Dhaka শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইচ্ছা করলে খায়রুল হককে আগেই গ্রেফতার করতে পারতো সরকার : জয়নুল আবেদীন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ইচ্ছা করলে সরকার সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে আগেই গ্রেফতার করতে পারতো। দেরিতে হলেও গ্রেফতার করায় সরকারকে ধন্যবাদ। খায়রুল হকের বিচার এমনভাবে করতে হবে যেন দেশের মানুষ বুঝতে পারে বিচারবিভাগ ধংস করলে কী পরিণত হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের মিডিয়া রুমের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের কারণে আয়নাঘর তৈরি হয়েছিল। গণতন্ত্র ধ্বংস করে তিনি হাজার মানুষ হত্যার পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। তাই বিচার জনতার আদালতে হতে হবে। উম্মুক্ত আদালতে হতে হবে।

জয়নুল আবেদীন বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজরিত ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে এক কাপড়ে বের করে দিয়েছিলেন খায়রুল হক। বিচারিক অসাধুতার নগণ্য নজির তিনি স্থাপন করেছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিনিময়ে বিচারপতি খায়রুল হক আইন কমিশনের চেয়ারম্যান পদ বাগিয়ে নিয়েছিলেন। খায়রুল হকের এমন বিচার করতে হবে যেন তাকে দেখে অন্য বিচারপতিরা সাবধান হয়ে যান।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, দেশে গণতন্ত্র হত্যা এবং শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বানানোর মেইন আর্কিটেক্ট হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি খায়রুল হক। তার এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত যাতে ভবিষ্যতে নতুন কোনো খায়রুল হকের বিচারাঙ্গণে জন্ম না হয়।

এর আগে সকালে সাবেক এই প্রধান বিচারপতিকে রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। সম্প্রতি সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। দেশের বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর উল্লেখ করে তাকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানায় সংগঠনটি। বিচারাঙ্গনে তুমুলভাবে আলোচিত-সমালোচিত এ বিচারপতির বেশ কয়েকটি রায় চরম বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। তিনি সরকারের পক্ষে রায় দিয়ে আওয়ামী আমলে নানাভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

ইচ্ছা করলে খায়রুল হককে আগেই গ্রেফতার করতে পারতো সরকার : জয়নুল আবেদীন

প্রকাশের সময় : ০১:০৮:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ইচ্ছা করলে সরকার সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে আগেই গ্রেফতার করতে পারতো। দেরিতে হলেও গ্রেফতার করায় সরকারকে ধন্যবাদ। খায়রুল হকের বিচার এমনভাবে করতে হবে যেন দেশের মানুষ বুঝতে পারে বিচারবিভাগ ধংস করলে কী পরিণত হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের মিডিয়া রুমের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের কারণে আয়নাঘর তৈরি হয়েছিল। গণতন্ত্র ধ্বংস করে তিনি হাজার মানুষ হত্যার পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। তাই বিচার জনতার আদালতে হতে হবে। উম্মুক্ত আদালতে হতে হবে।

জয়নুল আবেদীন বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজরিত ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে এক কাপড়ে বের করে দিয়েছিলেন খায়রুল হক। বিচারিক অসাধুতার নগণ্য নজির তিনি স্থাপন করেছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিনিময়ে বিচারপতি খায়রুল হক আইন কমিশনের চেয়ারম্যান পদ বাগিয়ে নিয়েছিলেন। খায়রুল হকের এমন বিচার করতে হবে যেন তাকে দেখে অন্য বিচারপতিরা সাবধান হয়ে যান।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, দেশে গণতন্ত্র হত্যা এবং শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বানানোর মেইন আর্কিটেক্ট হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি খায়রুল হক। তার এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত যাতে ভবিষ্যতে নতুন কোনো খায়রুল হকের বিচারাঙ্গণে জন্ম না হয়।

এর আগে সকালে সাবেক এই প্রধান বিচারপতিকে রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। সম্প্রতি সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। দেশের বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর উল্লেখ করে তাকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানায় সংগঠনটি। বিচারাঙ্গনে তুমুলভাবে আলোচিত-সমালোচিত এ বিচারপতির বেশ কয়েকটি রায় চরম বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। তিনি সরকারের পক্ষে রায় দিয়ে আওয়ামী আমলে নানাভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছেন।