Dhaka সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনায় নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। মাঝে মধ্যে দু-একটা খুনখারাবি হয়। নির্বাচনে এসবের কোনো প্রভাব পড়বে না।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোডসংলগ্ন আলোকি কনভেনশন সেন্টারে ‘ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে’ তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। ইসি সম্পূর্ণ প্রস্তুত। সবাইকে নিয়ে নির্বাচনে যাবে ইসি। দুশ্চিন্তা করা যাবে না।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ২০২৪ সালের চেয়ে অনেক ভালো বলে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, তখন মানুষ ঘুমাতে পারত না। এখন মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।

নাসির উদ্দিন বলেন, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নির্ভর করছে তারুণ্যের শক্তির ওপর। তরুণরা যেমন- উনসত্তর, একাত্তর ও চব্বিশে তাদের শক্তি দেখিয়েছে। এই নির্বাচন ঐতিহাসিক নির্বাচন। কেননা পোস্টাল ভোটিং হচ্ছে। এবার গণভোটও হবে। ইসির এই সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে তরুণদের অংশগ্রহণ থাকলে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল নির্বাচন করা ইসির জন্য সহজ হবে।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? একটু মাঝেমধ্যে দুই-একটা খুন খারাপি হয়। এই যে হাদির একটা ঘটনা হয়েছে, আমরা এগুলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি।

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়ার প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, এ ধরনের ঘটনা তো সবসময় ছিল। আগে আহসানউল্লাহ মাস্টারের সঙ্গেও এরকম হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা হয় বাংলাদেশে, এটা নতুন কিছু না।

ঐতিহাসিক নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, মিডিয়াসহ বিভিন্ন মহলে নির্বাচন নিয়ে কিছু আশঙ্কা হয়তো আছে, তবে আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, সবার সহযোগিতা নিয়ে। আপনাদের মাথায় যত ধরনের দুশ্চিন্তাই আসুক না কেন, আমি অনুরোধ করবো সেই দুশ্চিন্তা মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন। আমরা সবাই মিলে প্রস্তুতি নেই যাতে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারি।

সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা সংক্রান্ত যে প্রশ্ন উঠেছে, তার জবাবে আমি বলতে চাই, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বড় ধরনের কোনো অবনতি হয়নি। মাঝেমধ্যে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটে, যেমন সম্প্রতি একটি ঘটনা ঘটেছে (হাদির ঘটনা)। কিন্তু এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা, যা আগেও ছিল। বাংলাদেশে এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়। বরং, আপনারা যদি গত ৫ আগস্ট বা ২৪-এর পরিস্থিতির সাথে তুলনা করেন, তখন থানাগুলো অকার্যকর ছিল, পুলিশ স্টেশনও নড়ছিল না, সেই সময়ের তুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, আমরা এখন শান্তিতে চলাফেরা করতে পারছি, রাস্তায় চলাচল করতে পারছি, শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। আমরা গতকালই আমাদের শীর্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, আমাদের বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তারা নিশ্চিত করেছে যে নির্বাচনের সময় পর্যন্ত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনে তারা সক্ষম। আপনারা মিডিয়াতে হয়তো দেখেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের প্রস্তুতির কথা আমাদের জানিয়েছে।

তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, নির্বাচন সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। জাতিকে আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি, নির্বাচন কমিশন ইনশাআল্লাহ তা পরিপালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

নাসির উদ্দীন বলেন, আমরা পিছনে ফিরে যাইনি। এখন তরুণদের ওপর ভর করে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা আশা করি, আমাদের পরবর্তী নির্বাচন হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন। দেশের বিশেষ জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ যখন আমি দেখি, তখন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আমি আরও বেশি উৎসাহিত বোধ করি।

তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, নির্বাচন সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। জাতিকে আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি, নির্বাচন কমিশন ইনশাআল্লাহ তা পরিপালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনাদের সবাইকে সাথে নিয়ে আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেব।

নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা পিছনে ফিরে যাইনি। এখন তরুণদের উপর ভর করে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা আশা করি, আমাদের পরবর্তী নির্বাচন হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন। দেশের বিশেষ জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ যখন আমি দেখি, তখন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আমি আরও বেশি উৎসাহিত বোধ করি।

সিইসি বলেন, আমি বারবার বলে থাকি, এই নির্বাচনটি একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন। কারণ এই নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আমরা ডাকযোগে (পোস্টাল ব্যালট) আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের আওতায় এনেছি। গত ৫৪ বছর ধরে যা হয়নি, এবার আমরা সেটা করছি। এবার আমরা প্রায় ১০ লক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ যারা ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকেন, তারা কোনোদিন ভোট দিতে পারতেন না। আমরা এবার তাদেরও ভোটের ব্যবস্থা করছি—পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। কারাবন্দিদের জন্য ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, প্রবাসীদের জন্য করা হচ্ছে, এবং যেসব সরকারি কর্মচারী নিজ নির্বাচনি এলাকার বাইরে আছেন, তাদের জন্যও ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সর্বোপরি, এইবার একটি গণভোটও একসাথে অনুষ্ঠিত হতে হবে। এই সমস্ত দিক থেকে এটি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক। আমরা যে সাহস করে এই পথে নেমে পড়েছি, আমাদের এই সাহসী পদক্ষেপের সাথে যদি আপনাদের সকলের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের, অংশগ্রহণ থাকে—ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হব। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন একা সফল হতে পারে না। সবাইকে নিয়েই আমরা এটি করব বলে জানান সিইসি।

আবহাওয়া

ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না : সিইসি

প্রকাশের সময় : ১২:৩৩:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনায় নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। মাঝে মধ্যে দু-একটা খুনখারাবি হয়। নির্বাচনে এসবের কোনো প্রভাব পড়বে না।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোডসংলগ্ন আলোকি কনভেনশন সেন্টারে ‘ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে’ তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। ইসি সম্পূর্ণ প্রস্তুত। সবাইকে নিয়ে নির্বাচনে যাবে ইসি। দুশ্চিন্তা করা যাবে না।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ২০২৪ সালের চেয়ে অনেক ভালো বলে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, তখন মানুষ ঘুমাতে পারত না। এখন মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।

নাসির উদ্দিন বলেন, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নির্ভর করছে তারুণ্যের শক্তির ওপর। তরুণরা যেমন- উনসত্তর, একাত্তর ও চব্বিশে তাদের শক্তি দেখিয়েছে। এই নির্বাচন ঐতিহাসিক নির্বাচন। কেননা পোস্টাল ভোটিং হচ্ছে। এবার গণভোটও হবে। ইসির এই সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে তরুণদের অংশগ্রহণ থাকলে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল নির্বাচন করা ইসির জন্য সহজ হবে।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? একটু মাঝেমধ্যে দুই-একটা খুন খারাপি হয়। এই যে হাদির একটা ঘটনা হয়েছে, আমরা এগুলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি।

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়ার প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, এ ধরনের ঘটনা তো সবসময় ছিল। আগে আহসানউল্লাহ মাস্টারের সঙ্গেও এরকম হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা হয় বাংলাদেশে, এটা নতুন কিছু না।

ঐতিহাসিক নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, মিডিয়াসহ বিভিন্ন মহলে নির্বাচন নিয়ে কিছু আশঙ্কা হয়তো আছে, তবে আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, সবার সহযোগিতা নিয়ে। আপনাদের মাথায় যত ধরনের দুশ্চিন্তাই আসুক না কেন, আমি অনুরোধ করবো সেই দুশ্চিন্তা মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন। আমরা সবাই মিলে প্রস্তুতি নেই যাতে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারি।

সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা সংক্রান্ত যে প্রশ্ন উঠেছে, তার জবাবে আমি বলতে চাই, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বড় ধরনের কোনো অবনতি হয়নি। মাঝেমধ্যে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটে, যেমন সম্প্রতি একটি ঘটনা ঘটেছে (হাদির ঘটনা)। কিন্তু এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা, যা আগেও ছিল। বাংলাদেশে এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়। বরং, আপনারা যদি গত ৫ আগস্ট বা ২৪-এর পরিস্থিতির সাথে তুলনা করেন, তখন থানাগুলো অকার্যকর ছিল, পুলিশ স্টেশনও নড়ছিল না, সেই সময়ের তুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, আমরা এখন শান্তিতে চলাফেরা করতে পারছি, রাস্তায় চলাচল করতে পারছি, শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। আমরা গতকালই আমাদের শীর্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, আমাদের বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তারা নিশ্চিত করেছে যে নির্বাচনের সময় পর্যন্ত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনে তারা সক্ষম। আপনারা মিডিয়াতে হয়তো দেখেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের প্রস্তুতির কথা আমাদের জানিয়েছে।

তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, নির্বাচন সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। জাতিকে আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি, নির্বাচন কমিশন ইনশাআল্লাহ তা পরিপালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

নাসির উদ্দীন বলেন, আমরা পিছনে ফিরে যাইনি। এখন তরুণদের ওপর ভর করে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা আশা করি, আমাদের পরবর্তী নির্বাচন হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন। দেশের বিশেষ জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ যখন আমি দেখি, তখন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আমি আরও বেশি উৎসাহিত বোধ করি।

তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, নির্বাচন সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। জাতিকে আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি, নির্বাচন কমিশন ইনশাআল্লাহ তা পরিপালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনাদের সবাইকে সাথে নিয়ে আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেব।

নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা পিছনে ফিরে যাইনি। এখন তরুণদের উপর ভর করে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা আশা করি, আমাদের পরবর্তী নির্বাচন হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন। দেশের বিশেষ জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ যখন আমি দেখি, তখন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আমি আরও বেশি উৎসাহিত বোধ করি।

সিইসি বলেন, আমি বারবার বলে থাকি, এই নির্বাচনটি একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন। কারণ এই নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আমরা ডাকযোগে (পোস্টাল ব্যালট) আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের আওতায় এনেছি। গত ৫৪ বছর ধরে যা হয়নি, এবার আমরা সেটা করছি। এবার আমরা প্রায় ১০ লক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ যারা ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকেন, তারা কোনোদিন ভোট দিতে পারতেন না। আমরা এবার তাদেরও ভোটের ব্যবস্থা করছি—পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। কারাবন্দিদের জন্য ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, প্রবাসীদের জন্য করা হচ্ছে, এবং যেসব সরকারি কর্মচারী নিজ নির্বাচনি এলাকার বাইরে আছেন, তাদের জন্যও ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সর্বোপরি, এইবার একটি গণভোটও একসাথে অনুষ্ঠিত হতে হবে। এই সমস্ত দিক থেকে এটি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক। আমরা যে সাহস করে এই পথে নেমে পড়েছি, আমাদের এই সাহসী পদক্ষেপের সাথে যদি আপনাদের সকলের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের, অংশগ্রহণ থাকে—ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হব। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন একা সফল হতে পারে না। সবাইকে নিয়েই আমরা এটি করব বলে জানান সিইসি।