ যে এলাকাগুলো রয়েছে সেখানকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। অনেকে মোখার প্রভাব দেখার জন্য কুয়াকাটাতে আসতে পারেন। তবে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, আমরা বারবার মাইকিং করছি যাতে কোনো পর্যটক বিচে না নামেন। যারা দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন তারা যেন কুয়াকাটার হোটেলে অবস্থান করেন। এজন্য আমরা বারবার মাইকিং করছি। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকাগুলোর মানুষদেরকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য আমরা আমাদের প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

কেয়ামত পর্যন্ত জামায়াত ক্ষমতায় আসতে পারবে না : গয়েশ্বর

কুয়াকাটা উত্তাল সাগরের ঢেউ দেখতে সৈকতে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ

প্রকাশের সময় : ০৭:৪১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : 

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ১০নং মহাবিপদ সংকেতের মাঝেও উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ দেখতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভিড় করেছেন অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। তাদের সৈকত থেকে সরিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড-বিজিবি ও পুলিশ। মোখার প্রভাবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত কিছুটা উত্তাল রয়েছে। আর এই উত্তাল সৈকত দেখতে কুয়াকাটায় হাজারো পর্যটক ভিড় করেছেন।

শনিবার (১৩ মে) বিকেল ৫টার পর থেকে টহল জোরদার করেছেন বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রশাসনের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কোনো নির্দেশনাই মানছে উৎসকু জনতা। পাত্তা দিচ্ছে না বিচকর্মী, লাইফগার্ড কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশকে। উল্টো তর্কে জড়িয়ে পড়ছে উৎসুক জনতার অনেকেই। শেষমেশ তাদরে সরাতে সৈকতে টহল মোতায়েন করেছে বিজিবি।

বরগুনার আমতলী থেকে আসা মো. নিয়াজ মোরশেদ বলেন, কয়েক দিন ধরে মোখা আসবে আসবে বলে শুনছি। তবে বৃষ্টি না থাকার কারণে কুয়াকাটা সৈকতে এসেছি তা দেখার জন্য। এখানে এসে দেখি অনেক মানুষ এসেছে মোখা দেখার জন্য। সমুদ্র সৈকত কিছুটা উত্তাল রয়েছে।

পটুয়াখালী শহর থেকে আসা মো. রুবেল বলেন, আমি ও আমার বন্ধু রাশেদ মোটরসাইকেল চালিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি মোখা দেখার জন্য। আসলে সমুদ্র সৈকতের এ রকম রূপ অন্য কোনো সময় দেখা যায় না। এজন্যই এসেছি, আবার এখনই চলে যাব।

কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আইন অনুষদের ছাত্র তারেকুল ইসলাম বলেন, প্রশাসন তুলে দেওয়ার একটু পর আবার সমুদ্রে নেমে যাচ্ছেন মানুষ। ১০ নম্বর সতর্কতা কেউ পাত্তাই দিচ্ছে না। আবহাওয়া খারাপের দিকে যাচ্ছে, যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এসময় বাইরে অবস্থান না করে ঘরে থাকাটাই নিরাপদ।

কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পর্যটকদের সচেতন করতে আমরা বারবার মাইকিং করে যাচ্ছি। আমি নিজে উপস্থিত থেকে পর্যটকদের আহ্বান জানিয়েছি তারা যেন হোটেলে অবস্থান করেন। আর ঝুঁকিপূর্ণ যে এলাকাগুলো রয়েছে সেখানকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। অনেকে মোখার প্রভাব দেখার জন্য কুয়াকাটাতে আসতে পারেন। তবে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, আমরা বারবার মাইকিং করছি যাতে কোনো পর্যটক বিচে না নামেন। যারা দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন তারা যেন কুয়াকাটার হোটেলে অবস্থান করেন। এজন্য আমরা বারবার মাইকিং করছি। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকাগুলোর মানুষদেরকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য আমরা আমাদের প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।