Dhaka রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে বড় বিপর্যয় থেকে অর্থনীতি রক্ষা পেয়েছে : সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গেল এক বছরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও সংস্কারের ফলে দেশের অর্থনীতি বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

রোববার (১০ আগষ্ট) সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩৬৫ দিন শীর্ষক সিপিডি ডায়ালগে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, গত এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। যেমন- ব্যাংক খাত সংস্কার; অন্যতম উদ্যোগ। এর ফলে রেমিট্যান্স, রপ্তানি বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একটা ভালো অবস্থায় গেছে। পতন ঠেকানো গেছে। একটা বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে অর্থনীতিকে রক্ষা করা গেছে। এটা একটা অন্যতম সাফল্য। এর পাশাপাশি এটাও জানি মূল্যস্ফীতি উচ্চপর্যায়ে রয়েছে। বিনিয়োগ আসছে না কর্মসংস্থান হচ্ছে না। রাজস্ব আহরণ বাড়ছে না। সুতরাং এই বিষয়গুলো আগামী ৬ মাস ও নতুন সরকারকে মাথায় রাখতে হবে।

এসময় তিনি সতর্ক করে বলেন, আমরা জানি, মূল্যস্ফীতি এখনো উচ্চপর্যায়ে রয়েছে, বিনিয়োগ আসছে না, কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না, রাজস্ব আহরণও বাড়ছে না। সুতরাং আগামী ছয় মাস এবং নতুন সরকারের জন্য এগুলো বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের স্বস্তি দেওয়ার জন্য চলমান সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বজায় রাখার আহ্বান জানান ফাহমিদা খাতুন। বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে, কারণ আগামী মাসগুলোতেও এটি উচ্চমাত্রায় থাকতে পারে।

বিনিয়োগে স্থবিরতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে নতুন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা নেই। তবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো প্রস্তুত করা গেলে আগামী সরকার সহজেই বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারবে।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে সিপিডি নির্বাহী পরিচালক বলেন, আগামী ৫-৬ মাসে নতুন করে সংস্কার কতখানি বাস্তবায়ন হবে, তা বলা মুশকিল। ইতিমধ্যে যে সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা ধীরগতির। তবে সুযোগ আছে— যদি সরকার চায়। সবচেয়ে জরুরি হলো, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা আনতে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেগুলো সুরক্ষা দিয়ে ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাওয়া।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মি. আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুরসহ বিভিন্ন রাজনীতি ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে বড় বিপর্যয় থেকে অর্থনীতি রক্ষা পেয়েছে : সিপিডি

প্রকাশের সময় : ০১:০৬:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গেল এক বছরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও সংস্কারের ফলে দেশের অর্থনীতি বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

রোববার (১০ আগষ্ট) সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩৬৫ দিন শীর্ষক সিপিডি ডায়ালগে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, গত এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। যেমন- ব্যাংক খাত সংস্কার; অন্যতম উদ্যোগ। এর ফলে রেমিট্যান্স, রপ্তানি বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একটা ভালো অবস্থায় গেছে। পতন ঠেকানো গেছে। একটা বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে অর্থনীতিকে রক্ষা করা গেছে। এটা একটা অন্যতম সাফল্য। এর পাশাপাশি এটাও জানি মূল্যস্ফীতি উচ্চপর্যায়ে রয়েছে। বিনিয়োগ আসছে না কর্মসংস্থান হচ্ছে না। রাজস্ব আহরণ বাড়ছে না। সুতরাং এই বিষয়গুলো আগামী ৬ মাস ও নতুন সরকারকে মাথায় রাখতে হবে।

এসময় তিনি সতর্ক করে বলেন, আমরা জানি, মূল্যস্ফীতি এখনো উচ্চপর্যায়ে রয়েছে, বিনিয়োগ আসছে না, কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না, রাজস্ব আহরণও বাড়ছে না। সুতরাং আগামী ছয় মাস এবং নতুন সরকারের জন্য এগুলো বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের স্বস্তি দেওয়ার জন্য চলমান সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বজায় রাখার আহ্বান জানান ফাহমিদা খাতুন। বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে, কারণ আগামী মাসগুলোতেও এটি উচ্চমাত্রায় থাকতে পারে।

বিনিয়োগে স্থবিরতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে নতুন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা নেই। তবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো প্রস্তুত করা গেলে আগামী সরকার সহজেই বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারবে।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে সিপিডি নির্বাহী পরিচালক বলেন, আগামী ৫-৬ মাসে নতুন করে সংস্কার কতখানি বাস্তবায়ন হবে, তা বলা মুশকিল। ইতিমধ্যে যে সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা ধীরগতির। তবে সুযোগ আছে— যদি সরকার চায়। সবচেয়ে জরুরি হলো, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা আনতে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেগুলো সুরক্ষা দিয়ে ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাওয়া।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মি. আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুরসহ বিভিন্ন রাজনীতি ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।