Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অক্টোবরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সদ্য গত হওয়া অক্টোবর মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে রেকর্ড করেছে, যা গত প্রায় এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। অক্টোবর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আর সেপ্টেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা অক্টোবরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে। এটি ২০১২ সালের পর সর্বোচ্চ।

সোমবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অক্টোবর মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে মূল্যস্ফীতির এমন ঊর্ধ্বমুখী চিত্র দেখা যায়।

বিবিএস-এর প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, গত বছরের অক্টোবর মাসে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ বছরওয়ারী পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে এক লাফে এবার খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৪ দশমিক ০৬ শতাংশ।

গত আগস্ট মাসে প্রথমবারের মতো খাদ্য মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে উঠে। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ। এখন আবার তা ১০ ছুঁইছুঁই অবস্থায় রয়েছে।

বিবিএস জানায়, অক্টোবর মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এর অর্থ হলো গত বছরের অক্টোবর মাসে যে খাদ্যপণ্য ১০০ টাকায় কেনা গেছে, এবছরের অক্টোবর তা কিনতে হয়েছে ১১২ টাকা ৫৬ পয়সায়। অর্থাৎ মাত্র ১০০ টাকার খাবার কিনতে এক বছরে ১২ টাকা ৫৬ পয়সা বাড়তি খরচ করতে হয়েছে।

অক্টোবরে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৩০ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৭.৮২ শতাংশ।

গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি শহরাঞ্চলকে ছাড়িয়ে গেছে। গ্রামীণ এলাকায় মূল্যস্ফীতির হার সেপ্টেম্বরের ৯.৭৫ শতাংশ থেকে বেড়ে অক্টোবরে ৯.৯৯ শতাংশে উঠেছে।
এর আগে দেশে গত সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৯.৬৩ শতাংশে নেমে এসেছিল, যা আগস্টে ছিল ৯.৯২ শতাংশ। আর গত আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২. ৫৪ শতাংশ।

বিবিএসের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত মে মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৯৪ শতাংশে উঠেছিল, যা গত এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপর জুন ও জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে যথাক্রমে ৯.৭৪ শতাংশ ও ৯.৬৯ শতাংশ হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অক্টোবরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ

প্রকাশের সময় : ১২:০৬:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সদ্য গত হওয়া অক্টোবর মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে রেকর্ড করেছে, যা গত প্রায় এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। অক্টোবর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আর সেপ্টেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা অক্টোবরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে। এটি ২০১২ সালের পর সর্বোচ্চ।

সোমবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অক্টোবর মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে মূল্যস্ফীতির এমন ঊর্ধ্বমুখী চিত্র দেখা যায়।

বিবিএস-এর প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, গত বছরের অক্টোবর মাসে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ বছরওয়ারী পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে এক লাফে এবার খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৪ দশমিক ০৬ শতাংশ।

গত আগস্ট মাসে প্রথমবারের মতো খাদ্য মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে উঠে। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ। এখন আবার তা ১০ ছুঁইছুঁই অবস্থায় রয়েছে।

বিবিএস জানায়, অক্টোবর মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এর অর্থ হলো গত বছরের অক্টোবর মাসে যে খাদ্যপণ্য ১০০ টাকায় কেনা গেছে, এবছরের অক্টোবর তা কিনতে হয়েছে ১১২ টাকা ৫৬ পয়সায়। অর্থাৎ মাত্র ১০০ টাকার খাবার কিনতে এক বছরে ১২ টাকা ৫৬ পয়সা বাড়তি খরচ করতে হয়েছে।

অক্টোবরে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৩০ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৭.৮২ শতাংশ।

গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি শহরাঞ্চলকে ছাড়িয়ে গেছে। গ্রামীণ এলাকায় মূল্যস্ফীতির হার সেপ্টেম্বরের ৯.৭৫ শতাংশ থেকে বেড়ে অক্টোবরে ৯.৯৯ শতাংশে উঠেছে।
এর আগে দেশে গত সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৯.৬৩ শতাংশে নেমে এসেছিল, যা আগস্টে ছিল ৯.৯২ শতাংশ। আর গত আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২. ৫৪ শতাংশ।

বিবিএসের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত মে মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৯৪ শতাংশে উঠেছিল, যা গত এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপর জুন ও জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে যথাক্রমে ৯.৭৪ শতাংশ ও ৯.৬৯ শতাংশ হয়।