Dhaka রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগস্টে মূল্যস্ফীতি কমে ৮.২৯ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি আগস্ট মাসে নেমে এসেছে ৮.২৯ শতাংশে, যা গত তিন বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন। জুলাইয়ের তুলনায় এ হার ০.২৬ শতাংশ কমেছে। তবে খাদ্যপণ্যের দামে সামান্য ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮.৫৫ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে (আগস্ট ২০২৪) এই হার ছিল ১০.৪৯ শতাংশ।

তবে গড় মূল্যস্ফীতি কমলেও আগস্টে বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে। আগস্ট মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ০৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬০ শতাংশে। জুলাই মাসে যা ছিল ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ থেকে কমে ৮ দশমিক ৯০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

সিপিআই সূচকের তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে গ্রামের গড় মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ।

আর শহরের গড় মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ৭১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ২৪ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

২০২২ সালের জুলাই মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এরপর থেকে আর কখনো ৮ শতাংশের নিচে নামেনি। গত তিন বছর ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ০৩ শতাংশ।

বিবিএসের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, আগস্টে স্বল্প আয়ের দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির হার সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশে। টানা ৪৩ মাস ধরে মজুরি বৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতির চেয়ে পিছিয়ে থাকায় নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট আরও গভীর হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, খাদ্যপণ্যের দামে গত বছরের তুলনায় কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও খাদ্যবহির্ভূত খাতে চাপ অব্যাহত থাকায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি এখনও চড়া রয়ে গেছে। এর ফলে মানুষের প্রকৃত আয় কমছে, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।

মূল্যস্ফীতি এক ধরনের করের মতো। ধরুন, ২০২৪ সালের আগস্টে বাজার থেকে পণ্য ও সেবা কিনতে যদি কারও খরচ হয় ১০০ টাকা, তবে ২০২৫ সালের আগস্টে একই পণ্য ও সেবা কিনতে তাকে খরচ করতে হয়েছে ১০৮ টাকা ২৯ পয়সা। অর্থাৎ প্রতি ১০০ টাকায় খরচ বেড়েছে ৮ টাকা ২৯ পয়সা। তবে মূল্যস্ফীতি কমা মানে দাম কমা নয়, বরং দাম বৃদ্ধির গতি কিছুটা ধীর হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

হাসিনা ও আ. লীগ ফেরাউন-নমরুদের দোসর : দুলু

আগস্টে মূল্যস্ফীতি কমে ৮.২৯ শতাংশ

প্রকাশের সময় : ০৩:৫০:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি আগস্ট মাসে নেমে এসেছে ৮.২৯ শতাংশে, যা গত তিন বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন। জুলাইয়ের তুলনায় এ হার ০.২৬ শতাংশ কমেছে। তবে খাদ্যপণ্যের দামে সামান্য ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮.৫৫ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে (আগস্ট ২০২৪) এই হার ছিল ১০.৪৯ শতাংশ।

তবে গড় মূল্যস্ফীতি কমলেও আগস্টে বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে। আগস্ট মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ০৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬০ শতাংশে। জুলাই মাসে যা ছিল ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ থেকে কমে ৮ দশমিক ৯০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

সিপিআই সূচকের তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে গ্রামের গড় মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ।

আর শহরের গড় মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ৭১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ২৪ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

২০২২ সালের জুলাই মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এরপর থেকে আর কখনো ৮ শতাংশের নিচে নামেনি। গত তিন বছর ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ০৩ শতাংশ।

বিবিএসের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, আগস্টে স্বল্প আয়ের দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির হার সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশে। টানা ৪৩ মাস ধরে মজুরি বৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতির চেয়ে পিছিয়ে থাকায় নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট আরও গভীর হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, খাদ্যপণ্যের দামে গত বছরের তুলনায় কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও খাদ্যবহির্ভূত খাতে চাপ অব্যাহত থাকায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি এখনও চড়া রয়ে গেছে। এর ফলে মানুষের প্রকৃত আয় কমছে, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।

মূল্যস্ফীতি এক ধরনের করের মতো। ধরুন, ২০২৪ সালের আগস্টে বাজার থেকে পণ্য ও সেবা কিনতে যদি কারও খরচ হয় ১০০ টাকা, তবে ২০২৫ সালের আগস্টে একই পণ্য ও সেবা কিনতে তাকে খরচ করতে হয়েছে ১০৮ টাকা ২৯ পয়সা। অর্থাৎ প্রতি ১০০ টাকায় খরচ বেড়েছে ৮ টাকা ২৯ পয়সা। তবে মূল্যস্ফীতি কমা মানে দাম কমা নয়, বরং দাম বৃদ্ধির গতি কিছুটা ধীর হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে