পাবনা জেলা প্রতিনিধি :
পাবনার সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) রুমে তার সামনেই উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমিরসহ চার নেতাকে বেধড়ক মারধর ঘটনায় বিএনপির চার নেতাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে এ আদেশ দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিকদের হাতে আসে। এর আগে সোমবার বিকেলে ইউএনও মীর রাশেদুজ্জামানের কার্যালয়ে মারধরের ঘটনা ঘটে।
শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, পাবনা জেলাধীন সুজানগর উপজেলা ইউএনওর কার্যালয়ে প্রবেশ করে হাঙ্গামা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অশোভন ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগে সুজানগর উপজেলা বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মজিবর রহমান, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবু খা, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মানিক খা এবং সুজানগর এন. এ কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. শাকিল খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে আগামী ২৪ (চব্বিশ) ঘন্টার মধ্যে জবাব দিতে তাদেরকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পরকীয়া সন্দেহে স্বামী-স্ত্রীকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার বেশ কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর গতকাল সোমবার রাতে ভুক্তভোগী নুরজাহান বেগম কলাপাড়া থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নুরজাহান অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার দ্বিতীয় স্বামী শামিমকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে তেগাছিয়া থেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য চাপলী বাজারের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। এ সময় তুলাতলী এলাকায় পৌঁছলে ওই এলাকার সাইফুল, বশির, স্বপন ও নুর আলমসহ ১০ যুবক তাদের মোটরসাইকেল থামিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করে। পরে তাদের পার্শ্ববর্তী বিলের মধ্যে নিয়ে ফের মারধর করে এবং ওই নারীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাদের কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল ইসলাম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’