লকডাউনে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে চমৎকার এক প্রায় অবকাশকালীন সময় উপভোগ করেছেন ব্রিটিশরা। এই সময়টা আরাম আয়েশে থাকতে তারা সঙ্গী করেছেন চা, কফি, বিস্কুট আর বই।
এক হিসাবে দেখা গেছে, লকডাউনের সময়টাতে চা বিস্কুট আর বইয়ের পেছনে রেকর্ড পরিমান অর্থ ব্যয় করেছেন।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কান্টার দেখিয়েছে, লকডাউনে ব্রিটিশরা চা এবং কফির পেছনে অতিরিক্ত ২৪ মিলিয়ন পাউন্ড এবং বিস্কুটের পেছনে ১৯ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছে। মাত্র তিন মাসে এই তিন ভোগ্যপণ্যের পেছনে ব্রিটিশদের বাড়তি খরচের খতিয়ান এটি। অর্থাৎ চা কফি বিস্কুটের পেছনে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এই পরিমান টাকা বেশি খরচ করেছেন তারা।
প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ১২ জুলাই পর্যন্ত ১২ সপ্তাহে গ্রোসারির বিক্রিবাট্টা ৩১ দশমিক ৬ বিলিয়ন পাউন্ডের রেকর্ড গড়েছে।
শুধু চা কফি আর বিস্কুট খেয়ে আয়েশ করাই নয়, এই সময়টাতে প্রচুর বইও পড়েছেন ব্রিটিশরা।
প্রকাশনা সংস্থা ব্লুমসবারি বলছে, তারা দেখেছেন এই সময়টাতে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে মানুষ বেশি বই পড়েছে। লকডাউনে বইয়ের বিক্রি ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
কান্টারের খুব বিক্রয় ও ভোক্তা বিষয়ক গবেষণা বিভাগের প্রধান ফ্রেজার ম্যাককেভিট বলেন, ঘরে থেকে কাজ করার মূল্য দিতে হয়েছে খরচের হাত প্রসারিত করে। গরম পানীয় আর বিস্কুটের পেছনে অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয়েছে মানুষকে।
কান্টার বলছে, লকডাউনের সময় গ্রোসারি বিক্রি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ। ১৯৯৪ সালের পর এটি দ্রুততম প্রবৃদ্ধির রেকর্ড।
লকডাউন শিথিল করার পরও মানুষ আগের মতোই গ্রোসারি পণ্য অনলাইনে অর্ডার করছে বলে জানান ম্যাককেভিট।
আর বই বিক্রির বিষয়ে ব্লুমসবারি বলছে, লকডাউনের সময় তাদের গত বছরের তুলনায় বইয়ের বিক্রি প্রায় এক পঞ্চমাংশ বেড়েছে। তাদের রাজস্ব বেড়েছে ২৮ শতাংশ।
এই প্রকাশনা সংস্থার জনপ্রিয় বইগুলোই বেশি বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে জে কে রাউলিংয়ের হ্যারি পটার সিরিজ, সেই সঙ্গে চলমান ব্ল্যাক লাইভস মেটার আন্দোলন সম্পর্কিত বই-পুস্তকও ব্যাপক বিক্রি হয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে বইয়ের ডিজিটাল ভার্সনের বিক্রিই বেশি বেড়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় লকডাউনের তিন মাসে ছাপা কাগজের বই বিক্রি বেড়েছে ৯ শতাংশ আর বছরওয়ারি হিসাবে ডিজিটাল বইয়ের রাজস্ব বেড়েছে ৬৩ শতাংশ।
সূত্র: বিবিসি