Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার ঢাকায় জিকা রোগী শনাক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকায় এবার জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত তিন মাসে আটজনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি জানা গেছে। গত বছরও পাঁচজন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসা নেওয়ার পর তারা এখন ঝুঁকিমুক্ত।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, এখনই বলতে পারব না ঠিক কতজন রোগী আছে। গত মাসেও ধরা পড়েছে। আমরা নিয়মিত সার্ভিলেন্স করে যাচ্ছি, এটি আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। এখন পর্যন্ত কতজন সেটি বলতে পারব না, তবে এ বছরে যারা শনাক্ত হয়েছে সবাই ঢাকার।

শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তাহমিনা শিরীন বলেন, যাদের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য আমরা পেয়েছি, তারা সবাই এখন সুস্থ। তারা প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন। ঢাকায় বর্তমানে কেউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নেই।

শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই রাজধানীর ধানমন্ডি, শ্যামলী ও বনানীর বাসিন্দা। তবে শনাক্ত হওয়া প্রত্যেকেই চিকিৎসা নিয়ে পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে বাসায় অবস্থান করছেন বলেও আইইডিসিআর জানিয়েছে।

জানা গেছে, জিকা ভাইরাস দেশে প্রথম ২০১৪ সালে শনাক্ত হয়। জিকার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, এর চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক।

গবেষকরা বলেন, জিকার পাশাপাশি ঢাকা শহরে এখন চিকুনগুনিয়ায় অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এর অর্থ, ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়া, এই তিন রোগে ঢাকা শহরের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগ তিনটি ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে।

আইইডিসিআর জানিয়েছে, জিকার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, এর চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম নিতে হবে, প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে, জ্বর ও ব্যথার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেতে হবে। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে কাছের সরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে বা রোগীকে ভর্তি করাতে হবে।

জিকা ভাইরাসের দুটি ধরন আছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। একটি আফ্রিকান, অন্যটি এশিয়ান। আইসিডিডিআরবি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় তাদের পাওয়া জিকা ভাইরাসের জিন বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, ধরনটি এশিয়ান।

আইইডিসিআরের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত তিন মাসে অন্তত আটজনের দেহে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এমনকি গত বছরও পাঁচজন জিকা রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন এবং চিকিৎসার পর তারা প্রত্যেকেই এখন ঝুঁকিমুক্ত।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংসদ নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হলে ব্যবস্থা নেবে দুদক : দুদক চেয়ারম্যান

এবার ঢাকায় জিকা রোগী শনাক্ত

প্রকাশের সময় : ১২:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকায় এবার জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত তিন মাসে আটজনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি জানা গেছে। গত বছরও পাঁচজন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসা নেওয়ার পর তারা এখন ঝুঁকিমুক্ত।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, এখনই বলতে পারব না ঠিক কতজন রোগী আছে। গত মাসেও ধরা পড়েছে। আমরা নিয়মিত সার্ভিলেন্স করে যাচ্ছি, এটি আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। এখন পর্যন্ত কতজন সেটি বলতে পারব না, তবে এ বছরে যারা শনাক্ত হয়েছে সবাই ঢাকার।

শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তাহমিনা শিরীন বলেন, যাদের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য আমরা পেয়েছি, তারা সবাই এখন সুস্থ। তারা প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন। ঢাকায় বর্তমানে কেউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নেই।

শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই রাজধানীর ধানমন্ডি, শ্যামলী ও বনানীর বাসিন্দা। তবে শনাক্ত হওয়া প্রত্যেকেই চিকিৎসা নিয়ে পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে বাসায় অবস্থান করছেন বলেও আইইডিসিআর জানিয়েছে।

জানা গেছে, জিকা ভাইরাস দেশে প্রথম ২০১৪ সালে শনাক্ত হয়। জিকার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, এর চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক।

গবেষকরা বলেন, জিকার পাশাপাশি ঢাকা শহরে এখন চিকুনগুনিয়ায় অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এর অর্থ, ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়া, এই তিন রোগে ঢাকা শহরের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগ তিনটি ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে।

আইইডিসিআর জানিয়েছে, জিকার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, এর চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম নিতে হবে, প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে, জ্বর ও ব্যথার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেতে হবে। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে কাছের সরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে বা রোগীকে ভর্তি করাতে হবে।

জিকা ভাইরাসের দুটি ধরন আছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। একটি আফ্রিকান, অন্যটি এশিয়ান। আইসিডিডিআরবি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় তাদের পাওয়া জিকা ভাইরাসের জিন বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, ধরনটি এশিয়ান।

আইইডিসিআরের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত তিন মাসে অন্তত আটজনের দেহে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এমনকি গত বছরও পাঁচজন জিকা রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন এবং চিকিৎসার পর তারা প্রত্যেকেই এখন ঝুঁকিমুক্ত।