Dhaka শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমীর খসরুর ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পুলিশ হত্যা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আদালতে নিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদ।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারের বিষয়ে ডিবি অফিসে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরুকে আমরা অনেকদিন ধরে খুঁজছিলাম। তিনি একটি বাসায় পালিয়ে ছিলেন, সেখান থেকে আমরা গতকাল রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় আমীর খসরু চার নম্বর আসামি। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

ডিবি প্রধান বলেন, ২৮ অক্টোবর প্রকাশ্য দিবালোকে আমার পুলিশ ভাইকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া আমার আরও অনেক পুলিশ ভাই ঢাকা মেডিকেল কলেজে ও রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে একজন কোমায় চলে গেছেন। হাসপাতালে গেলে দেখা যায় এ পুলিশ সদস্যদের পরিবার ও বাচ্চাদের কান্না ও আহাজারি।

তিনি বলেন, এ মামলার সব আসামিকে আইনের কাছে ধরা দিতে হবে। যারা পালিয়ে ছিল, তারা কিন্তু রক্ষা পায়নি। যারা এখনো পালিয়ে আছে, আমি মনে করি তাদের আমরা ধরে আদালতের কাছে সোপর্দ করব।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান হারুন বলেন, আমরা আজ আমীর খসরুকে আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চাইব। কাদের নেতৃত্বে, কাদের ইন্ধনে সেদিন হামলা হয়েছিল, কারা কারা ঘটনার সময় মঞ্চে ছিল, রিমান্ডে এনে জানার চেষ্টা করবো। হামলায় কারা ইন্ধন দিয়েছিল, সেগুলো খুঁজে বের করে আমরা গ্রেপ্তার করব।

তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর এবং অবরোধের দিনগুলোতে গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করা হয়েছে, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তথাকথিত অবরোধের নামে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা হয়েছে, অনেকগুলো বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। যারা আগুন লাগিয়েছে, তাদের নাম আমরা পেয়েছি। আমরা শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ডিবির গুলশান জোন রাজধানীর গুলশান ২ নাম্বারের একটি বাসা থেকে আমীর খসরুকে গ্রেফতার করে। এরপর তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

গত ২৮ অক্টোবরের নাশকতা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করে বিএনপি। মহাসমাবেশে শুরুর কিছুক্ষণ পর দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। আহত হন অর্ধশতাধিক পুলিশসহ বিএনপির অনেক নেতাকর্মী।

এ ঘটনায় গত রোববার (২৯ অক্টোবর) বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা হয়। মামলাটিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলটির অনেক সিনিয়র নেতাকে আসামি করা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

আমীর খসরুর ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পুলিশ হত্যা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আদালতে নিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদ।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারের বিষয়ে ডিবি অফিসে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরুকে আমরা অনেকদিন ধরে খুঁজছিলাম। তিনি একটি বাসায় পালিয়ে ছিলেন, সেখান থেকে আমরা গতকাল রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় আমীর খসরু চার নম্বর আসামি। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

ডিবি প্রধান বলেন, ২৮ অক্টোবর প্রকাশ্য দিবালোকে আমার পুলিশ ভাইকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া আমার আরও অনেক পুলিশ ভাই ঢাকা মেডিকেল কলেজে ও রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে একজন কোমায় চলে গেছেন। হাসপাতালে গেলে দেখা যায় এ পুলিশ সদস্যদের পরিবার ও বাচ্চাদের কান্না ও আহাজারি।

তিনি বলেন, এ মামলার সব আসামিকে আইনের কাছে ধরা দিতে হবে। যারা পালিয়ে ছিল, তারা কিন্তু রক্ষা পায়নি। যারা এখনো পালিয়ে আছে, আমি মনে করি তাদের আমরা ধরে আদালতের কাছে সোপর্দ করব।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান হারুন বলেন, আমরা আজ আমীর খসরুকে আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চাইব। কাদের নেতৃত্বে, কাদের ইন্ধনে সেদিন হামলা হয়েছিল, কারা কারা ঘটনার সময় মঞ্চে ছিল, রিমান্ডে এনে জানার চেষ্টা করবো। হামলায় কারা ইন্ধন দিয়েছিল, সেগুলো খুঁজে বের করে আমরা গ্রেপ্তার করব।

তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর এবং অবরোধের দিনগুলোতে গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করা হয়েছে, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তথাকথিত অবরোধের নামে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা হয়েছে, অনেকগুলো বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। যারা আগুন লাগিয়েছে, তাদের নাম আমরা পেয়েছি। আমরা শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ডিবির গুলশান জোন রাজধানীর গুলশান ২ নাম্বারের একটি বাসা থেকে আমীর খসরুকে গ্রেফতার করে। এরপর তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

গত ২৮ অক্টোবরের নাশকতা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করে বিএনপি। মহাসমাবেশে শুরুর কিছুক্ষণ পর দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। আহত হন অর্ধশতাধিক পুলিশসহ বিএনপির অনেক নেতাকর্মী।

এ ঘটনায় গত রোববার (২৯ অক্টোবর) বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা হয়। মামলাটিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলটির অনেক সিনিয়র নেতাকে আসামি করা হয়।