Dhaka মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইমরান-বুশার বিয়ে ‘অনৈসলামিক বিয়ে’, ৭ বছর করে জেল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

‘অনৈসলামিক বিয়ে’ সংক্রান্ত মামলায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর প্রতিষ্ঠাতা ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবির ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের দুইজনের প্রত্যেককে ৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি করে জরিমানা করা হয়েছে।

শরিয়াহ আইন লঙ্ঘন করে বিয়ে করার দায়ে দেশটির একটি আদালত শনিবার এ রায় দেন।

রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে একটি অস্থায়ী আদালত ইমরান ও বুশরা দম্পতির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডাদেশের পাশাপাশি তাঁদের ৫ লাখ রুপি করে জরিমানা করেছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় বিশেষ ওই আদালতে উপস্থিত ছিলেন ইমরান খান ও বুশরা বিবি।

বুশরা বিবির সাবেক স্বামী খাওয়ার মানেকার করা মামলায় ইমরান ও বুশরাকে এই সাজা দিলেন আদালত। মামলায় খাওয়ার মানেকা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর নির্দিষ্ট সময় পার না হতেই ইমরান খানকে বিয়ে করেন বুশরা বিবি, যা স্পষ্টতই শরিয়াহ আইনের লঙ্ঘন।

প্রতারণার অভিযোগ তুলে খাওয়ার মানেকার করা এ মামলার রায় ঘোষণার পর আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইমরান খান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে হেনস্তা করার জন্যই এমন মামলা করা হয়েছে।

৩৪২ ধারার অধীনে বক্তব্য রেকর্ড করা হয় ইমরান ও বুশরা বিবির। বর্তমানে বুশরা বিবি অবস্থান করছেন বানিগালায়। সেটাকে সাবজেল ঘোষণা করা হয়। তাকে চূড়ান্ত শুনানির জন্য আদিয়ালা জেলে নেয়া হয়। তারপর ইমরান খান, বুশরা বিবি ও তাদের আইনজীবিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়। এর একদিন আগে বাদির আইনজীবি রাজা রিজওয়ান আব্বাসি, ইমরান খানের আইনজীবি সালমান আকরাম রাজা ও বুশরা বিবির আইনজীবি উসমান গুলোর চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক শোনেন আদালত।

মামলায় খাওয়ার মানেকা বলেছেন, ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিয়ে একটি প্রতারণা। কারণ, তাদের বিচ্ছেদের পর ‘ইদ্দত’ চলাকালীন এই বিয়ে হয়েছে। ইদ্দত পিরিয়ড শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিকাহ বা বিয়ে আইনগতভাবে বা ইসলামে বৈধ নয়। তিনি আরও দাবি করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শেষ করে দিয়েছেন খাওয়ার মানেকার জীবন। এর প্রেক্ষিতে বিবাদি নম্বর ১ (ইমরান খান) ও ২ (বুশরা বিবি)কে তলব করে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি দেয়ার আহ্বান জানান।

গত ৩১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় উপহারসামগ্রী কম মূল্যে কিনে নেওয়ার অভিযোগে করা (তোশাখানা) মামলায় ইমরান ও বুশরাকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেন বিশেষ একটি আদালত।

তার এক দিন আগে ৩০ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের মামলায় ইমরান খানের ১০ বছরের জেল হয়। একই মামলায় ইমরান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও ১০ বছরের জেল দেন আদালত।

এরও আগে গত বছরের ৫ আগস্ট তোশাখানা দুর্নীতি নিয়ে পৃথক একটি মামলায় ইমরান খানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইমরান-বুশার বিয়ে ‘অনৈসলামিক বিয়ে’, ৭ বছর করে জেল

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

‘অনৈসলামিক বিয়ে’ সংক্রান্ত মামলায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর প্রতিষ্ঠাতা ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবির ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের দুইজনের প্রত্যেককে ৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি করে জরিমানা করা হয়েছে।

শরিয়াহ আইন লঙ্ঘন করে বিয়ে করার দায়ে দেশটির একটি আদালত শনিবার এ রায় দেন।

রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে একটি অস্থায়ী আদালত ইমরান ও বুশরা দম্পতির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডাদেশের পাশাপাশি তাঁদের ৫ লাখ রুপি করে জরিমানা করেছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় বিশেষ ওই আদালতে উপস্থিত ছিলেন ইমরান খান ও বুশরা বিবি।

বুশরা বিবির সাবেক স্বামী খাওয়ার মানেকার করা মামলায় ইমরান ও বুশরাকে এই সাজা দিলেন আদালত। মামলায় খাওয়ার মানেকা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর নির্দিষ্ট সময় পার না হতেই ইমরান খানকে বিয়ে করেন বুশরা বিবি, যা স্পষ্টতই শরিয়াহ আইনের লঙ্ঘন।

প্রতারণার অভিযোগ তুলে খাওয়ার মানেকার করা এ মামলার রায় ঘোষণার পর আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইমরান খান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে হেনস্তা করার জন্যই এমন মামলা করা হয়েছে।

৩৪২ ধারার অধীনে বক্তব্য রেকর্ড করা হয় ইমরান ও বুশরা বিবির। বর্তমানে বুশরা বিবি অবস্থান করছেন বানিগালায়। সেটাকে সাবজেল ঘোষণা করা হয়। তাকে চূড়ান্ত শুনানির জন্য আদিয়ালা জেলে নেয়া হয়। তারপর ইমরান খান, বুশরা বিবি ও তাদের আইনজীবিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়। এর একদিন আগে বাদির আইনজীবি রাজা রিজওয়ান আব্বাসি, ইমরান খানের আইনজীবি সালমান আকরাম রাজা ও বুশরা বিবির আইনজীবি উসমান গুলোর চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক শোনেন আদালত।

মামলায় খাওয়ার মানেকা বলেছেন, ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিয়ে একটি প্রতারণা। কারণ, তাদের বিচ্ছেদের পর ‘ইদ্দত’ চলাকালীন এই বিয়ে হয়েছে। ইদ্দত পিরিয়ড শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিকাহ বা বিয়ে আইনগতভাবে বা ইসলামে বৈধ নয়। তিনি আরও দাবি করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শেষ করে দিয়েছেন খাওয়ার মানেকার জীবন। এর প্রেক্ষিতে বিবাদি নম্বর ১ (ইমরান খান) ও ২ (বুশরা বিবি)কে তলব করে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি দেয়ার আহ্বান জানান।

গত ৩১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় উপহারসামগ্রী কম মূল্যে কিনে নেওয়ার অভিযোগে করা (তোশাখানা) মামলায় ইমরান ও বুশরাকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেন বিশেষ একটি আদালত।

তার এক দিন আগে ৩০ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের মামলায় ইমরান খানের ১০ বছরের জেল হয়। একই মামলায় ইমরান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও ১০ বছরের জেল দেন আদালত।

এরও আগে গত বছরের ৫ আগস্ট তোশাখানা দুর্নীতি নিয়ে পৃথক একটি মামলায় ইমরান খানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।