নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাজধানীর এভারকেয়ারে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্তে তাঁকে ওই হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল থেকে হাদিকে নিয়ে যাত্রা করে অ্যাম্বুলেন্স। রাত ৮টা ৬ মিনিটে অ্যাম্বুলেন্সটি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছায়।
এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, ‘ওসমান হাদির মাথায় বুলেটের আঘাত আছে। বুকে ও পায়েও আঘাত আছে। ধারণা করা হচ্ছে পায়ের আঘাতটা রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে হতে পারে। আমরা ঢাকা মেডিকেলে একটা প্রাথমিক সার্জারি (অস্ত্রোপচার) করেছি।
এর আগে রাতে সাড়ে ৭টার দিকে ঢামেক হাসপাতাল থেকে হাদিকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি এভারকেয়ারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
এদিকে ওসমান হাদির ওপর যারা গুলি চালিয়েছে, তারা প্রায় ২ সপ্তাহ আগে তার প্রচারণার টিমে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের একজন সদস্য। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য মোহাম্মদ ওসামা জানান, একটি মোটরসাইকেলে করে আসা দুইজনের মধ্যে থেকে একজন ওসমান হাদির ওপর গুলি চালায়। এই দুজন প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ওসমান হাদির প্রচারণার টিমে যোগ দিয়েছিল। মাঝখানে কিছুদিন তাদের দেখা যায়নি। কয়েকদিন আগে তারা আবার এসে প্রচারণার কাজে যোগ দেয়।
এদিকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ঘটনার বিষয়ে ভিডিও এবং সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা জানান, তারা সব তথ্য যাচাই করে দেখছেন।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ওসমান হাদির গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক 




















