নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দশ দিনের ব্যবধানে ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৬৫৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩৮৮ টাকা কমিয়ে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ৮ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনা ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮০ হাজার ১৯০ টাকা। যা ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছিল।

চলতি বছর এ নিয়ে ৮ বার সোনার দাম সমন্বয় করল বাজুস। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় নূন্যতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা গুনতে হবে।