Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলে ব্লিঙ্কেন পৌঁছানোর পর হামাসের রকেট হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গাজার দুটি শরণার্থী শিবিরে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলার জবাবে তেল আবিবে রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন তেল আবিবে অবতরণ করার পরে রকেট হামলা চালায় হামাস।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) আম্মানে ফিলিস্তিনি ও জর্ডান নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ব্লিনকেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন আম্মানে ফিলিস্তিনি ও জর্ডানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এসএমএস বার্তায় হামাস বলেছে, ‘আল কাশেম ব্রিগেডের সদস্যরা তেল আবিবে রকেট হামলা চালিয়েছে। আল-শাতি ও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলার জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।’

হামাসের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়াদ আল-বুজুম এএফপিকে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে আল-শাতি ও জাবালিয়া শিবিরে গণহত্যা চালিয়েছে। যার ফলে অসংখ্য মানুষ হতাহত হয়েছেন।

এদিকে তেল আবিবে হামাসের আকস্মিক হামলার পর ব্লিনকেনের সঙ্গে সফররত এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) আম্মানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

গেল শনিবার হামাস ইসরায়েল হামলা শুরু করে। জবাবে ইসরায়েল গাজায় পাল্টা হামলা চালায়। দুই পক্ষের এই সংঘাত চলছেই। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০০ জনে। আর ইসরায়েলে নিহত ১ হাজার ৩০০।

গাজায় এখন ইসরায়েলের সর্বাত্মক অবরোধ চলছে। এর মধ্যেই ইসরায়েলি মন্ত্রীর ঘোষণা হামাস জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় কোনো বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও মানবিক সহায়তা প্রবেশ করবে না।

গাজার কর্মকর্তারা বলছেন, উপত্যকাটি মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে একমাত্র যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ছিল, সেটি জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

কী হতে পারে ব্লিঙ্কেনের ইসরায়েল সফরে

আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয় থাকতে পারে। এর একটি হলো, ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলকে আরও সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করতে পারেন।

হামাসের কাছে যারা জিম্মি, যার মধ্যে কয়েকজন আমেরিকানও রয়েছেন, তাদের মুক্তি নিশ্চিতের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

গাজায় স্থলহামলা চালানোর আগে সেখান থেকে বেসামরিকদের বের হয়ে যাওয়ার নিরাপদ পথ দেওয়ার বিষয়ে তিনি ইসরায়েল ও মিশরের সঙ্গে আগাম কথাবার্তা বলতে পারেন। ৫০০-৬০০ ফিলিস্তিনি-আমেরিকান রয়েছেন, যারা গাজার বাসিন্দা।

সংঘাতে যুক্ত না হতে ব্লিঙ্কেন ইরান ও ইরান-সমর্থিত যেকোনো গোষ্ঠীকে প্রতিরোধের বার্তা দিতে পারেন।

ইসরায়েলের পর ব্লিঙ্কেন জর্ডানের উদ্দেশে রওনা হবেন। সেখানে তিনি রাজা আবদুল্লাহ ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

ইসরায়েল সফর শেষে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যাবেন জর্ডানে। সেখানে তিনি জর্ডানের রাজা আব্দুল্লাহ-২ এবং ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এমন সময় ইসরায়েলে ছুটে গেলেন যখন দখলদার ইসরায়েল গত ৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকেটর মধ্যে পড়েছে। ফিলিস্তিনকে দ্বিখণ্ডিত করে ১৯৪৫ সালে সৃষ্টি হয় ইসরায়েলের। এরপর থেকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দখল করে নিজদের পরিধি সম্প্রসারণ করেছে। এমনকি ফিলিস্তিনিদের জোর করে অনেক জায়গা থেকে উচ্ছেদও করেছে। তবে সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে দখলদারিত্ব বজায় রাখলেও কখনো এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি তাদের।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ডাকসু নির্বাচনে জয়ী প্রথম দম্পতি রায়হান-সালমা

ইসরায়েলে ব্লিঙ্কেন পৌঁছানোর পর হামাসের রকেট হামলা

প্রকাশের সময় : ০৪:৩০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

গাজার দুটি শরণার্থী শিবিরে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলার জবাবে তেল আবিবে রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন তেল আবিবে অবতরণ করার পরে রকেট হামলা চালায় হামাস।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) আম্মানে ফিলিস্তিনি ও জর্ডান নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ব্লিনকেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন আম্মানে ফিলিস্তিনি ও জর্ডানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এসএমএস বার্তায় হামাস বলেছে, ‘আল কাশেম ব্রিগেডের সদস্যরা তেল আবিবে রকেট হামলা চালিয়েছে। আল-শাতি ও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলার জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।’

হামাসের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়াদ আল-বুজুম এএফপিকে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে আল-শাতি ও জাবালিয়া শিবিরে গণহত্যা চালিয়েছে। যার ফলে অসংখ্য মানুষ হতাহত হয়েছেন।

এদিকে তেল আবিবে হামাসের আকস্মিক হামলার পর ব্লিনকেনের সঙ্গে সফররত এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) আম্মানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

গেল শনিবার হামাস ইসরায়েল হামলা শুরু করে। জবাবে ইসরায়েল গাজায় পাল্টা হামলা চালায়। দুই পক্ষের এই সংঘাত চলছেই। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০০ জনে। আর ইসরায়েলে নিহত ১ হাজার ৩০০।

গাজায় এখন ইসরায়েলের সর্বাত্মক অবরোধ চলছে। এর মধ্যেই ইসরায়েলি মন্ত্রীর ঘোষণা হামাস জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় কোনো বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও মানবিক সহায়তা প্রবেশ করবে না।

গাজার কর্মকর্তারা বলছেন, উপত্যকাটি মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে একমাত্র যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ছিল, সেটি জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

কী হতে পারে ব্লিঙ্কেনের ইসরায়েল সফরে

আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয় থাকতে পারে। এর একটি হলো, ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলকে আরও সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করতে পারেন।

হামাসের কাছে যারা জিম্মি, যার মধ্যে কয়েকজন আমেরিকানও রয়েছেন, তাদের মুক্তি নিশ্চিতের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

গাজায় স্থলহামলা চালানোর আগে সেখান থেকে বেসামরিকদের বের হয়ে যাওয়ার নিরাপদ পথ দেওয়ার বিষয়ে তিনি ইসরায়েল ও মিশরের সঙ্গে আগাম কথাবার্তা বলতে পারেন। ৫০০-৬০০ ফিলিস্তিনি-আমেরিকান রয়েছেন, যারা গাজার বাসিন্দা।

সংঘাতে যুক্ত না হতে ব্লিঙ্কেন ইরান ও ইরান-সমর্থিত যেকোনো গোষ্ঠীকে প্রতিরোধের বার্তা দিতে পারেন।

ইসরায়েলের পর ব্লিঙ্কেন জর্ডানের উদ্দেশে রওনা হবেন। সেখানে তিনি রাজা আবদুল্লাহ ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

ইসরায়েল সফর শেষে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যাবেন জর্ডানে। সেখানে তিনি জর্ডানের রাজা আব্দুল্লাহ-২ এবং ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এমন সময় ইসরায়েলে ছুটে গেলেন যখন দখলদার ইসরায়েল গত ৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকেটর মধ্যে পড়েছে। ফিলিস্তিনকে দ্বিখণ্ডিত করে ১৯৪৫ সালে সৃষ্টি হয় ইসরায়েলের। এরপর থেকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দখল করে নিজদের পরিধি সম্প্রসারণ করেছে। এমনকি ফিলিস্তিনিদের জোর করে অনেক জায়গা থেকে উচ্ছেদও করেছে। তবে সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে দখলদারিত্ব বজায় রাখলেও কখনো এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি তাদের।