Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইন্দোনেশিয়ায় সোনার খনিতে ভূমিধসে নিহত ১১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারী বৃষ্টিতে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে একটি অবৈধ সোনার খনির কাছেই ভূমিধসে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৪৫ জন।

সোমবার (৮ জুলাই) ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ মাধ্যম এ খবর প্রকাশ করে।

খবরে বলা হয়, রোববার শেষরাতে গোরোনতালো প্রদেশের বোনে বোলাঙ্গ গ্রামের প্রত্যন্ত একটি এলাকায় ভূমিধসের ঘটনাটি ঘটে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ভারী বৃষ্টির কারণে এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।

বোনে বোলাঙ্গো জেলার দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান হেরিয়ান্তো এএফপিকে বলেন, রোববার থেকে আমরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছি। এ পর্যন্ত আটজনের মৃতদেহ এবং ৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিতদের সবাই কম-বেশি আহত। নিখোঁজদের সন্ধানে জোর তৎপরতা চলছে।

হেরিয়াান্ত আরও জানান, ব্যাপক বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে ওই গ্রামে পৌঁছানোর রাস্তাঘাট ও সেতুগুলো ভেঙে পড়েছে। তাদেরকে পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে হয়েছে এবং এ কারণেই দেরিতে শুরু হয়েছে উদ্ধার তৎপরতা। দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের অন্তত ১৮০ জন মানুষ গ্রামটিতে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।

সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শিথিলতার সুযোগে ইন্দোনেশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে অবৈধভাবে খনি খনন এবং খনিজ সম্পদ আহরণের প্রবণতা। কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এসব খনিতে দুর্ঘটনাও ঘটে বেশি।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র আব্দুল মুহারি বলেন, শনিবার থেকে মোসুমি বৃষ্টি চলছে। একটি বাঁধ ভেঙে গেছে। বোনে বোলানগোয় পাঁচ গ্রামে তিন মিটার পানির নিচে। প্রায় ৩০০ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক হাজার বাসিন্দা নিরাপদ স্থানে সরে গিয়েছেন।

এসব অবৈধ খনি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ইন্দোনেশিয়ার জন্য। কারণ বর্ষাকলে অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল এই দেশটির অধিকাংশ প্রদেশে স্বাভাবিক একটি ঘটনা। অবৈধ খনি খননের কারণে ঘন ঘন ভূমি ধস ঘটছে বিভিন্ন এলাকায়।

গত মে মাসে দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের একটি গ্রামে ভূমি ধসে নিহত হয়েছিলেন অন্তত ১৫ জন। তার আগের মাসে ওই একই প্রদেশের ভিন্ন একটি গ্রামে ভূমি ধসে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২০ জন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ইন্দোনেশিয়ায় সোনার খনিতে ভূমিধসে নিহত ১১

প্রকাশের সময় : ০৮:০৮:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ভারী বৃষ্টিতে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে একটি অবৈধ সোনার খনির কাছেই ভূমিধসে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৪৫ জন।

সোমবার (৮ জুলাই) ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ মাধ্যম এ খবর প্রকাশ করে।

খবরে বলা হয়, রোববার শেষরাতে গোরোনতালো প্রদেশের বোনে বোলাঙ্গ গ্রামের প্রত্যন্ত একটি এলাকায় ভূমিধসের ঘটনাটি ঘটে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ভারী বৃষ্টির কারণে এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।

বোনে বোলাঙ্গো জেলার দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান হেরিয়ান্তো এএফপিকে বলেন, রোববার থেকে আমরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছি। এ পর্যন্ত আটজনের মৃতদেহ এবং ৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিতদের সবাই কম-বেশি আহত। নিখোঁজদের সন্ধানে জোর তৎপরতা চলছে।

হেরিয়াান্ত আরও জানান, ব্যাপক বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে ওই গ্রামে পৌঁছানোর রাস্তাঘাট ও সেতুগুলো ভেঙে পড়েছে। তাদেরকে পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে হয়েছে এবং এ কারণেই দেরিতে শুরু হয়েছে উদ্ধার তৎপরতা। দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের অন্তত ১৮০ জন মানুষ গ্রামটিতে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।

সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শিথিলতার সুযোগে ইন্দোনেশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে অবৈধভাবে খনি খনন এবং খনিজ সম্পদ আহরণের প্রবণতা। কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এসব খনিতে দুর্ঘটনাও ঘটে বেশি।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র আব্দুল মুহারি বলেন, শনিবার থেকে মোসুমি বৃষ্টি চলছে। একটি বাঁধ ভেঙে গেছে। বোনে বোলানগোয় পাঁচ গ্রামে তিন মিটার পানির নিচে। প্রায় ৩০০ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক হাজার বাসিন্দা নিরাপদ স্থানে সরে গিয়েছেন।

এসব অবৈধ খনি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ইন্দোনেশিয়ার জন্য। কারণ বর্ষাকলে অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল এই দেশটির অধিকাংশ প্রদেশে স্বাভাবিক একটি ঘটনা। অবৈধ খনি খননের কারণে ঘন ঘন ভূমি ধস ঘটছে বিভিন্ন এলাকায়।

গত মে মাসে দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের একটি গ্রামে ভূমি ধসে নিহত হয়েছিলেন অন্তত ১৫ জন। তার আগের মাসে ওই একই প্রদেশের ভিন্ন একটি গ্রামে ভূমি ধসে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২০ জন।