Dhaka বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে: ওবায়দুল কাদের

সাভার উপজেলা প্রতিনিধি : 

আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দিল্লি কিংবা আমেরিকারসহ সবার সঙ্গে আওয়ামী লীগের বন্ধুত্ব রয়েছে, কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন পথ হারিয়ে দিশেহারা। দুই সেলফিতেই বাজিমাত। এক সেলফি দিল্লি আরেক সেলফি নিউইয়র্কে। কোথায় স্যাংশন, কোথায় ভিসা নীতি। তলে তলে আপস হয়ে গেছে। দিল্লি আছে, আমেরিকারও দিল্লির দরকার। দিল্লি আছে, আমরাও আছি। শত্রুতা কারও সঙ্গে নাই, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভিসানীতির পরোয়া করে না। বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো চিন্তা নেই, এটা সঠিক সময়েই হবে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভিসা নীতির পরোয়া করে না, বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই হবে। শেখ হাসিনা এমন ভারসাম্য করেছেন, আর কোনো চিন্তা নাই। নির্বাচন যথাসময়ে হবে, খেলা হবে। অক্টোবর থেকে শুরু। আগামী মাসে সেমিফাইনাল, জানুয়ারিতে ফাইনাল। বিএনপি এখন ফাউল করতেছে। ফাউল করলে হলুদ কার্ড। ফাউল হলে লাল কার্ড। খেলা নিয়ে ফাউল করা চলবে না। তারা আন্দোলনের হেরে গেছে, নির্বাচনেও হেরে যাবে।

বিএনপির কারণেই খালেদা জিয়ার মামলার নিষ্পত্তি হয়নি বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া ছাড়া ইলেকশনে না যাওয়ার হুমকি বিএনপি আর কত দেবে? বিএনপি খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন করবে না, এ কথা একেবারেই মিথ্যা। তাদের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার জন্য একটি আন্দোলনও করতে পারলেন না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আবারও ক্ষমতায় গেলে দেশের সম্পদ চুরি, লুটপাট, ষড়যন্ত্র সন্ত্রাস করবে। গণতন্ত্রকেও গিলে খাবে। আবারও এই দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানাবে। তাদের নেতা কাপুরুষের মতো লন্ডনে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কেন, সাহস থাকলে ঢাকায় আসুক।

ওবায়দুল কাদের দেশের জনগণকে শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া জনপ্রিয়, বিশ্বস্ত এবং সাহসী নেতা আর নেই। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অক্টোবরে নাকি সরকারের পতন করবে? কোন অক্টোবর? অক্টোবরে, নভেম্বরে, ডিসেম্বরে কিছুই হবে না। বাংলার জনগণ বিএনপিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। যে দলে দুর্নীতির দুর্গন্ধ আছে, মানুষ সে দল চায় না। বিএনপি হাঁটুভাঙা দল, কোমরভাঙা দল। শক্ত হয়ে দাঁড়ান। কৌশল ভালোভাবে চিনে নেন। খেলা হবে। সাংঘাতিক খেলা হবে।

আওয়ামী লীগ বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হয় এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ২০ বার হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে। বেগম জিয়াকে কেউ কী একবারও হত্যা করতে গিয়েছে? হত্যা চেষ্টা হয়েছে? আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়।

বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখেন না ফখরুলের গলার আওয়াজ নরম হয়ে গেছে। আহারে বেচারা ছুটে ছুটে ঠাকুরগাঁও যায়। ঠাকুরগাঁও গিয়ে খোঁজে লোকজন আছেনি। লোকজন আসতে আসতে কেটে পড়বে। লোক আর থাকবে না। বিএনপির এ লাফালাফি, বাড়াবাড়িতে জনগণের কোনো লাভ নেই। তারা আবারও চুরি করবে, আবারও লুটপাট করবে, আবারও দুর্নীতি করবে, আবারও বিদ্যুতের জায়গায় খাম্বা দেবে। এসব উদ্দেশ্য নিয়ে বস্তায় বস্তায় টাকা বানাবে। এজন্যই এত লাফালাফি। যদি কোনোভাবে ক্ষমতায় বসা যায়।

তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র গিলে খাবে। এরা বিদ্যুৎ গিলে খাবে। এরা ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে গিলে খাবে। এরা ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে গিলে খাবে। এরা ক্ষমতায় গেলে আবারও দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে।

এ সময় তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশ্য বলেন, তারেক রহমান মুচলেকা দিয়েছিলেন আর রাজনীতি করবে না। আরে কাপুরুষ সাহস থাকলে বাংলার মাটিতে আয়। মায়ের অসুস্থতার জন্য আন্দোলন করবি তো ঢাকার মাঠে এসে আন্দোলনের ডাক দে। সাহস না থাকলে আন্দোলনের কথা কেন বলিস। কাপুরুষের আন্দোলন কোনো দিনও সফল হবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা নাকি নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছে, কেমন নিষ্ঠুরতা, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারকে তারা হত্যা করেছে। শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা সেদিন বিদেশে ছিলেন বলে বেঁচে গিয়েছিলেন। সেদিন নিষ্ঠুরতা কোথায় ছিল। এই হত্যাকাণ্ডের নায়ক জেনারেল জিয়াউর রহমান। নিষ্ঠুর কারা? জাতির পিতাকে হত্যা করেছে জেলখানায় চার নেতাকে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। কে করেছে এগুলো, হাওয়া ভবন কে করেছে, তারেক জিয়া শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বেগম জিয়াকে একবারও কি কেউ হত্যা করতে গিয়েছিল। তারেক জিয়ার জীবনের ওপর একবারও কি হামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ করবে না, আওয়ামী লীগ হত্যা সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে না। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের শিকার। এখনো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি আরও বলেন, অক্টোবর মাস তো চলে যাচ্ছে। আর কত হুমকি, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বুড়িগঙ্গায় ভেসে গেছে। গত ডিসেম্বরের আন্দোলন গরুর হাটের খাদে পড়েছে। আর আন্দোলন আছে? কোথায় যাবেন, এখন এই জায়গায় ওই জেলায় ওই নগরীতে আজকে দিশেহারা পথিকেরা আন্দোলনের নামে ঘুরে বেড়ায়। এতে কোনো কাজ হবে না। নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশের জনগণ আর কিছুই চায় না। আমেরিকার ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট এক সমীক্ষায় মন্তব্য করেছে। এই মুহূর্তে ভোট হলে বাংলাদেশের শতকরা ৭০ জন লোক শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে।

সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগাঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

৫ আগস্ট সামনে রেখে কোনো ধরনের নিরাপত্তার সমস্যা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশের সময় : ০৭:৫২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

সাভার উপজেলা প্রতিনিধি : 

আমেরিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপস হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দিল্লি কিংবা আমেরিকারসহ সবার সঙ্গে আওয়ামী লীগের বন্ধুত্ব রয়েছে, কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন পথ হারিয়ে দিশেহারা। দুই সেলফিতেই বাজিমাত। এক সেলফি দিল্লি আরেক সেলফি নিউইয়র্কে। কোথায় স্যাংশন, কোথায় ভিসা নীতি। তলে তলে আপস হয়ে গেছে। দিল্লি আছে, আমেরিকারও দিল্লির দরকার। দিল্লি আছে, আমরাও আছি। শত্রুতা কারও সঙ্গে নাই, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভিসানীতির পরোয়া করে না। বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো চিন্তা নেই, এটা সঠিক সময়েই হবে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভিসা নীতির পরোয়া করে না, বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই হবে। শেখ হাসিনা এমন ভারসাম্য করেছেন, আর কোনো চিন্তা নাই। নির্বাচন যথাসময়ে হবে, খেলা হবে। অক্টোবর থেকে শুরু। আগামী মাসে সেমিফাইনাল, জানুয়ারিতে ফাইনাল। বিএনপি এখন ফাউল করতেছে। ফাউল করলে হলুদ কার্ড। ফাউল হলে লাল কার্ড। খেলা নিয়ে ফাউল করা চলবে না। তারা আন্দোলনের হেরে গেছে, নির্বাচনেও হেরে যাবে।

বিএনপির কারণেই খালেদা জিয়ার মামলার নিষ্পত্তি হয়নি বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া ছাড়া ইলেকশনে না যাওয়ার হুমকি বিএনপি আর কত দেবে? বিএনপি খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন করবে না, এ কথা একেবারেই মিথ্যা। তাদের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার জন্য একটি আন্দোলনও করতে পারলেন না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আবারও ক্ষমতায় গেলে দেশের সম্পদ চুরি, লুটপাট, ষড়যন্ত্র সন্ত্রাস করবে। গণতন্ত্রকেও গিলে খাবে। আবারও এই দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানাবে। তাদের নেতা কাপুরুষের মতো লন্ডনে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কেন, সাহস থাকলে ঢাকায় আসুক।

ওবায়দুল কাদের দেশের জনগণকে শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া জনপ্রিয়, বিশ্বস্ত এবং সাহসী নেতা আর নেই। জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অক্টোবরে নাকি সরকারের পতন করবে? কোন অক্টোবর? অক্টোবরে, নভেম্বরে, ডিসেম্বরে কিছুই হবে না। বাংলার জনগণ বিএনপিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। যে দলে দুর্নীতির দুর্গন্ধ আছে, মানুষ সে দল চায় না। বিএনপি হাঁটুভাঙা দল, কোমরভাঙা দল। শক্ত হয়ে দাঁড়ান। কৌশল ভালোভাবে চিনে নেন। খেলা হবে। সাংঘাতিক খেলা হবে।

আওয়ামী লীগ বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হয় এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ২০ বার হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে। বেগম জিয়াকে কেউ কী একবারও হত্যা করতে গিয়েছে? হত্যা চেষ্টা হয়েছে? আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়।

বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখেন না ফখরুলের গলার আওয়াজ নরম হয়ে গেছে। আহারে বেচারা ছুটে ছুটে ঠাকুরগাঁও যায়। ঠাকুরগাঁও গিয়ে খোঁজে লোকজন আছেনি। লোকজন আসতে আসতে কেটে পড়বে। লোক আর থাকবে না। বিএনপির এ লাফালাফি, বাড়াবাড়িতে জনগণের কোনো লাভ নেই। তারা আবারও চুরি করবে, আবারও লুটপাট করবে, আবারও দুর্নীতি করবে, আবারও বিদ্যুতের জায়গায় খাম্বা দেবে। এসব উদ্দেশ্য নিয়ে বস্তায় বস্তায় টাকা বানাবে। এজন্যই এত লাফালাফি। যদি কোনোভাবে ক্ষমতায় বসা যায়।

তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র গিলে খাবে। এরা বিদ্যুৎ গিলে খাবে। এরা ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে গিলে খাবে। এরা ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে গিলে খাবে। এরা ক্ষমতায় গেলে আবারও দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে।

এ সময় তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশ্য বলেন, তারেক রহমান মুচলেকা দিয়েছিলেন আর রাজনীতি করবে না। আরে কাপুরুষ সাহস থাকলে বাংলার মাটিতে আয়। মায়ের অসুস্থতার জন্য আন্দোলন করবি তো ঢাকার মাঠে এসে আন্দোলনের ডাক দে। সাহস না থাকলে আন্দোলনের কথা কেন বলিস। কাপুরুষের আন্দোলন কোনো দিনও সফল হবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা নাকি নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছে, কেমন নিষ্ঠুরতা, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারকে তারা হত্যা করেছে। শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা সেদিন বিদেশে ছিলেন বলে বেঁচে গিয়েছিলেন। সেদিন নিষ্ঠুরতা কোথায় ছিল। এই হত্যাকাণ্ডের নায়ক জেনারেল জিয়াউর রহমান। নিষ্ঠুর কারা? জাতির পিতাকে হত্যা করেছে জেলখানায় চার নেতাকে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। কে করেছে এগুলো, হাওয়া ভবন কে করেছে, তারেক জিয়া শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বেগম জিয়াকে একবারও কি কেউ হত্যা করতে গিয়েছিল। তারেক জিয়ার জীবনের ওপর একবারও কি হামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ করবে না, আওয়ামী লীগ হত্যা সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে না। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের শিকার। এখনো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি আরও বলেন, অক্টোবর মাস তো চলে যাচ্ছে। আর কত হুমকি, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বুড়িগঙ্গায় ভেসে গেছে। গত ডিসেম্বরের আন্দোলন গরুর হাটের খাদে পড়েছে। আর আন্দোলন আছে? কোথায় যাবেন, এখন এই জায়গায় ওই জেলায় ওই নগরীতে আজকে দিশেহারা পথিকেরা আন্দোলনের নামে ঘুরে বেড়ায়। এতে কোনো কাজ হবে না। নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশের জনগণ আর কিছুই চায় না। আমেরিকার ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট এক সমীক্ষায় মন্তব্য করেছে। এই মুহূর্তে ভোট হলে বাংলাদেশের শতকরা ৭০ জন লোক শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে।

সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগাঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।