বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

সাহাবউদ্দিন মেডিকেলের মালিকের ছেলে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : সোমবার, ২০ জুলাই, ২০২০

অনুমোদন ছাড়া করোনা পরীক্ষা ও ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক ফয়সাল আল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবার (দুপুরের বনানীর একটি হোটেল থেকে ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয় হয়।

সোমবার (২০ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশান থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করে। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওস) মো. কামরুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চত করেন।

র‌্যাবের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানায়, এই মামলায় আসামি হিসেবে সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল আল ইসলাম (৩৪), সহকারী পরিচালক ডা. মো. আবুল হাসনাত (৫২) এবং ইনভেন্টরি অফিসার শাহরিজ কবির সাদিরের (৩৩) নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ন।

প্রসঙ্গত, রোববার (১৯ জুলাই) বিকালে রাজধানীর গুলশানে সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। করোনা পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই হাসপাতালটির বিরুদ্ধে। নেগেটিভ রোগীকে করোনা পজিটিভ বলে হাসপাতালে ভর্তি রেখে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের অসঙ্গতি পেয়েছে র‌্যাব। রোববিবার রাতে হাসপাতালটির দুজন কর্মকর্তাকে র‌্যাবের হেফাজতে নেওয়া হয়।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম বলেন, এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলায় সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগে আনা হয়েছে, নেগেটিভ রোগীকে করোনা পজিটিভ রোগী বলে চিকিৎসা দেওয়া, পরীক্ষা না করে ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়া এবং অনুমোদন না নিয়েই র‌্যাপিড কিট দিয়ে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করিয়ে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি।
এ ছাড়া আবুল হাসনাত নন–কোভিড ও কোভিড রোগীদের এক পরীক্ষা চারবার দেখিয়ে বিল করেছেন। একাধিকবার করোনা পরীক্ষার সনদ রোগীর ফাইলে সংযোজিত পাওয়া যায়নি। মামলায় আরও চার-পাঁচজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে বলা হয়, হাসপাতালটি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করে আসছিল রোগীদের কাছে। এ ঘটনায় সারওয়ার আলম প্রতিষ্ঠাটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন। হাসপাতালের পাঁচটি অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। একটিতে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল টিউব পান । এগুলোর একটি ২০০৯ সালে, দুটি ২০১১ সালে এবং একটি ২০২০ সালের এপ্রিলে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। এসব টিউব সাধারণত অপারেশনে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার সময় রোগীর শ্বাসনালিতে ঢোকানো হয়। এ ছাড়া হাসপাতালের লাইসেন্স গত বছর শেষ হয়ে যায়। এসবের সঙ্গে সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ফয়সাল, সহকারী পরিচালক আবুল হাসনাত ও শাহরিজ কবির জড়িত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আবহাওয়া